ঝড় তুলেছে বিপ অ্যাপ, কী আছে তুর্কী এই অ্যাপে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির জগতে সবকিছুই অনেক সহজ আর অনেক ফাস্ট। আর বিজ্ঞানের যুগে কোন কিছুই স্থির বা অপরিবর্তনশীল নয়। সবকিছুই সময়ের সাথে সাথে পরিবর্তিত হতে থাকে। সবকিছুর মত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির আবিষ্কারও নিয়মিতই আপডেট হচ্ছে।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সবচেয়ে আলোচিত বর্তমান ঘটনা হলো তুর্কী ভিত্তিক একটি অ্যাপ। যার নাম দেওয়া হয়েছে বিপ অ্যাপ যেটার ব্যবহার অনেক বেড়েছে বিগত কয়েকদিনে। কিছুদিন আগে হোয়ার্টস অ্যাপ একটা নতুন নিয়ম তৈরি করে যেখানে ফেইসবুকে কিছু তথ্য শেয়ার করতে হবে যেটার কারণে বেশিভাগ মানুষ হোয়ার্টস অ্যাপ ব্যবহার বন্ধ করে দিয়ে নতুন একটি প্রযুক্তিতে আগ্রহী হয়েছে। আসুন জেনে নেওয়া যাক বিপ অ্যাপ কী সেসব তথ্য সম্পর্কে।
বিপ অ্যাপস কী ?
বিপ অ্যাপ এর তরফ থেকে যে বিজ্ঞাপন প্রচার করা হচ্ছে, সেখানে বলা হয়েছে যে, তাদের পক্ষ থেকে গোপনীয়তার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হচ্ছে। এবং এটি একটি এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপটেড, অর্থ্যৎ ভয়েস কলিং এবং ম্যাসেজ আদান-প্রদান গোপন থাকবে এবং এটি কেউ হ্যাক করতে পারবে না।
মাত্র একদিনের ব্যবধানে বাংলাদেশের অ্যাপ ডাউনলোডের র্যাংকিং এ ৯২ ধাপ এগিযে শীর্ষে উঠে এসেছে বিপ অ্যাপ যেটা হোয়ার্টস অ্যাপের নীতিমালা তৈরির কারনে। তবে তাদের সেই নতুন আপডেট থেকে তারা বিরত হলেও মানুষ নতুনের প্রতি অনেক বেশি আগ্রহী হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আরো পড়ুন >> গুরুত্বপূর্ণ ওয়েবসাইটের নাম ও তাদের বর্ণনা।
আরো পড়ুন >> হোয়ার্টস অ্যাপের পরিবর্তন কতটা উদ্বেগজনক।
স্পেস এক্স ও বর্তমান পৃথিবীর জীবত আয়রন ম্যান খ্যাত ইলন মাক্সও সিগনাল অ্যাপ ব্যবহার করার একটি টুইট করেছিলেন হোয়ার্টস অ্যাপের নীতিমালার কারণে যার ফলেই হোয়ার্টস অ্যাপ থেকে মানুষ বিকল্প অ্যাপের দিকে ধাবিত হচ্ছে বিগত কয়েকদিনে।
Signal বা সিগনাল অ্যাপের মতই তুর্কী বিপ বা Bip অ্যাপটাও অনেক আলোড়ন তুলেছে ইতোমধ্যেই। যেখানে আমাদের দেশে অনেক মানুষ এখন ব্যবহার করছে এই অ্যাপটি।
কলিং এবং ম্যাসেজিং অ্যাপ নামেই খ্যাত এই বিপ অ্যাপ। ইমো, ফেইসবুক লাইট এর মত অ্যাপগুলোকে পেছনে ফেলে গুগল প্লে স্টোরে বিপ অ্যাপের ডাউনলোডের পরিমাণ অনেক বেড়েছে।
ফেইসবুক কর্তৃপক্ষ বলেছে যে, আগামী তিনমাস আপাতত আপডেট তথ্য বন্ধ থাকবে। আর তারা বিজনেস একাউন্ট এর তথ্য জানতে চেয়েছিল এবং সেটার ডাটাগুলোই ফেইসবুক ও হোয়ার্টস অ্যাপস এর মধ্যে শেয়ার করতে চেয়েছিল।
বিপ অ্যাপটি অনেকাংশ হোয়ার্টস অ্যাপ সহ আরও যত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম আছে তাদেরই মত ভিডিও কল ও ম্যাসেজিং অ্যাপ হিসেবে কাজ করে থাকে।
আইওএস চালিত আইফোন এবং অ্যান্ডুয়েড চালিত মোবাইল ফোনগুলোতে এই অ্যাপ ডাউনলোড করা যায় অনেক সহজেই। এছাড়াও কম্পিউটার ডেক্সটপেও এটি ব্যবহার করা যায় অনেক সহজেই।
তুর্কী গনমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে যে, মোবাইল ফোন কোম্পানি টার্কসেল বিপ অ্যাপ উদ্ভাবন করে ২০১৩ সালে। বিশ্বের ১৯২ টি দেশে এই অ্যাপটি ব্যবহার করা হচ্ছে এবং এর বেশিভাগ ব্যবহারকারীই ইউরোপের বিভিন্ন দেশের।
কিছুদিন আগে হোয়ার্টস অ্যাপের গোপনীয়তা নীতির কারণেই ব্যপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে তুর্কী এই অ্যাপটি। বর্তমানে এশিয়াতেও অনেক বেশি ব্যবহারকারী রয়েছে এই অ্যাপের। ভারত ও বাংলাদেশে অনেক বেশি পরিমাণে বেড়েছে এই অ্যাপের ব্যবহারকারী।
বিপ অ্যাপের গোপনীয়তা কতটা ও কি কি করা যায় এই অ্যাপের মাধ্যমে ?
এটা জানতে চাইলে বিপ অ্যাপ কম্পানিটি জানায় যে, বিপ অ্যাপের মাধ্যমে অন্যান্য অ্যাপের মতই অডিও-ভিডিও কল করা, ম্যাসেজ আদান-প্রদান করা, ছবি ও ভিডিও আদান-প্রদান করা যায়।
সিকিউরিটির দিকটা জানতে চাইলে কোম্পানিটি জানায় যে, নির্দিষ্ট সময় পর এর ডাটা অটো মুছে দিতে চাইলে সেটাও করা যাবে আর সেভ থাকবে না সেটা কোম্পানিও দেখবে না ব্যবহারকারী কোন ডাটা বা তথ্য।
তুরষ্কের পত্রিকা ডেইলি সাবাহ জানিয়েছে যে, হোযার্টস অ্যাপ প্রাইভেসি পলিসি পরিবর্তন করার ঘোষনার পর থেকে প্রতিদিন ২০ লাখ বার ডাউনলোড হয়েছে বিপ অ্যাপটি। বর্তমানে ৬ কোটি বার ডাউনলোড করা হলেও খুব তাড়াতাড়িই তা ১০ কোটি ছাড়িয়ে যাবে বলে মনে করছেন কোম্পানির কর্মকর্তারা।