Online Career বা অনলাইন ক্যারিয়ার কি ও কিভাবে
Table of Contents
আজকের আর্টিকেলটি মূলত Online Career বা অনলাইন ক্যারিয়ার নিয়ে। এখানে আমি সামান্য কিছু তথ্য শেয়ার করার চেষ্টা করবো। যেখানে কিছু পয়েন্ট উল্লেখ করবে যেটা দেখে আপনি সহজেই বুঝতে পারবেন অনলাইন Online Career বা অনলাইন ক্যারিয়ার সম্পর্কে বিস্তারিত।
আরো পড়ুন >> সরকারি ভাবে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন ফি সংক্রান্ত বিষয়
অনলাইনে কাজ করার পাশাপাশি আপনাকে অবশ্যই ২য় উপার্জনের একটি মাধ্যম তৈরি করে নেওয়ার চেষ্টা করতে হবে। এখানে আপনি সারাজীবন কাজ করতে পারবেন বা করবেন এমনটা আশা করাটা বোকামী হবে আমার মতে।
হ্যা এটা ঠিক যে, আপনি এখানে ভালো করছেন তবে আপনাকে অবশ্যই বিকল্প রেখে দিতে হবে আগামীর জন্য। সবচেয়ে নিরাপদ হলো একটা আয় করার মাধ্যম না রেখে একাধিক তৈরি করা। যেখানের একটা মূল থাকলেও বাকিগুলো সহযোগী হিসেবে রাখা।
উপরের পিকচারটি একজন ভাইয়ের। যার একটা একাউন্ট ছিল Fiverr বা ফাইবার মার্কেটপ্লেসে। Fiverr বা ফাইবার এ তার এই একাউন্ট এর বয়স প্রায় আনুমানিক ৫ বছরের মত ছিল। হঠাৎ করেই মেইলটা আসছে।
যেখানে Fiverr বা ফাইবার কম্পানিটি স্পষ্ট করে বলে দিয়েছে যে, মার্কেটপ্লেসের বাইরে কাজ করার জন্য ইঙ্গিত করার কারণে Fiverr বা ফাইবার একাউন্টটা ডিজএবল করা হয়েছে।
Online Career বা অনলাইন ক্যারিয়ার এর কিছু বিষয়
পিকচারটা একটা গ্রুপ থেকে নেওয়া যার ৫ বছর পর এই একাউন্ট ডিজএবল করে দেয়। কারণ বলা আছে মেইলে। তবে সামান্য কিছু না বললেই না। যেমন,
(ক) অনলাইনের পাশাপাশি অফলাইনটা না ছেড়ে দেওয়া।
(খ) অনলাইনে কাজ করলেও নির্ভরশীল কারো উপর এমন যেন না হয়।
(গ) ৬ মাস অনলাইন আয় বন্ধ হলেও যেন অফলাইন দিয়ে ব্যাকআপ নিতে পারেন এমন ব্যবস্থা রাখা।
(ঘ) ফেসবুক গ্রুপ, আইডি, পেজ কেন্দ্রিক আয় হঠাৎ বন্ধ হবে এটাই স্বাভাবিক তাই বিকল্প আরও মাধ্যম তৈরি করা। যেমন, ইউটিউব পাশাপাশি ফেসবুক এভাবে।
(ঙ) ফ্রিলান্সিং এ ভালো করাটা দীর্ঘ সময় হবে এমনটা না ভেবে ব্যাকআপ রাখার চেষ্টা করা উচিত।
অবশ্যই আমাদের আপডেট থাকতে হবে অনলাইনে কাজ করার ক্ষেত্রে।
Online Career বা অনলাইন ক্যারিয়ার কাকে বলে ?
ইন্টারনেট ব্যবহার করে কোন কিছু করাকেই মূলত Online Career বা অনলাইন ক্যারিয়ার বলা হয়ে থাকে। বর্তমান সময়ে অনেকেই কম্পিউটার, ল্যাপটপ, মোবাইল ফোন ব্যবহার করে নিজেদের ক্যারিয়ারের অন্যতম একটি আয় করার মাধ্যম তৈরি করে থাকে।
আপনি বাসায় বসেও ইন্টারনেট ব্যবহার করে নিজের পছন্দ মত কাজ করে একটা পেশা নির্বাচন করতে পারবেন। যেটা অনেক ভালো হবে এবং আপনি যদি পারমানেন্ট কোন কাজ করে থাকেন তাহলে আপনি অবশ্যই সেই রকমের কোন কাজ শিখবেন।
Online Career বা অনলাইন ক্যারিয়ার গড়ার অন্যতম একটি বিষয় হলো, Skill বা দক্ষতা। যে কোন কাজ করার জন্য আপনার অবশ্যই Skill বা দক্ষতা থাকতে হবে। Skill বা দক্ষতা ছাড়া আপনি কোন কাজেই ভালো করতে পারবেন না দীর্ঘ সময়ের জন্য।
শেষ কথা বা উপসংহার
আমরা অনেকেই বর্তমান সময়ে Freelancing বা ফ্রিল্যান্সিং পেশায় আসতেছি। এবং Freelancing বা ফ্রিল্যান্সিং পেশাকে আমরা আমাদের সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট হিসেবে চিন্তা করতেছি। এখানে আপনি অবশ্যই বিষয়গুলোকে ভালোমত চিন্তা করে নিবেন এই পেশায় পা রাখার আগে।
একটানা ২ মাস বা একটানা ৩ মাস কাজ বন্ধ রাখলেও যেন আপনার Freelancing বা ফ্রিল্যান্সিং এর কাজের প্রভাব না পড়ে সেটা লক্ষ্য রাখবেন। অনেকেই আছে যারা কিছুদিন কাজ না করতে পারলেই হতাশ হয়ে যান।
এই হতাশা থেকে অবশ্যই আমাদের বের হয়ে আসতে হবে। এবং Freelancing বা ফ্রিল্যান্সিং কাজ করেও যে সফলতা লাভ করা যায় সেটা আমাদের অবশ্যই ভাবতে হবে নিয়মিত এবং নিয়মিতই আমাদেরকে এই সম্পর্কে আপডেট থাকতে হবে।
Online Career বা অনলাইন ক্যারিয়ার নিয়ে আর্টিকেলটি প্রথম প্রকাশিত হয় ১১ই আগস্ট ২০২২ সাল