Content Marketing কি ? কিভাবে Content Marketing করতে হয় ?

Content Marketing

Content Marketing কি ? কিভাবে Content Marketing করতে হয় ?

কনটেন্ট মার্কেটিং বা Content marketing বর্তমান সময়ের জন্য সবচেয়ে ভালো এবং চলমান একটি মার্কেটিং বা Marketing. বিভিন্ন পণ্যের রিভিও থেকে শুরু করে বিভিন্ন আপডেট মূল্যবান তথ্যগুলো আমরা এর মাধ্যমেই পেয়ে থাকি।

Content marketing
কনটেন্ট মার্কেটিং বা Content Marketing এর মূল উদ্দেশ্য হলো, মূল্যবান এবং কাজের কনটেন্ট এর মাধ্যমে customer দের আকর্ষিত করা এবং তাদেরকে ক্রেতা (buyer) হিসেবে রূপান্তরিত করা। এক্ষেত্রে আপনি যেই কনটেন্ট গুলোকে তৈরি করে শেয়ার করছেন সেগুলো আপনার ব্যবসা, পণ্য বা সেবার সাথে জড়িত থাকে।

ডিজিটাল মার্কেটিং বা Digital Marketing এর অন্যতম একটি উপাদান বলা হয়ে থাকে এই Content Marketing বা কনটেন্ট মার্কেটিং কে। এখানে একটি লিখা বা একটি ডিজিটাল পণ্যের রিভিও অনেক গুরুত্বপূর্ণ সেই পণ্যটি মার্কেটিং করার জন্য।

অনলাইনের মাধ্যমে যেই ধরনের মার্কেটিং করা হয় তাকেই মূলত ডিজিটাল মার্কেটিং বা Digital Marketing বলা হয়ে থাকে। আমরা কোন পণ্যে প্রচার বা প্রচারণা অনলাইনের মাধ্যমে করলেই সেটিকে বলা হবে ডিজিটাল মার্কেটিং বা Digital Marketing.

এখানে ডিজিটাল মার্কেটিং বা Digital Marketing এর অন্যতম বিষয় হলো Content Marketing বা কনটেন্ট মার্কেটিং।

কনটেন্ট মার্কেটিং বা Content marketing কি ?

সবার আগে জানতে হবে কনটেন্ট মার্কেটিংটা কি  বা এর সংগা কি। এক কথায় যদি বলি তবে বলতে হবে যে, নির্দিষ্ট কোন কাস্টমারের কাছে পরিকল্পিত ভাবে কোন পণ্য সেল করার পদ্ধতিকেই বলা হয় কনটেন্ট মার্কেটিং।

অর্থ্যৎ আপনি একটা পণ্য পণ্য বিক্রি করবেন এবং সেটাও আবার ক্রেতাকে আকৃষ্ট করে এই পদ্ধতিটাকেই বলা হয় কনটেন্ট মার্কেটিং। আর এই কনটেন্ট মার্কেটিং ডিজিটাল মার্কেটিং এর একটা পার্ট। বলা যেতে পারে অনেক বড় একটা পার্ট এই মার্কেটিংটা।

content marketing.01

 

বর্তমানে Content Marketing বা কনটেন্ট মার্কেটিং অনেক বেশি এগিযে যাচ্ছে ডিজিটাল মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে। আপনি ফেইসবুক বা ইউটিউবে দেখে থাকবেন অনেক সময় ভিডিও করে একটা পণ্যের বর্ননা দেওয়া হয় বা লিখে দেওয়া হয় এসবই আসলে কনটেন্ট মার্কেটিং।

বর্তমান সময়ে ডিজিটাল মার্কেটিং বা Digital Marketing এর অন্যতম একটা অংশ হিসেবে কাজ করছে এই কনটেন্ট মার্কেটিং। আর কনটেন্ট মার্কটিং এর একটা বড় অংশ হলো কনটেন্ট রাইটিং। তবে বর্তমানে ভিডিও কনটেন্টটা অনেক বেশি আকৃষ্ট করছে ক্রেতাদেরকে।

আরো পড়ুন >> ডিজিটাল মার্কেটিং কি ? ৫টি সেরা ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যম

প্রকার ভেদ করার ক্ষেত্রে আমি কনটেন্ট মার্কেটিং কে মোট ২ ভাগে ভাগ করবো আরও কিছু প্রকার থাকলে প্রধানত এই দুইভাগে ভাগ করা যায়। যেমন,

(ক) ভিডিও সহ অডিও কনটেন্ট মার্কেটিং এবং 

(খ) রাইটিং কনটেন্ট মার্কেটিং। 

এছাড়াও সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট, স্লাইড শেয়ারিং, পিকচার, ব্লগ, ইনফোগ্রাফিক্স, পড়কাস্ট, কুইজ, ওয়েবনিয়ার, প্রেজেন্টেশান ইত্যাদি যা উপরের দুইটা ভাগের মধ্যেই আছে এসবের মাধ্যমেও কনটেন্ট মার্কেটিং করা হয়ে থাকে।

আরো পড়ুন >> কনটেন্ট রাইটিং করার ৫টি কৌশল

আবারও বলে রাখি এটা কিন্তু ডিজিটাল মার্কেটিং এর বড় একটা অংশ। আসুন এবার শ্রেনিবিভাগগুলো নিয়ে আলোচনা করা যাক।

(ক) ভিডিও সহ অডিও কনটেন্ট মার্কেটিং

প্রথমেই আছে ভিডিও সহ অডিও Content Marketing বা কনটেন্ট মার্কেটিং। এখানে একটা পণ্যের ভিডিও থাকবে পাশাপাশি অডিও বর্ননাও থাকবে বড় কোন লিখা থাকবে না। এই ধরনের মার্কেটিং সবচেয়ে জনপ্রিয় বেশি কারণ এখানে আমাদের ৫ ইন্দ্রিয় এর মধ্যে দুইটা প্রত্যক্ষভাবে কাজ করে।

Content marketing
ডিজিটাল মার্কেটিং কি? ও কিভাবে ডিজিটাল মার্কেটিং করবো? কন্টেন্ট মার্কেটিং কি? কন্টেন্ট মার্কেটিংয়ের বিস্তারিত। কনটেন্ট মার্কেটিং কি? কনটেন্ট মার্কেটিং কিভাবে করতে হয়? ডিজিটাল মার্কেটিং কি? বর্তমান বিজনেসের ক্ষেত্রে এর ভুমিকা। কন্টেন্ট রাইটিং কি ? সেরা কিছু কন্টেন্ট রাইটিং টিপস বাংলাতে।

ভিডিও যা আমরা দেখি আর অডিও যা আমরা শুনি। অনেক সময় দেখার পাশাপাশি শুনলে সেই বিষয়টা অনেক বেশি বোধগম্য হয়। আমি কয়েকটা উদাহারণ দিতে পারি এইটা নিয়ে। যেমন,

বর্তমানে ইউটিউবে যত ধরনের নাটক বা মুভি রিলিজ হয় তার বেশ কিছুদিন আগে ট্রেইলারের মত করে একটা ভিডিও সাথে অডিও করে ছাড়া হয় যেটা দেখে আগে থেকেই দর্শক সেই নাটক বা মুভিটা দেখার জন্য অধির আগ্রহে অপেক্ষা করে থাকে।

বিভিন্ন মুভির গান আগে ছাড়া হয় এটা সেই মুভিটার ভিডিও মার্কেটিং করে আগে থেকেই দর্শকদের মনে একটা আগ্রহ তৈরি করে। দর্শকরা মনে করে যার ট্রেইলার এত ভালো তার ভেতরে তো আরও অনেক ভালো হবে।

আবার দেখে থাকবেন, কোন মোবাইল ফোন কম্পানি আগে একটা ভিডিও করে সেই ফোনে সাথে কি কি থাকছে পুরো বৈশিষ্ট্য দেখানোর পাশাপাশি বলেও মানুষকে দেখানোর চেষ্টা করে।

অ্যাপেল কম্পানির মত কম্পানিও কোন প্রডাক্ট বা আইফোন বের করার আগে সেটার ট্রেইলার অংশটা ভিডিও করে ছাড়ে যাতে করে ক্রেতারা আগে থেকেই সেটা কেনার জন্য রেডি থাকে।

বর্তমান ডিজিটাল মার্কেটিং এ দুনিয়াতে কোন পণ্যের মার্কেটিংটা বুঝতে অনেক কম সময় লাগে। যেমন আপনি কোন পণ্য যদি মার্কেটে ছাড়ার আগেই ক্রেতার আগ্রহ তৈরি করতে পারেন আর বর্ণনা অনুসারে যদি সেটা দিতে পারেন তবে মার্কেট আউট হতে বেশি সময় লাগবে না।

যেটা অ্যাপেলের ফোনের ক্ষেত্রে হয়ে থাকে। লক্ষ লক্ষ ফোন বের হওয়ার আগেই প্রি অডার দিয়ে তা বিক্রি শেষ করে ফেলে কম্পানিটি। এটাই একটা প্রকারের মার্কেটিং

আবার আরেকটা উদাহারণ যদি দেই তবে একটা বইয়ের দিতে পারি। আরিফ আজাদের একটা বই একবার মার্কেটে ছাড়বে বা মার্কেটে তার বলা বিবিন্ন পোস্টগুলোই বই আকারে বের করবে নতুন একটা প্রকাশনি।

তো লেখকের অনুমতি নিয়ে তিনি সেটা তৈরি করেন যেটা অনেকটাই বেশি আকর্ষনের কেন্দ্র বিন্দুতে পরিণত হয়েছিল। যেখানে প্রকাশনি অনেক কৌতুহল বসত কিছু কথা লিখে প্রি অডারের জন্য পোস্ট করে রাখে প্রকাশনির মালিক রাতে পোস্ট করে সকালে উঠে দেখে প্রায় ১৫ হাজার কপির অডার অথচ তিনি মাত্র ৩ হাজার কপি তৈরি করেছেন।

তারপরেও তার সেটা বিশ্বাস হচ্ছিল না যখন সবাই টাকা পেইড করে ফেলে তখন প্রকাশনির স্বপ্নটা ভেঙ্গে যায় মানে তিনি বাস্তবটাকেই স্বপ্ন বলে মনে করছিলেন। এখানে তিনি কিন্তু ডিজিটাল মার্কেটিং করেছিলেন যেটার কনটেন্টগুলো আগেই দর্শকরা জানতো বিধায় এত আগ্রহ ছিল।

একটা দোকান দিয়ে যেখানে এক দিনে ৫০০ জন কাস্টোমার নিয়ে আসা অনেকটা কষ্টসাধ্য যেখানে এক রাতের মধ্যে ১৫ হাজার কপি বিক্রি করাটা স্বপ্নের মতই। এটাই আসলে ডিজিটাল মার্কেটিং এর সুবিধা বা ভালো দিক।

যাইহোক যেটার উদহারন দিতে গিয়ে এতগুলো কথা বললাম সেটা হলো আপনি কোন পণ্য নিয়ে আগে সেটার একটা ভিডিও + অডিও কনটেন্ট তৈরি করে যদি প্রচার করতে পারেন তবে সেই পণ্যটার মার্কেট ধরা কোন ব্যাপারই না।

মোবইল ফোন, টিভি, ফ্রিজ সকল পণ্যই এখন এই পদ্ধতিটা ফলো করছে। এখানে আপনাকে অনেকগুলো বিষয় খেয়াল রাখতে হবে। কারণ আপনি ভিডিওটা দেখানোর মাধ্যমে আপনার পণ্যের মার্কেটিং করবেন।

আরো পড়ুন >> Graphics Design || গ্রাফিক্স ডিজাইনে ভালো করার ৯টি উপায়

সেখানে আপনাকে অবশ্যই লক্ষ্য রাখতে হবে ক্রেতা যেন পুরো ভিডিওটা দেখে। কারন আগে পণ্যটা সম্পর্কে জানাতে হবে ক্রেতাদেরকে তাহলেই এক সময় না এক সময় ক্রেতা সেটা কিনতে আগ্রহী হবে। নিচের বিষয়গুলো একটু খেয়াল করলেই কাজ সহজ হয়ে যাবে।

(১) ভিডিওটা অনেক বেশি বড় হবে না।

(২) পণ্যের পিকচারগুলো যেন আকর্ষণীয় হয়।

(৩) পণ্যের পিকচারের পাশাপাশি ছোট করে যেন লিখা থাকে।

(৪) অডিওর ক্ষেত্রে সাউন্ড কুয়ালিটি যেন অনেক ভালো।

(৫) ধারণকৃত ভিডিওর কুয়ালিটি যেন ভালো হয় মানে ক্রেতা যেন দেখতে পারে ভালো মত।

(৬) ভিডিও তে পণ্যের দাম উল্লেখ করা যাবে না শুরুতেই বা কোন সময়ে। যদি দিতেই হয় তবে লিখে ছোট করে দিতে হবে বা জানাতে হবে।

(৭) অবশ্যই ছবির সাথে বাস্তবের পণ্যের মিল থাকতে হবে শতভাগ।

(৮) ভিডিও বা অডিওতে যেসব বৈশিষ্ট বলা হবে সেগুলো বাস্তব পণ্যে মিল থাকতে হবে শতভাগ।

(৯) উপকারিতাগুলো ভালো করে বর্ণণা করতে হবে।

উপরের বৈশিষ্ট্যগুলো লক্ষ্ রাখতে পারলেই হবে। ইলন মাস্ক এর নাম সবাই জানেন হয়তো। তারপরেও বলি তিনি একাধিক প্রতিষ্ঠানের মালিক। তিনি PayPal, SpaceX, Tesla নামক বড় বড় কম্পানির মালিক আরও কিছু প্রতিষ্ঠান আছে তবে এই তিনটা সেরাদের সেরা তাই বললাম।

তার এই প্রতিষ্ঠানের মধ্যে SpaceX এবং Tesla এত বড় আর এত ভালো প্রতিষ্টান বিশেষ করে Tesla কম্পানিটি। এই একটা কম্পানিতে তিনি কাজ করে CEO হিসেবে অথচ কোন বেতন নেন না কোনদিন। তারপরেও তিনি এত টাকার মালিক যা কল্পনা করা যায় না।

আর তার প্রতিষ্ঠানের পণ্যের সবচেয়ে ভালো দিকটা হলো তিনি যেসব বৈশিষ্ট্য বর্ণনা করেন বা ভিডিওর মাধ্যমে ক্রেতাদেরকে দেখান তার ১০০% ই থাকে তার বাস্তব পণ্যের মধ্যে। এই বিশ্বাসের কারণে শুধু নাসার মত প্রতিষ্ঠানও তার কম্পানির কাছ থেকে পণ্য কিনে নিয়ে যায়।

(খ) রাইটিং কনটেন্ট মার্কেটিং

রাইটিং করে মার্কেটিং টাও অনেক জনপ্রিয় বিশেষ করে আমরা যত বিলবোর্ড বা ফেইসবুকের মাধ্যমে মার্কেটিং দেখি এসব কিছু রাইটিং কনটেন্ট মার্কেটিং এরই অংশ হিসেবে কাজ করে।

ভিডিও দেখা ও শোনার চাইতে লেখার মাধ্যমে আমরা অনেক কিছু অনুভব করতে পারি। আমি যদি এটা ডাইমেনশান হিসেবে ভাগ করি তবে অডিও + ভিডিও হলো Two Dymention আর কোন লিখা পড়াটা হলো Three Dymention অর্থ্যৎ একটা লিখা পড়ে আপনি সেটা কম্পনা করে ফেলতে পারেন।

আর বাস্তবে যদি আপনার কল্পনার মত বা তার চাইতে ভালো হয় তবে তো কোন কথাই নেই। কোন লেখকের বইয়ে যদি আপনি পড়েন, নীল আকাশ তবে আপনি দেখে পড়ার পাশাপাশি কল্পনার জগতে সেই নীল আকাশটা কেমন সেটা অনুভব করে ফেলবেন মনের অজান্তেই।

যেটা কিন্তু অডিও + ভিডিওতে সম্ভব হয় না। কিছু উদাহারণ যদি দিতে হয় তবে বলতেই হয় নিচের কথাগুলো।

ইদানিং দেখবেন কোন পণ্যের ছবির পাশাপাশি তার বৈশিষ্ট্যগুলোও ছবি বা কার্টুন এঁকে দেখানো হয়ে থাকে। যেমন, একটা বিস্কিটের প্যাকেটের গায়ে লিখাগুলো ও সাথে যুক্ত থাকা ছবি।

আপনি একটা বিস্কিট কিনবেন আর কয়েকটা প্যাকেট হাতে নিয়ে সেটার নাম ও বৈশিষ্ট্য ও উপাদানগুলো পড়ে তারপর যেটা আপনার কাছে ভালো মনে হয় সেটা নেন এবং পরবর্তীতে পড়া ছাড়াই সেই বিস্কিটটাই কিনতে থাকেন।

আর এভাবেই ব্রান্ড কাজ করে থাকে। সামান্য কিছু লিখা যার প্যাকেটের ভেতরে কেমন অবস্থায় আছে বা কি আছে সেটাও দেখা যায় না অথচ আপনি কিনতে আগ্রহী হয়ে যান।

ফেইসুবকে এখন কোন বই এর রিভিওটা অনেক সুন্দর করে ছোট ও পয়েন্ট করে লিখা থাকে যেন কোন ক্রেতা তার ছোট ছোট বর্নণা পড়েই সেই বইটা কিনতে আগ্রহী হয়।

শুধু বই নয় আরও কিছু পণ্যের রিভিও দিয়েও সেই পণ্যটার মার্কেটিং করা হয়। আপনি হয়তো অনলাইনের কোন ফেইসবুক পেজ থেকে কোন পণ্য কিনে থাকবেন।

তখন কিন্তু আপনি পণ্য কেনার পর সেই পেজে একটা রিভিও দিয়ে দিতে পারবেন যদি আপনার ভালো লাগে তবে ভালো আর মন্দ লাগলে সেটাও জানাতে পারবেন। যেসব রিভিও অন্য ক্রেতারা দেখে সেই পণ্যটা কিনবে নাকি কিনবে না সেটার সিদ্ধান্ত নিতে পারে।

অডিও + ভিডিও কনটেন্ট এর মত এটারও কিছু বৈশিষ্ট্য বা নিয়ম আছে যেটা ফলো করলে আপনার রাইটিং করে মার্কটিংটা অনেক ফলপ্রশু হবে। যেমন,

(১) একটা আকর্ষণীয় ছবি যুক্ত করা।

(২) তৈরি তারিখ বা সাল ও মেয়াদের তারিখ বা সাল স্পষ্ট করে লিখতে হবে।

(৩) দামটাও সুন্দর করে স্পষ্ট করে দিতে হবে।

(৫) খাবার পণ্য হলে সেটার উপাদানগুলোর ওজন বা শতকরা অনুসারে দিতে হবে।

(৬) খাবারের পণ্যগুলো মেয়াদ সঠিকভাবে দিতে হবে।

(৭) পোশাক হলে সেটার একটা ছোট করে ক্যাটালগ দিয়ে দেওয়া যেতে পারে।

(৮) বৈশিষ্ট্যগুলো ছোট করে মূল কথায় পয়েন্ট করে দিতে হবে।

(৯) সুবিধা ও অসুবিধা দুটোই দিতে হবে তবে সুবিধাগুলো বেশি দিতে হবে অসুবিধা যেন না থাকে সেই বিষয়টা মাথায় রাখতে হবে।

আসলে আপনি একটা পণ্য নিয়ে লিখে সেটার মার্কেটিং করবেন তার মানে আপনার লিখাটা এমন হতে হবে যেন ক্রেতারা তা পড়েই সেটার প্রেমে পড়ে যায়। তাছাড়া তো ক্রেতারা সেটা কিনতে আগ্রহী হবে না।

লিখার ক্ষেত্রে প্রত্যেকটা লাইন এমন ভাবে লিখতে হবে যেন ক্রেতা তার পরের লাইনটা পড়ার প্রতি আগ্রহী হয়। সামনের দিনগুলোতে কনটেন্ট মার্কেটিং আরও বাড়বে এবং ক্রেতারা এটাতেই বেশি আকৃষ্ট হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

 

একটা সময় ছিল যখন একটা পণ্যের মার্কেটিং করে সেটার ফল পেতে পেতে ৬ মাস অপেক্ষা করতে হতো। কিন্তু বর্তমানে ডিজিটাল মার্কেটিং এর সময়ে এর ফল তাৎক্ষণিকভাবেই পাওয়া যায়। আপনি আজকে একটা পণ্যের মার্কেটিং করবেন এক সপ্তাহ পরেই সেটার ফল পাবেন।

এখন তো আমরা টিভিতেও আর পণ্যের বিজ্ঞাপনগুলো দেখি না বা পেপারেও দেখা কম যায়। বর্তমানে ফেইসবুক আর ইউটিউবে সবচেয়ে বেশি মার্কেটিং করা হচ্ছে আর এসব মার্কেটিং এর মধ্যেই এই Content Marketing বা কনটেন্ট মার্কেটিং টা অর্ন্তরভূক্ত।

একটা ভালো মানের কনটেন্ট ক্রেতা বা কাস্টোমারের সাথে আপনার সুসম্পর্ক তৈরি করে থাকে যেটা অন্য কোন মার্কেটিং এর মাধ্যমে সম্ভব নয়।

প্রশ্ন-১ কনটেন্ট মার্কেটিং করার সুবিধা কি ? 

উত্তরঃ- বর্তমানে ডিজিটাল মার্কেটিং এর মধ্যে Content Marketing বা কনটেন্ট মার্কেটিং টা সবচেযে বেশি জনপ্রিয়। অনেক সবিধা আছে তবে তারমধ্যে থেকে বলা যায় নিচের গুলো।

(১) পণ্যের নাম সকলের কাছে পৌছানো সহজ।

(২) ক্রেতার সংখ্যা সহজেই বাড়ানো যায়।

(৩) পণ্য অডার পাওয়ার পর রেডি করা যায় যেটা ফিজিক্যাল মার্কেটিং করার ক্ষেত্রে সম্ভব হয় না।

(৪) মার্কেটিং এর খরচ কম।

(৫) কম সময়ে অনেক বেশি ক্রেতা পাওয়া যায়।

(৬) পণ্যের সমস্যা হলে তা সবাই জানতে পারে না।

(৭) ক্রেতার কাছ থেকে ভালো রিভিও নেওয়া যায়।

এছাড়াও আরও অনেক সুবিধা আছে। যেখানে আপনার সমগ্র দেশের ক্রেতারাই আপনার কাস্টোমার হিসেবে বিবেচনা করা হয় ‍যদি মার্কেটিংটা আপনি সেরকম ভাবে করতে পারেন।

প্রশ্ন-২ আমি আমার পণ্যের কনটেন্ট মার্কেটিং কেন করবো বা প্রয়োজনীয়তা কি ? 

উত্তরঃ- প্রশ্নটা অনেক সুন্দর। যদি আপনার পণ্যের বিক্রি এমনিতেই হতে থাকে তবে আপনি কেন মার্কেটিং করবেন। আসলে কোন পণ্যের বা কম্পানির আসল বিষয় হলো সেই কম্পানির মার্কেটিং করাটা। আর নিচের কারনগুলোর জন্য আপনি করতে পারেন এই মার্কেটিংটা।

(১) সহজেই বিভিন্ন অফার দেওয়া যায়।

(২) অফার দিতে খরচ কম লাগে।

(৩) এখানে ফিজিক্যাল কোন জায়গার প্রয়োজন পড়ে না।

(৪) পণ্যের সুবিধা বা গুণ সম্পর্কে জানানো সহজ হয়।

(৫) পণ্যের নাম প্রচার হয় অনেক দ্রুত।

(৬) কাস্টোমাররা ভালো ধারণা রাখতে পারে।

(৭) পণ্যের সমস্যা সহজেই জেনে তা সমাধান করা যায়।

এছাড়াও আরও কিছু কারণে আপনি এই মার্কেটিংটা করতে পারেন। এখানে আসলে আপনার অসুবিধার চাইতে সুবিধাটা অনেক বেশি তাই আপনি কনটেন্ট মার্কেটিং করে আপনার পণ্যের বিক্রিটা সহজেই বাড়াতে পারেন।

Content Marketing বা কনটেন্ট মার্কেটিং এর শেষ কথা

প্রত্যেকটি পণ্যকে প্রচার করতে হলেই আমাদেরকে অবশ্যই ডিজিটাল মার্কেটিং বা Digital Marketing করতে হবে। তেমনি অনলাইনে কোন পণ্যের মার্কেটিং করার জন্য অনতম একটি উপায়ই হলো Content Marketing বা কনটেন্ট মার্কেটিং

প্রথম প্রকাশ করা হয় = ১৪ ই ডিসেম্বর ২০২০ সাল

দ্বিতীয় প্রকাশ করা হয় = ২৬ ই জানুয়ারী ২০২২ সাল

About ডিজিটাল আইটি সেবা

ডিজিটাল আইটি সেবা অনলাইন ভিত্তিক সেবা মূলক প্রতিষ্টান। এখানে অনলাইনে আয়, ডিজিটাল শিক্ষা, ফেইসবুক মার্কেটিং সহ আরও অনেক কাজের ধারণা প্রদান করা হয়। এটি দেশের আর্থিক সামাজিক অবস্থার উন্নতির জন্য কাজ করে থাকে।

View all posts by ডিজিটাল আইটি সেবা →

2 Comments on “Content Marketing কি ? কিভাবে Content Marketing করতে হয় ?”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *