ডিজিটাল মার্কেটিং কি এবং কেনো করা উচিত

ডিজিটাল মার্কেটিং কি

ডিজিটাল মার্কেটিং কি এবং কেনো করা উচিত

বর্তমান সময়ে ডিজিটাল মার্কেটিং একটি জনপ্রিয় মাধ্যম আপনার কোম্পানি এবং প্রতিস্টান কে ইন্টারনেটের মাধ্যমে প্রচার করার জন্য। যত দিন যাচ্ছে মানুষ ইন্টারনেটের ব্যবহার বাড়াচ্ছে এবং তাদের নিত্য প্রয়োজনীয় চাহিদা এবং কেনাকাটার পূরোটাই ইন্টারনেটের মাধ্যমে পূরণ করার চেস্টা করে।

আরো পড়ুন >> Facebook Marketing বা ফেসবুক মার্কেটিং এর মাধ্যমে আয়  

যেহেতু সবাই ইন্টারনেট ভিত্তিক হয়ে যাচ্ছে তাই আপনি এবং আপনার ব্যবসা প্রতিষ্টান কে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার মাধ্যমে আপনার বিক্রয় ও বিপনণ বহুগুনে বাড়িয়ে নিতে পারবেন।

ডিজিটাল মার্কেটিং কি
ডিজিটাল মার্কেটিং কি এবং কেনো করা উচিত

আপনার ব্যবসা কে অনলাইনে মার্কেটিং করার জন্য আপনাকে অবশ্যই এটি সম্পর্কে জানতে হবে। আজকের কন্টেন্টে আমরা ডিজিটাল মার্কেটিং কি এবং কেনো করা উচিত,এটি কত প্রকার এবং এটি শিখতে আপনার কি কি করা প্রয়োজন এগুলো নিয়ে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করবো। তাই পূরো কন্টেন্টি পড়ার অনুরোধ রইলো। 

ডিজিটাল মার্কেটিং হলো ওয়েবসাইট, সোশ্যাল মিডিয়া, ইমেল, মোবাইল অ্যাপস এবং অন্যান্য ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মগুলির মাধ্যমে আপনার পণ্য বা সেবার প্রচার ও বিপণনের একটি প্রক্রিয়া। এটির মাধ্যমে আপনি যেকোনো দেশে আপনার ব্যবসা প্রচার করতে পারবেন ঘরে বসেই এবং তুলনামূলক কম খরচ এর মাধ্যমে আপনার বিক্রয় বহুগুণে বাড়িয়ে নিতে পারবেন। এটি করার বিভিন্ন কারণ রয়েছে যার জন্য আপনাকে এটি করা উচিত। নিচে কেনো আপনার এটি করা উচিত তা বর্ণনা করা হলোঃ 

1. লক্ষমূলক টার্গেটিংঃ এটির মাধ্যমে আপনার টার্গেটেড কাস্টমারদের কাছে আপনার পন্যের মান ও সেবা পৌছাতে পারবেন যার মাধ্যমে আপনার ব্যবসা প্রচার হবে এবং বিক্রয় তুলনামূলকভাবে বাড়বে।

2. দক্ষ মার্কেটিং বৈশিষ্ট্য: ডিজিটাল মার্কেটিং সাধারণত বিভিন্ন টুল এবং প্ল্যাটফর্মের সাথে একটি কম্পিউটার ভিত্তিক সাপ্লাই এবং ট্র্যাকিং সংযোগ করে। এটি আপনাকে বিভিন্ন ডেটা এনালাইটিক্স এবং মার্কেটিং মেট্রিক্স পর্যবেক্ষণ করতে সহায়তা করে।

3. তুলনামূলক কম খরচঃ অন্যান্য মার্কেটিং এর মধ্যে এটি মাধ্যমে আপনার সেবা প্রচার করার খরচ অনেক কম। আপনি ঘরে বসেই সব কিছু নিয়ন্ত্রন করতে পারবেন এবং কম জনবল নিয়ে। কিছু কিছু ক্ষেত্ত্রে আপনি একাই সবকিছি সামাল দিতে পারবেন। বিভিন্ন প্রকার ডিজিটাল টুলস দিয়ে আপনি সহজেই অনলাইনভিত্তিক প্রচারণা চালাতে পারবেন। 

4. ব্র্যান্ড প্রচার: ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে আপনি আপনার ব্র্যান্ডকে বিশ্বব্যাপী স্তরে প্রচার করতে পারেন। 

ডিজিটাল মার্কেটিং কত প্রকার

এটি বিভিন্ন মার্কেটিং এবং নিয়মাবলি এর মধ্য দিয়ে বিভিন্ন ভাবে ভাগ করা তবে এটি প্রধানত ৫ ভাগে ভাগ করা যায়। এগুলো নিচে বর্ণনা সহ দেওয়া হলোঃ 

1. সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (SEO): SEO হল ওয়েবসাইট এবং অন্যান্য অনলাইন সামগ্রিক কন্টেন্টগুলির উচ্চতর মান এবং ওয়েবসাইটটি পৃথক অনুসন্ধান ইঞ্জিন পাতায় উপস্থাপন করার একটি পদ্ধতি। SEO-র মাধ্যমে আপনি আপনার ওয়েবসাইটের ভিজিবিলিটি বাড়ানোর জন্য কীওয়ার্ড রিসার্চ, কন্টেন্ট অপটিমাইজেশন, সাইটের ব্যবস্থাপনা, ব্যাকলিঙ্ক নিয়ন্ত্রণ এবং অন্যান্য কর্মসূচি অনুসরণ করতে পারেন।

2. পেইড অ্যাডভার্টাইজিং: পেইড অ্যাডভার্টাইজিং হল প্রচার এবং প্রচারের জন্য পেমেন্ট করে মার্কেটিং করার পদ্ধতি। এটি বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে এডস বা বিজ্ঞাপন প্রদর্শনের জন্য ব্যবহৃত হয়, যেমন গুগল অ্যাডস, ফেসবুক অ্যাডস, লিঙ্কেডইন অ্যাডস ইত্যাদি। পেইড অ্যাডভার্টাইজিং দ্বারা আপনি আপনার লক্ষ্যমূলক পাবলিকের কাছে সঠিক মুহূর্তে এবং সঠিক স্থানে আপনার বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করতে পারেন।

3. সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং: সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং হল সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলির মাধ্যমে মার্কেটিং প্রচার করার একটি পদ্ধতি। এটি প্রধানত ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম, লিঙ্কেডইন এবং ইউটিউবের মতো সোশ্যাল মাধ্যম প্ল্যাটফর্মগুলি ব্যবহার করে প্রচার করা হয়। এটি আপনাকে আপনার পাবলিককে সংক্ষেপে আকর্ষণ করতে এবং সামরিক করতে সাহায্য করে।

4. ইমেল মার্কেটিং: ইমেল মার্কেটিং হল ইমেলের মাধ্যমে প্রচার করার একটি পদ্ধতি। এটি আপনাকে আপনার গ্রাহকদের সাথে পরস্পরের যোগাযোগ সহজ করে এবং পছন্দমত প্রমোশনাল কন্টেন্ট প্রেরণ করে।

5. কন্টেন্ট মার্কেটিং: কন্টেন্ট মার্কেটিং হল উচ্চ মানের এবং সম্পর্কিত কন্টেন্টের মাধ্যমে গ্রাহকদের আকর্ষণ করার পদ্ধতি। এটি ব্লগ পোস্ট, অ্যার্টিকেল, ভিডিও, পডকাস্ট, ইনফোগ্রাফিক, ইউটিউব সিরিজ ইত্যাদির মাধ্যমে করা হয়।

ডিজিটাল মার্কেটিং কিভাবে শুরু করব

এটি শুরু করার জন্য আপনাকে কয়েকটি ধাপ অনুসরণ করতে হবে। নিচে কিছু ধাপ দেওয়া হলোঃ 

1. আপনার ডিজিটাল মার্কেটিং প্রকল্পের জন্য স্পষ্ট লক্ষ্য সংজ্ঞায়িত করুন। আপনি কি জন্য এটি করতে চান,, আপনার কী ধরনের গ্রাহকদের সঙ্গে সম্পর্ক গড়তে চান এবং আপনি কী ফলাফল অর্জন করতে চান তা ধারণা করুন।

2. লক্ষ্যের সাথে মিলিত হতে আপনার করণীয়গুলি নির্ধারণ করুন। আপনি কী ধরণের ডিজিটাল মার্কেটিং পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন, যেমন ওয়েবসাইট তৈরি, ব্লগ লেখা, সোশ্যাল মিডিয়া প্রচার, পেইড অ্যাডভার্টাইজিং, সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন, ইমেল মার্কেটিং ইত্যাদি।

3. আপনার প্রতিষ্ঠান বা পণ্যের জন্য আপনি কেমন ধরণের গ্রাহকদের লক্ষ্য করছেন তা নির্ধারণ করুন। গ্রাহকের আয়, সামাজিক মাধ্যমের ব্যবহার, আগ্রহ, পছন্দ এবং আনুমানিক অনলাইন আচরণ পর্যবেক্ষণ করুন।

4. একটি ওয়েবসাইট তৈরি করুন যা আপনার পণ্য বা পরিষেবার সম্পর্কে তথ্য সরবরাহ করে এবং গ্রাহকদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করে। ওয়েবসাইট ব্যবহারকারীর জন্য সহজবোধ্য, আকর্ষণীয় এবং স্বচ্ছতা বজায় রাখুন।

5. আপনি স্পষ্ট করে নির্ধারিত করবেন যে কোনও সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে আপনি উপস্থিত হতে চান, যেমন ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম, লিঙ্কেডইন, ইউটিউব ইত্যাদি। আপনি নির্দিষ্ট পরিমাণ টার্গেট গ্রাহকদের সাথে সংযুক্ত হতে পারেন এবং প্রকারগুলি ব্যবহার করেন যেন আপনি লক্ষ্যগুলি সম্পন্ন করতে পারেন।

ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে কতদিন লাগে

এটি পূরটাই আপনার উপর নির্ভর করে যে এটি শিখতে কতদিন সময় লাগবে। একটি বিস্তারিত ক্ষেত্র, এবং এটির সাথে সম্পর্কিত যেসব দক্ষতা ও প্রযুক্তির জ্ঞান আপনি সংগ্রহ করতে চান সেটাও ব্যক্তির প্রতিষ্ঠানিক ধারণার উপর নির্ভর করে।

উদাহরণস্বরূপ, আপনি সার্টিফিকেশন কোর্স বা ডিপ্লোমা কোর্স এম্বেড করে নিজেকে সম্পূর্ণ তৈরি করতে পারেন। এই কোর্সগুলি সাধারণত বছরের কিছু মাস থেকে একটি বছরের সময় পর্যন্ত লাগতে পারে। 

ডিজিটাল মার্কেটিং কেন শিখবো

বর্তমান পৃথিবীতে অনলাইন এর বিভিন্ন ধরণের সুবিধার জন্য সবাই অনলাইন ভিত্তিক হয়ে যাচ্ছে। মানুষ তাদের বিনোদন, ইচ্ছা এবং তাদের প্রয়োজনীয় পণ্য সবকিছুই ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহ করে থাকে। এটি যতদিন যাচ্ছে ততো বাড়ছে। তাই বর্তমান বাজারের মধ্যে আপনার ব্যবসা ধরে রাখতে এটি শিখা আপনার জন্য অনেক গুরুত্তপূর্ণ। 

ইসলাম ধর্ম সম্পর্কিত ব্লগ পড়তে আমাদের ওয়েবসাইট পরিদর্শন করতে পারেন

ডিজিটাল মার্কেটিং এর ভবিষ্যৎ

একটি সময় আসবে যখন মানুষ তাদের সব ধরণের প্রয়োজন গুলো অনলাইন থেকে মিটানোর চেস্টা করবে। আর মানুষ যত অনলাইন নির্ভর হবে ততই ডিজিটাল মার্কেটিং এর চাহিদা বাড়বে। 

ডিজিটাল প্রযুক্তি ও ইন্টারনেটের অবকাঠামোর সাথে সাথে বিশ্বের সংখ্যায়নের দিকে চলছে। এর ফলে দৈনিক জীবনের বিভিন্ন দিকে মানুষের ডিজিটাল উপস্থিতি আরও বৃদ্ধি পাবে। এর ফলে আরও বেশি মানুষ ইন্টারনেটে সময় ব্যয় করবেন এবং নির্দিষ্টভাবে সার্চ করে তথ্য পেতে চেষ্টা করবেন। এটি এর পরিধি ও সীমা বাড়াবে। অ্যার্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (AI), মেশিন লার্নিং, বিগ ডেটা এবং ইউনিকর্ন প্রযুক্তির ব্যবহার থেকে সাধারণ ডিজিটাল মার্কেটিং এর কার্যকারিতা বৃদ্ধি পাবে। উদাহরণস্বরূপ, প্রযুক্তিগত উদ্দেশ্যে তথ্য প্রাপ্তি, উপভোগমূলক প্রযুক্তি, ব্র্যান্ড ব্যবস্থাপনা এবং মার্কেটিং ক্যাম্পেইনগুলির অভিজ্ঞতা অত্যন্ত প্রয়োজনীয় হবে।

আল্লাহর উপর ভরসা করার জন্য পড়ুন হাসবুনাল্লাহু ওয়া নি’মাল ওয়াকিল

ডিজিটাল মার্কেটিং কিভাবে বিশ্বকে পরিবর্তন করছে।

ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে আমরা সংযোগের একটি নতুন স্তরে এসেছি। মানুষ এখন ইন্টারনেট ব্যবহার করে বিশ্বের যে কোনও স্থানে সংযোগিত হতে পারেন।এটির জন্য নতুন ব্যবসায়িক মডেলগুলি সৃষ্টি করেছে। এখন কম্পানিগুলি সরাসরি গ্রাহকদের সাথে সংযোগ স্থাপন করতে পারেন এবং তাদের পছন্দ ও প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে তথ্য পাওয়ার মাধ্যমে পণ্য ও পরিষেবাগুলির উন্নতি করতে পারেন।এটির জন্য ব্যবহারকারীরা আপনার সাথে সরাসরি যোগাযোগ করতে পারেন, মতামত দিতে পারেন এবং ব্র্যান্ডের সাথে নির্দিষ্ট সম্পর্ক স্থাপন করতে পারেন। এটি গ্রাহকদের সাথে সংযোগ স্থাপন করে এবং ব্র্যান্ড এর ভরসা ও বিশ্বাস সৃষ্টি করে।

উপসংহার 

আশা করতেছি আপনি উপরের ব্লগটি পড়ে ডিজিটাল মার্কেটিং কি এবং কেনো করা উচিত এটি নিয়ে পূর্নাঙ্গ ধারণা পেয়েছেন। পৃথিবীর সাথে তাল মিলিয়ে আপনার সেবা এবং ব্যবসাকে প্রসার করতে চাইলে ডিজিটাল মার্কেটিং অবশ্যই আপনাকে শিখা উচিত। নয়তো বিশাল এই মার্কেটিং জগতে বেশিদিন ঠিকতে পারবেন না। ধন্যবাদ সবাইকে।

About ডিজিটাল আইটি সেবা

ডিজিটাল আইটি সেবা অনলাইন ভিত্তিক সেবা মূলক প্রতিষ্টান। এখানে অনলাইনে আয়, ডিজিটাল শিক্ষা, ফেইসবুক মার্কেটিং সহ আরও অনেক কাজের ধারণা প্রদান করা হয়। এটি দেশের আর্থিক সামাজিক অবস্থার উন্নতির জন্য কাজ করে থাকে।

View all posts by ডিজিটাল আইটি সেবা →

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *