মটরসাইকেল মামলা সংক্রান্ত বিষয়
Table of Contents
আজকের আর্টিকেলটি মূলত বাংলাদেশের ট্রাফিক পুলিশ কর্তৃক নির্ধারিত ২০১৮ সালের আইন থেকে নেওয়া। এখানে আপনি Motorcycle বা মটরসাইকেল মামলা সংক্রান্ত বিষয় গুলো পরিপূর্ণ না হলেও ধারণা নিতে পারবেন অতিসহজেই।
আরো পড়ুন >> বিশ্ববিদ্যালয়ে ভালো রেজাল্ট করার উপায় জেনে নিন
আমাদের দেশে সাধারণত আইন বিষয়ে আমরা এতটা বেশি সচেতন না। আবার আমরা নিজেরা এই বিষয়গুলো এতটা কড়াকড়িভাবে মেনে চলি না। আমাদের দেশে পুলিশ প্রসাসনের কর্মকর্তা কর্তৃক নির্ধারিত কিছু বিষয় করে দিয়েছেন।
আমরা আজকের আর্টিকেলটিতে শুধুমাত্র Motorcycle বা মটরসাইকেল মামলা যেন না খান সেইগুলো নিয়ে আলোচনা করবো। আশা করবো আর্টিকেলটি যারা Motorcycle বা মটরসাইকেল চালান তাদের জন্য অনেক উপকারী হবে।
মটরসাইকেলে মামলা খেতে না চাইলে
.১. তিনটি পেপারের যে কোন একটি না থাকলে অবশ্যই মামলা খাবেন। তাই আমাদেরকে অবশ্যই এই তিনটা কাগজ সব সময়ই Motorcycle বা মটরসাইকেল মামলা এড়ানোর জন্য সাথে রাখতে হবে।
ক. রেজিষ্ট্রেশন পেপার।
খ. ট্যাক্স টোকেন এবং
গ. ড্রাইভিং লাইসেন্স।
২. কাগজপত্র সব ঠিক আছে কিন্তু তার মেয়াদ শেষ। আপডেড করেননি। মামলা খাবেন। Motorcycle বা মটরসাইকেল মামলা দেওয়ার জন্য এই বিষয়টা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
৩. সেকেন্ড হ্যান্ড বাইক কিনছেন কিন্তু নাম ট্রান্সফার বা পরিবর্তন করেননি। মামলা খাবেন।
৪. লার্নার পেপার আছে কিন্তু পরীক্ষা, ছবি তোলা এবং ফিংগার দেননি এখনো। মামলা খাবেন।
৫. বাইক ড্রাইভ করার সময় হেলমেট পরেননি অথবা আপনি পরেছেন কিন্তু আপনার পিছে যে আছে সে পরেনি মামলা খাবেন।
৬. খালি গায়ে, খালি পায়ে, হাফ প্যান্ট বা লুংগি পরে বাইক ড্রাইভ করলে মামলা খাবেন।
৭. ট্রাফিক/রোড সিগনাল না মানলে মামলা খাবেন। Motorcycle বা মটরসাইকেল মামলা দেওয়ার জন্য পুলিশ এই বিষয়টাকে অনেক সময় গুরুত্ব দিয়ে থাকে। তাই অবশ্যই এই বিষয়টা লক্ষ্য রাখতে হবে।
৮. উল্টা পথে আসলে মামলা খাবেন।
৯. ব্রেক লাইট না জ্বললে, ইন্ডিকেটর লাইট ভাংগা বা না থাকলে, রাতে হেড লাইট না জ্বালালে মামলা খাবেন।
১০. ড্রাইভ করার সময় মোবাইলে কথা বললে অথবা নেশা করে ড্রাইভ করলে মামলা খাবেন।
১১. অনুমতি ব্যতিত বাইক মোডিফাই করলে, রঙ পরিবর্তন করলে, VIP হর্ন ব্যবহার, ফগ লাইট ব্যবহার, হ্যালোজেন লাইটের জায়গায় LED হেডলাইট ব্যবহার করলে মামলা খাবেন।
১২. বাইকে ২জন এর অধিক যাত্রি থাকলে মামলা খাবেন।
১৩. অবৈধ ভাবে পার্কিং করলে মামলা খাবেন।
বিঃ দ্রঃ এছাড়া আর কোন মামলা দেওয়ার সুযোগ নাই। আপনি যদি এসব মেনে ড্রাইভ করেন তাহলে কোন পুলিশ সার্জেন্ট আপনাকে মামলা দিতে পারবে না।ইনশাআল্লাহ।
সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ অনুযায়ী করণীয়
উপরোক্ত বিষয়গুলোকে আমি আরও সহজ করে নিচে দিয়ে দিচ্ছি। এটা বাংলাদেশ ট্রাফিক পুলিশ এর আইন থেকে নেওয়া হয়েছে।
মটরসাইকেলে মামলা খেতে না চাইলে সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ অনুযায়ী করণীয় বিষয়গুলো নিয়ে আমাদের এখনকার পার্ট।
১. তিনটা পেপারের যে কোন একটি না থাকলে অবশ্যই মামলা খাবেন তার মধ্যে অন্যতম হলো।
(ক) রেজিষ্ট্রেশন পেপার। (খ) ট্যাক্স টোকেন এবং (গ) ড্রাইভিং লাইসেন্স।
২. ট্যাক্স টোকেন ও ড্রাইভিং লাইসেন্স এর মেয়াদ থাকতে হবে। না হয় মামলা খাবেন। রেজিষ্টেশন পেপার এর মেয়াদ লাগে না।
৩. সেকেন্ড হ্যান্ড বাইক কিনছেন কিন্তু নাম ট্রান্সফার বা পরিবর্তন করেননি। মামলা খাবেন।
৪. লার্নার পেপার আছে কিন্তু পরীক্ষা, ছবি তোলা এবং ফিংগার দেননি এখনো। মামলা খাবেন।
৫. বাইক ড্রাইভ করার সময় হেলমেট পরেননি অথবা আপনি পরেছেন কিন্তু আপনার পিছে যে আছে সে পরেনি, মামলা খাবেন।
৬. ট্রাফিক/রোড সিগনাল না মানলে মামলা খাবেন।
৭. উল্টা পথে আসলে মামলা খাবেন।
৮. ব্রেক লাইট না জ্বললে, ইন্ডিকেটর লাইট ভাংগা বা না থাকলে, রাতে হেড লাইট না জ্বালালে মামলা খাবেন।
৯. ড্রাইভ করার সময় মোবাইলে কথা বললে অথবা নেশা করে ড্রাইভ করলে মামলা খাবেন।
১০. অনুমতি ব্যতিত বাইক মোডিফাই করলে, রঙ পরিবর্তন করলে, VIP হর্ন ব্যবহার, ফগ লাইট ব্যবহার, হ্যালোজেন লাইটের জায়গায় LED হেডলাইট ব্যবহার করলে মামলা খাবেন।
১১. বাইকে ২জন এর অধিক যাত্রি থাকলে মামলা খাবেন।
১২. অবৈধ ভাবে পার্কিং করলে মামলা খাবেন।
১৩. সরকারি কাজে বাধা সৃষ্টি/পুলিশ এর কাজে বাধা সৃষ্টি করলে মামলা খাবেন।
১৪. ফুটপথে মোটরসাইকেল চালালে মামলা খাবেন।
১৫. লুকিং গ্লাস/ সেফটি গ্লাস না থাকলে মামলা হয়।
উপরের বিষয়গুলি মেনে চললে, সহজে মামলা এড়ানো সম্ভব।
সূএ: ট্রাফিক পুলিশ
মটরসাইকেল মামলা নিয়ে আর্টিকেলটি প্রথম প্রকাশিত হয় ৮ই আগষ্ট ২০২২ সাল
Article Source = ট্রাফিক পুলিশ বা Traffic Police