সম্পদ ও মানসিক শান্তির মধ্যে কোনটা দামী

সম্পদ ও মানসিক

সম্পদ ও মানসিক শান্তির মধ্যে কোনটা দামী

কিছুদিন আগে একটা ডাক্তারকে একজন সাংবাদিক প্রশ্ন করেছিলেন যে, একজন মানুষের জীবনে কোন বিষয়টা অনেক বেশি দামী সম্পদ নাকি মানসিক শান্তি নাকি দুটোই নাকি কোনটাই না অন্য কিছু হবে উত্তর ?

আরো পড়ুন >> ৬ষ্ঠ ও ৭ম বিষয়ভিত্তিক ষান্মাসিক সামষ্টিক মূল্যায়ন। 

এরকম প্রশ্ন আমাদের মনে অনেক আসে তবে সটিক উত্তরটা আমরা অনেকেই জানি না বা অনেকেই জানলেও সেটা মানি না। আসলে আমরা অনেকেই জানি না কোনটা সম্পদ আর কোন কোনটা সম্পদ না। সম্পদ বলতে আমাদের মধ্যে যেই ধারণাটা বিরাজমান তা হলো টাকা-পয়সা। একজন মানুষের অনেক টাকা পয়সা আছে তার মানে তার অনেক সম্পদ আছে। 

 

Wealth And Mental satisfaction

আর্টিকেলটি যখন লিখছিলাম তখন আমি নিউজে দেখলাম ইলম মাস্ক যুক্তরাষ্ট্রের ৩য় ধনী ব্যাক্তি এবং এক রাতে তার সম্পদের পরিমান বেড়েছে ১২০০ কোটি ডলার। ইলন মাস্ক সম্পর্কে যদি জানতে চান সামান্য একটু বলি তিনি আফ্রিকান মাত্র ১৪ বছর বয়সে আমেরিকার মত দেশে আসেন এবং তারপর তিনি সেখানেই তার প্রতিভার বিকাশ ঘটাতে থাকেন।

পেপাল বিশ্বের জনপ্রিয় লেনদেন মাধ্যম আর এই পেপালের নির্মাতা হলেন এই ইলন মাস্ক। শুধু পেপাল ই নয়, তিনি SpaceX এবং Tesla নামক পরিবেশ বান্ধব গাড়িরও নির্মানা বা জনক বলা হয়। যাইহোক এটা বলতেছিলাম সম্পদের কথা তিনি কিন্তু এত সম্পদের মালিক যেটা কিনা বিলগেইটসেও ছাড়িয়ে যাবার মত।

অথচ সেই ব্যাক্তিটি টেসলার CEO হিসেবে কোন বেতন নেন না। এটা বলতেছিলাম আমরা যেটাকে সম্পদ বলি সেটা। আসলে আমরা সবাই এই জিনিসগুলোকেই সম্পদ হিসেবে বিবেচনা করি আর এর পেছনেই জীবনের অনেকটা সময় ব্যয় করে থাকি। 

ওয়েব ডিজাইন ও ডেভেলপমেন্ট শিখুন সহজেই

আর একটা কথা বলেছিলাম সেটা হলো মানসিক শান্তি। আমরা আমাদের মানসিক শান্তি বলতে কি বুঝি সেটা অনেক জটিল একটা বিষয়। অনেকেই বলে থাকেন যার যত টাকা-পয়সা তার তত বেশি মানসিক শান্তি আর যার টাকার পরিমাণ যত কম তার মানসিক শান্তির পরিমাণটাও ততটাই কম।

আমরা আমাদের মানসিক শান্তিটাকে টাকার পরিমাণের সাথে তুলনা করে থাকি বেশিভাগ মানুষ। সম্পদ শব্দটা অনেক ছোট হলেও এর পেছনে আমাদের অনেকেরই অনেক ধারণা আছে তারপরেও আমরা কোনটা আসল সম্পদ বা কোনটা আসল মানসিক শান্তি বা কোনটা সফলতার চিহ্ন সেটা নিয়ে অনেকেরই ভালো ধারণা নেই। সম্পদ নাকি মানসিক শান্তি কোনটা বেশি দামী তা জানানোর আগে আসুন জেনে নিই একটা ঘটনা। 

আমার পরিচিত একজন বলেছিলেন অবশ্য ঘটনাটা। তিনজন বন্ধু ছিল যাদের একজন পড়াশোনায় অনেক ভালো হওয়ার কারণে সে পিএইচডি ডিগ্রি শেষ করে একটা চাকরী নেয়। আর একজন ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা আয় করে আর আরেকজন বিজনেস করে অর্থ উপার্জন করে। তো হঠাৎ একদিন তারা একসাথে দেখা করলো এবং তাদের মধ্যে যা কথা হলো তা নিচে দেওয়া হলো। 

ফ্রিল্যান্সার বন্ধুঃ কি রে দোস্ত ? কি খবর তোর ?

পিএইচডি ডিগ্রিধারী বন্ধুঃ আলহামদুলিল্লাহ দোস্ত ভালো। তোর কি খবর ? 

ফ্রিল্যান্সার বন্ধুঃ এই তো চলছে। শুনলাম চাকরীতে ঢুকেছিস ? তা বেতন কত ? 

পিএইচডি ডিগ্রিধারী বন্ধুঃ ৩৫০০০ টাকা দোস্ত। 

ফ্রিল্যান্সার বন্ধুঃ মাত্র ৩৫০০০ টাকা তাও আবার এত লেখাপড়া শেষ করে। আমি তো অনলাইনে কপিপেস্ট করেই মাসে প্রায় দেড় থেকে ২ লক্ষ টাকা আয় করি। 

পিএইচডি ডিগ্রিধারী বন্ধুঃ আমি তো চাকরী করি তাই কম। (এর মধ্যেই বিজনেস করা বন্ধুটিও এসে যোগ দেয়) 

ফ্রিল্যান্সার বন্ধুঃ আরে দোস্ত কি খরব তোর ? 

বিজনেস করা বন্ধুঃ এই তো রে চলছে। অনেক ব্যস্ত তা তোদের কি অবস্তা ? তারপর দোস্ত চাকরী পাইলি বেতন কেমন ? 

ফ্রিল্যান্সার বন্ধুঃ আর বলিস না ও নাকি ৩৫০০০ টাকা বেতন পায়। 

বিজনেস করা বন্ধুঃ কি বলিস দোস্ত আমি তো এত ব্যস্ত যে সময়ই পায় না আর আমার তো একটা একাউন্ট এ হয়না আর আমি তো মাসে প্রায় ১০ লক্ষ টাকার বেশি আয় করি। 

উপরের বিষয়টা আর বেশি বলবো না। এর পরে আরেকজন লোক আসে ফ্রিল্যান্সার বন্ধু ও বিজনেস করা বন্ধু চলে যাওয়ার পর। তারপর পিএইচডি ডিগ্রিধারী বন্ধুকে জিজ্ঞেস করে তার মন খারাপের কারণ।

সে তখন তার বেতন কম আর তাদের বেতন বেশি এসব বলে। আসলে এই কারণেই সে মন খারাপ করে বসে আছে আর ভাবছে এত লেখাপড়া করে কি করলাম। তারপর সে পিএইচডি ডিগ্রিধারী বন্ধুকে বলল, শোন তাহলে ওদের কাহিনী।

তারা ঠিকই বলেছে তারা এত টাকা আয় করে কিন্তু তাদের একজনের টাকাও বৈধ বা হালাল না। দুইজনই মানুসকে প্রতারিত করে টাকা আয় করে থাকে। আর তুই যেটা করছিস সেটা হালাল আর বৈধ আয়। তাই আমার মনে হয় আল্লাহ তোকে যা দিয়েছে তাই নিয়েই খুশি থাক। কারণ তুই প্রতিদিন কষ্ট করে মাস শেষে যেই শান্তি পেয়ে চলিস তারা সেই শান্তিতে থাকতে পারে না তারা সব সময়ই টেনশানের মধ্যে থাকে। 

শোন আল্লাহ মানুষকে একটা নির্দিষ্ট অর্থ আয় করবে সেটা দিয়েই পাঠিয়েছেন আর সেই অর্থটা সে কিভাবে আয় করবে সেটা নির্ভর করবে তার কাজের উপরে। তারা হারাম ভাবে করছে করুক আর তুই যেটা করছিস এক সময় দেখি তারা আবার তোর কাছে এসেই বলবে তাদের বিগত দিনের ভুলের কথা।

আসলে বিষয়টা যদিও একটা ধার্মিকতার দিকে চলে গেলো তারপরেও যারা সম্পদ অর্জন করতে করতে অনেক বেশি সম্পদের মালিক তাদের সাথে যদি আপনার কখনও কথা বলার সুযোগ হয় তবে তাদেরকে ফ্রি ভাবে জিজ্ঞেস করবেন যে, ব্যক্তিজীবনে তারা কতটুকু সুখী এবং ব্যক্তিজীবনে তারা কতটুকু সফল।

আমার মনে হয় শতকরা ৮৫% লোক বলবে সম্পদের চাইতে মানসিক শান্তির অনেক দাম আর মানসিক শান্তি ছাড়া এসব সম্পদের কোন মূল্যই নেই। আসলেও বিষয়টা তাই কিন্তু সমস্যা হলো আমরা এই বিষয়টা বুজতে বুঝতে অনেকটা দেরি করে ফেলি। 

মানসিক শান্তির কতটা দাম আমি একটা মাত্র উদহারণ দেবে তাহরেই বুঝতে পারবেন। আমি কিছুদিন আগে একটা মেডিক্যালে গিয়েছিলাম সেখানে একজন ব্যাক্তিকে দেখে আমি আশ্চর্য হয়ে আমার এক ডাক্তার বন্ধু সেখানেই চাকরী করতো তাকে জিজ্ঞেস করলাম সেই লোকটা সম্পর্কে।

তো আমার ডাক্তার বন্ধু আমাকে জানালো লোকটার শহরে তিনটা বাড়ি আছে অথচ লোকটার পায়ের মধ্যে এক ধরনের ঘা হয়েছে যেটা কোনভাবেই ভালো হচ্ছে না। তিনি দীর্ঘদিন যাবত ঔষধ খাচ্ছেন তারপরেও সেটা ভালো হচ্ছে না।

এখন তিনি নিয়মিত এখানে চেক করাতে আসেন আর সমস্যাগুলো জানান তবে তার এই সমস্যা ভালো হবে না । তিনি বিদেশেও দেখিয়েছেন এটা এখন তার শারীরিক রোগের চাইতে এটা মানসিক রোগের অন্যতম কারণ হয়ে দাড়িয়েছে।

অথচ আমার মেডিক্যালে আসার সময় একটা মুরব্বীর রিক্সা দিয়ে আসলাম যিনি তার গল্প করতে গিয়ে বলছেন তিনি সন্ধ্যার পর বেশি সময় বাইরে থাকেন না আর প্রতিদিন একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ ভাড়া হলেই তিনি বাসায় চলে যান। 

মানসিক শান্তিটা এরকমই যেটা আপনাকে সম্পদ থাকা আর না থাকার বিষয়টা ভুলিয়ে রাখবে। আসলে কিভাবে আমরা পাবো এই মানসিক শান্তি তার জন্য অনেক লেখক অনেক লেখা লিখেছেন তার মধ্যে থেকে সবচেয়ে ভালো কিছু গুণ আমি জানানোর চেষ্টা করবো এখানে। 

(১) অল্পতুষ্টিতা

অল্পতুষ্টিতা অনেক বড় একটা গুন যেটা আপনার আপনার নিজের সাতে আরেকজনের তুলনা করাটাকে কমাতে সাহায্য করবে। উপরের গল্পটা থেকে বুঝতে পারবেন বিষয়টা অনেক ভালো করে।

যে শিক্ষা লাভ করে মাত্র ৩৫ হাজার টাকা বেতন পায় আর সে সেই টাকা নিয়েই কোন রকম জীবন যাপন করছে আর এতেই সে মানসিক শান্তিতে আছে কারন তিনি যা আয় করছেন সেটা তার কষ্টের অর্জিত টাকা এখানে তিনি সারাদিন পরিশ্রম করার পরে বাসায় এসে শান্তিতে ঘুমিয়ে পড়তে পারেন।

আর যিনি মাসে লক্ষ টাকার বেশি আয় করেন তিনি কিন্তু আপনার মত অল্পতে খুশি নয়। কোন মাসে কম টাকা আয় হলে তার ঘুম নষ্ট হয়ে যায় তিনি আরও বিকল্প ভাবে কিভাবে আয় করা যায় সেসব নিয়ে চিন্তায় ব্যস্ত থাকেন বেশিভাগ সময়। আর এটা থেকেই বোঝা যায় মানসিক শান্তির জন্য সম্পদ থাকার চাইতে কিছু গুন থাকা অনেক জরুরী। 

(২) নিজের যা আছে তা নিয়ে খুশি থাকা 

আমার যা আছে তার মধ্যেই আমার খুশি লিপিবদ্ধ রাখতে পারাটা অনেক বড় একটা। এটাতে আপনি অনেক ভালো থাকবে কারণ এটা আমাদের চাহিদাকে একটা নির্দিষ্ট পরিসীমার মধ্যে আবদ্ধ করে রাখে।

প্রত্যেকটা ব্যক্তির উচিত নিজের যা আছে তা নিয়ে সন্তুষ্ট থাকা এর ফলে কখনও লোভ আসে না আর এই গুণটা আমাদের চাহিদাকে ছোট করে রাখে যেন আমরা অতিরিক্ত কোন কিছু না চাই।

দেখুন সৃষ্টিকর্তা আপনাকে যা দিয়েছে এটার মধ্যেই আপনার ভালো কিচু আছে কারণ তিনি আপনার চাইতে বেশি চিন্তিত আপনাকে নিয়ে। আপনি যদি কোন গাছ রোপন করেন তাহলে যেমন তার নিয়মিত তদারকি করেন তেমনি সৃষ্টিকর্তা আপনাকে সৃষ্টি করেই শান্ত হননি বরং তিনি আপনার জন্য সকল ব্যবস্থা করে রেখেছেন আপনাকে শুধু চেষ্টা ও ধৈর্য্য ধারণ করে তা নিতে হবে।

আর মনে রাখবেন আপনার জন্য যা বরাদ্ধ তা যদি অনেক দুরেও থাকে তারপরেও আপনার কাছে আসবে আর যা বরাদ্ধ নয় তা যদি আপনার চোখের সামনেও থাকে তবে সেটা আপনার কখনই হবে না। 

(৩) লোভ কমানো 

লোভ অনেক ধরনের হয়ে থাকে। কারো সম্পদের, কারো সৌন্দর্যের, কারো অর্থের আবার কারো আছে চাকরীর। সব ধরনের লোভই খারাপ তবে জ্ঞান অর্জনের লোভ আমাদেরকে জ্ঞানি করে তোলে।

আরেকজন অনেক জ্ঞানী তার মত জ্ঞান লাভ করতে হলে আমাকে কি কাজ করতে হবে এসব লোভ আমাদেরকে মানসিকভাবে শক্তিশালী করে তোলে।

আর লোভ কমানোর জন্য আমাদেরকে অবশ্যই নিজের যতটুকু আছে এটাই যে আমাদের জন্য যথেষ্ট বিষয়টা মনে রাখতে হবে যেন আমরা আমাদের বর্তমান সম্পদ দিয়ে ভালো থাকতে পারি। একজন একটা চাকরী পেলে সে তাতে সন্তুষ্ট থেকে তার চাইতে আরও ভালো চাকরী কিভাবে পাওয়া যাবে সেই চিন্তায় ব্যস্ত থাকে বেশিরভাগ সময়। আর মনে রাখা উচিত যে, লোভী ব্যাক্তি কখনই মানসিকভাবে শান্তিতে বাস করতে পারে না। 

(৪) আত্মসমালোচনা করা 

আত্মসমালোচনা অনেক বড় একটা গুন। আমি সারাদিন কি কাজ করলাম কাউকে কষ্ট দিলাম কিনা বা কাউকে ধোকা দিলাম কিনা এসব বিষয় যখন আমি নিজে থেকেই আলোচনা করবো তখন আমার দ্বারা খারাপ কাজ হবে না। আর আমি যদি খারাপ কাজ না করি তবে নিশ্চয় আমি মানসিক শান্তিতে বসবাস করতে পারবো।

পৃথিবীর সবচেয়ে দামী মানুষগুলো নিজেরা নিজের সমালোচনা করে থাকে। তারা আজকের চাইতে আগামী কালকের দিনটাকে বেশি ভালো করে তোলার চেষ্টা করে থাকে। তাদের এই কাজের জন্য তারা সময়মত সব কাজ করে নিজেরাই নিজেদের মানসিক শান্তির একটা জগত তৈরি করে থাকে।

আমাদেরও উচিত অন্তত্য মানসিক শান্তির জন্য হলেও আত্মসমালোচনা করা। এটা অনেক ভালো ব্যাক্তিদের গুণ, এটা অনেক ভালো ব্যাক্তিদের লাইভ স্টাইল তাই আমাদেরকে এই গুন অর্জন করার চেষ্টা করতে হবে যদি আমরা মানসিক শান্তিতে বসবাস করতে চায়।

সবশেষে আমি বলবো যে, সম্পদ অবশ্যই দরকার আছে তবে সেই সম্পদ অর্জন করার জন্য অমানুষ হওয়ার কোনই দরকার নেই। কারণ অমানুষরাও মানুষ হলেও তারা অন্য জগতের মানুষ তারা কখনই মানসিকভাবে তৃপ্ত নয়।

যদি সম্পদই মানুষের সকল শান্তির আসল হতো তবে পৃথিবীতে যারা অনেক সম্পদের মালিক তারা আরও অনেক সুখে থাকতে পারতো। তারা মৃত্যুর পর কোন সম্পদই নিয়ে যেতে পারেন না হ্যা অবশ্যই তার কাজগুলোকে আমাদের পছন্দ করতে হবে আর তার ভালো কাজের অবশ্যই সম্মান জানাতে হবে।

তবে এটা ভুলে গেলে চলবে না সম্পদের বাইরেও আমাদের একটা জীবন আছে আর সেই জীবনে যারা সুখী তারাই প্রকৃত মানুষ বা তারাই প্রকৃত ভাবে সুখী মানুষ। তাই আমি সবশেষে বলবো সম্পদের চাইতেও দামী সম্পদ হলো মানসিক শান্তি যা আমরা কখনই টাকা দিয়ে কিনতে পারবো না। 

 প্রথম প্রকাশিত হয় ২২ ই ডিসেম্বর ২০২০ সাল

About ডিজিটাল আইটি সেবা

ডিজিটাল আইটি সেবা অনলাইন ভিত্তিক সেবা মূলক প্রতিষ্টান। এখানে অনলাইনে আয়, ডিজিটাল শিক্ষা, ফেইসবুক মার্কেটিং সহ আরও অনেক কাজের ধারণা প্রদান করা হয়। এটি দেশের আর্থিক সামাজিক অবস্থার উন্নতির জন্য কাজ করে থাকে।

View all posts by ডিজিটাল আইটি সেবা →

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *