করোনা চলে গেলে আবারও মাস্ক বিহীন জীবন-যাপনে ফিরবে মানুষ। আর এই করোনা থাকা সময়ে বাধ্যতামূলকই মাস্ক পরিহিত জীবন-যাপন করতে হবে পুরো পৃথিবীর মানুষকে।
কারোনাকালে সৌন্দর্য্যবর্ধন এর জন্য দক্ষিণখান কোরিয়ায় দ্বিগুণ হযেছে কসমেটিক সার্জারি। যা আমাদের দেশেরসহ বিশ্বের বিভিন্ন মিডিয়াতে উঠে এসেছে। এখন তো মাস্ক পরা অবস্থাতে থাকতে হয় আর এই সময়টাতে যদি কসমেটিক সার্জারি করা হয় তাহলে বাইরের মানুষগুলো বুঝতেই পারবে না। আর যখন করোনা এর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে তখন তাদের সুন্দর মুখটাই দৃশ্যমান হবে সবার। আর এই সুবিধাটা নেওয়ার জন্যই অনেক নাগরিক ছুটছেন কসমেটিক সার্জারি করার জন্য। আমাদের দেশে এমন চিত্র কম দেখা গেলেও বাইরের দেশে প্রযুক্তিগত দিকটা উন্নত থাকার কারণে অনেক বেশি আগ্রহী হযে উঠছে মানুষ।
এর মধ্যে বেশিভাগই আসছে মেয়ে। আমরা করোনার সময়টাতে দেখেছি দেশের বিউটি পার্লার গুলো অনেক বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। এখন বডি ম্যাসেজ, স্পা এর বিজনেস, ছেলে ও মেয়ে উভয়ের জন্যই জিম এই ব্যবসাগুলো অনেক পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে করোনার কারণে। বিগত কয়েক বছরে আমাদের দেশে কসমেটিক সার্জারি করার পরিমানটাও অনেক বেশি হযেছে। করোনার সময়টাতে বেছে নেওয়ার অন্যতম কারণ হলো কসমেটিক সার্জারি করার বেশ কিছুদিন সার্জারি করার দাগ থেকে যায় আর করোনার সময়টাতে তো অনেকেই মানে সবাইকেই বাধ্যতামুলক মাস্ক পরতে হয়। যখন করোনা চলে সেই সময় আসতে আসতে তাদের কসমেটিক সার্জারি করার দাগগুলোও উঠে যাবে।
আগে প্লাস্টিক সাজারি করা হতো যার কারনে অনেক সময় বোঝা যেতো পরিবর্তনটা। কিন্তু প্রযুক্তির কল্যানে এখন আসছে কসমেটিক সাজারি যেখানে আপনি ধরতেই পারবেন না চেহারার প্রযুক্তিগত পরিবর্তন। একদম প্রাকৃতিক মনে হবে বিষয়টা।
বর্তমান পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি যেই দেশের মেয়েগুলো এই কাজে অংশগ্রহণ করছে এক জরিপে দক্ষিণ কোরিয়ার নাম উঠে এসেছে। দক্ষিণ কোরিয়ার কসমেটিক সার্জার দের এই করনো মহামারির সময়ে শ্বাস ফেলার সময় নেই বললেই চলে। কসমেটিক সার্জারি কারী ডাক্তারদের মিডিয়া দেখা করলে তারা বলেন, করোনার কারণে বেশির ভাগ মানুষ মুখে বিশেষ করে নাম, ঠোট, চোখ এসব কিছুই সুন্দর করতে আসছেন। আর যেহেতু মাস্ক এই অংশগুলো ঢেকে রাখতে পারে তাই এই অংশগুলোই তারা কসমেটিক সার্জারি করছে। অর্থ্যৎ মাস্ক পরিহিত অংশই কসমেটিস সার্জারি করা হচ্ছে বেশি বলেও জানিয়েছেন দক্ষিণখান করিয়ার কসমেটিক সার্জাররা।
বিশ্ব বিদ্যালয় পড়ুয়া ২০ বছর বয়সী একজন তরুণী যার নাম ছিল রিউ হান-না তিনি বলেন আমি আমার নাকটা সুন্দর করার জন্য এসেছি।
চিত্রে রিউ হান-না বলেন তিনি মনের মত নাক পেতেই ছুরি, কাচির নিচে শুয়ে ছিলেন। তিনি তার নাকটা সুন্দর করার জন্য ডাক্তারদের কাছে এসেছেন। মহামারিতে অনেক প্রাণহানি হলেও তার চিন্তা ছিল মহামারি থাকা সময়েই তিনি তার নাকটাকে সুন্দর করে নেবেন। শুধু নাকের সার্জারিতে তার খরচ হয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার মুদ্রায় ৪৪ লাখ ওন। কসমেটিস সাজারি করা ডাক্তারটা বলছেন যে, মাস্ক এর যে অংশ ঢেকে থাকে সেই অংশগুলোই বেশি সার্জারি করতে আসছেন তাদের কাছে।
শুধু দক্ষিণ কোরিয়ায় নয় সামগ্র বিশ্বেই মুখ সুন্দর করার একটা প্রতিয়োগী চলছে। মিডিয়াতে উঠে এসেছে এই কসমেটিক সার্জারি অনেক বেশি ব্যয়বহুল হলেও অনেকেই সরকার থেকে পাওয়া প্রণোদনা ঢালছেন তাদের দেহের সৌন্দর্য বাড়ানোর কাজে। অনেকেই মনে করছেন করোনার পরে তারা পাবেন নতুন জীবন ।
আরো পড়ুন >> ওয়েবসাইটের সুবিধা ও অসুবিধা কি ?
আরো পড়ুন >> বর্তমান সময়ে উদ্যোক্তা হওয়ার ১০টি কারণ।
আরো পড়ুন >> ৩০ বছরের আগেই যেসব সিদ্ধান্ত আপনার জীবন পাল্টে দেবে।
দক্ষিণ কোরিয়ার কসমেটিক সার্জাররা এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন। একজনের দেখাদেখি আসছে আরও অনেকেই। এভাবেই তারা প্রতিদিনই নতুন নতুন রোগীর দেখা পাচ্ছেন। দক্ষিণ কোরিয়ায় সরকারি অর্থ সহায়তা দেওয়া হয় মোট নগদ অর্থ প্রদান ১৩শ কোটি ডলার। যার মধ্যে হাসপাতাল ও ফার্মেসিতে গেছে ১০.৬%। একজন গবেষক বলেছেন মহামারির কারণে ২০২০ সালে অনলাইনে সেবা নিয়েছেন প্রায় ৬৩% মানুষ।
গ্যাংনাম আন্নি এর মুখপাত্র হোয়াং জো-ইউন বলেছেন ২০২০ সালে ২৬ লাখ মানুষ অনলাইনে সেবা নিয়েছে যা এর আগে কখনও নেয় নি। আরও ১০ লাখের মত আবেদন আছে তাদের হাতে। যা আগের বছরের তুলনায় দ্বিগুন। ব্যপক দক্ষতার কারণে পুরো বিশ্বের রাজধানী হিসেবে বিবেচনা করা হয় এই দক্ষিণ কোরিয়াকে। যদিও করোনা মহামারির কারণে কোভিড-১৯ এর সময়টাতে বিদেশীদের ঢল কম ছিল তবে দেশীয় মানুষ অনেক বেশি আগ্রহী হয়েছেন এই কসমেটিক সার্জারি করার কাজে।
আরো পড়ুন >> অনলাইনে আয় করার সহজ উপায় ?
আরো পড়ুন >> ভবিষ্যতে চাকরীর জন্য যেসব দক্ষতা প্রয়োজন।
তবুও এই খাত থেকে হাজার কোটি ডলারেরও বেশি আয় হয়েছে রাজস্ব বোর্ডে বলে জানা গেছে এক গবেষনা পত্র থেকে। যা বিগত বছরের থেকেও বেশি বলে জানানো হয়েছে।
আসলে কেন এত আগ্রহী কসমেটিক সার্জারি করার জন্য ? এই প্রশ্নটা যদি গুগলকে করা হয় তবে গুগল সবচেয়ে বেশি যেই কারণটি দেখাবো তা হলো মানুষ সুন্দর প্রতি অনেক বেশি আগ্রহী বর্তমান সময়টাতে। আর সুন্দরের প্রতিযোগীতার কারণেই মূলত এর প্রতি অনেক বেশি আগ্রহী। আমাদের দেশেও বর্তমানে বিউটি পার্লার হওয়ার কারণে কসমেটিক পণ্যগুলো আগের থেকে কয়েক গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। অনলাইনে শপ গুলোতে যদি খোজ নেওয়া যায় তবে দেখা যাবে যে, মেয়েদের কসমেটিক বা সৌন্দর্য বাড়ানোর পণ্যগুলোই বেশি চলছে অনলাইন শপগুলোতে।
যদিও করোনার সময়টাতে অনলাইন মার্কেটিং টা আগের থেকে অনেক বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। যার ফলে নতুন নতুন প্রডাক্ট সহজেই হাতের নাগালে মিলছে সবার।
কসমেটিক সার্জারি কি বা কসমেটিক সার্জারি কিভাবে ফিগার সুন্দর করে ?
এমন প্রশ্ন করলে গুগল আপনাকে জানাবে, কোনো ব্যক্তির মুখমন্ডল অথবা ফিগার সুন্দর করার জন্য যেকোনো প্লাস্টিক সার্জারিকেই আমরা কসমেটিক সার্জারি বলে থাকি। বর্তমানে কসমেটিক সার্জারির ৬০% ই হয় নাকে।
অনেক আগে থেকেই স্তনের কসমেটিক সার্জারি, ছোট স্তনকে বড় করা, মুখমন্ডলের কসমেটিক সার্জারি, নাকের কসমেটিক সার্জারি, মুখমন্ডল কুচকে যাওয়ার কসমেটিক সার্জারি, অবাঞ্জিত তিল অপসারণ এর কসমেটিক সার্জারি, চুল লাগানো, অস্বাভাবিক স্তনকে ছোট করা, ঝুলে পড়া পেট ঠিক করা ইত্যাদি বিষয়ে কসমেটিক সার্জারির প্রচলন আগে থেকেই ছিল তবে করোনার মহামারি সময়টাতে অনেকটা বেড়েছে। আমাদের দেশের বিভিন্ন মডেল ও অর্থবিত্তশালীরা বাইরের দেশ থেকে অনেকেই এই কসমেটিক সার্জারি করিয়ে এসেছেন বলেও বিভিন্ন মিডিয়াতে জানা গেছে।
তাদের বেশিভাগ ই নিজের শরীরের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করার জন্য এই কসমেটিক সার্জারিগুলো করিয়েছেন বলেও তারা জানিয়েছেন বিভিন্ন মিডিয়া বা তাদের ফেইসবুক পেজের মাধ্যমে।
আরো পড়ুন >> তরুণ ও তরুনীদের সরকারী চাকরীতে আগ্রহের কারণ।
আরো পড়ুন >> ওয়েসাইট থাকার ১০টি সুবিধা।