নতুন বছরে সরকারি-বেসরকারি মাধ্যমিক ও নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৮৫ দিন ছুটি রেখে শিক্ষাপঞ্জি তৈরি করা হয়েছে। ২০২০ সালে করোনা মহামারি প্রভাব ২০২১ সালের শুরুর দিকে থাকলেও সরকারী একটা তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। এই ছুটির তালিকা অনুসারে করোনার পরবর্তীতে শিক্ষাকার্যক্রম পরিচালনা করা হবে বলে জানানো হয়েছে ইতোমধ্যে। তবে কবে নাগাদ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলবে সে বিষয়ে নিশ্চিত করে জানানো হয় নাই এখনও। আমাদের মাননীয় শিক্ষামন্ত্রি করোনার কারণে অসুস্থ থাকার কারণে ২০২১ সালের ছুটির তালিকাটি আসতে একটু দেরি হয়েছে। এদিকে ২০২০ সালের এইচ. এস. সি. পরীক্ষার ফলাফল জানুয়ারির প্রথম দিকে দেওয়ার কথা রয়েছে। ডিসেম্বরের শেষে দেওয়ার কথা থাকলে জটিলতার কারণে তা দেওয়া সম্ভব হয় নাই বলে আগেই জানানো হয়েছিল।
এবার আসুন দেখে নেওয়া যাক ২০২১ সালের ছুটির তালিকটি। নিচে পিডিএস এর লিংক ও ছবির মাধ্যমে দেওয়া হলো। আপনারা পিডিএফ ডাউনলোড করে নিজের কাছে রেখে দিতে পারেন আবার ছবিও দেখে নিতে পারেন।
PDF ডাউনলোড করার জন্য ক্লিক করুন।
ছবিগুলো পর্যাক্রমে দেওয়া হলো নিচে।
পবিত্র রমজান মাস, মে দিবস, বুদ্ধপূর্ণিমা, বৈশাখী পূর্ণিমা, শবে কদর, জুমাতুল বিদা ও ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ১৪ই এপ্রিল থেকে ১৯ মে পর্যন্ত মোট ৩১ দিন ছুটি থাকবে। ২০২১ সালের মধ্যে এটাই সবচেয়ে বড় ছুটি। এছাড়াও ঈদুল আজহা ও শ্রীষ্মকালীন অবকাশে ১৭ থেকে ২৯ জুলাই পর্যন্ত মোট ১২ দিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে।
ঈদে মিলাদুন্নবী, দুর্গাপূজা ও প্রবারণা পূর্নিমা উপলক্ষে ১১ই অক্টোরব থেকে ২০ই অক্টোবর পর্যন্ত মোট ৯ দিন সরকারী ও বেসরকারী মাধ্যমিক ও নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয় বন্ধ থাকবে। শীকালীন অবকাশ, বিজয় দিবস, বড়দিন উপলক্ষে ১৫ই ডিসেম্বর থেকে ২৯শে ডিসেম্বর পর্যন্ত মোট ১৩ দিন সরকারী ও বেসরকারী মাধ্যমিক ও নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয় ছুটি থাকবে।
সরকার এবার পরীক্ষার একটা তালিকাও প্রকাশ করেছে যা মাউশি ও প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় কতৃক প্রকাশিত হয়েছে। ১১ই জুন থেকে ২৪শে জুন এর মধ্যে অর্ধবার্ষিক বা প্রাক-নির্বাচনী পরীক্ষা, ২৬শে সেপ্টেম্বর থেকে ১০ই অক্টোবর পর্যন্ত নির্বাচনী পরীক্ষা এবং ২৮শে নভেম্বর থেকে ১১ই ডিসেম্বরের মধ্যে বার্ষিক পরীক্ষা শেষ করার পরিকল্পনা করা হয়েছে এই ছুটির তালিকাটিতে। এবং পরীক্ষার শেষ হওয়ার মোট ১২ দিনের মধ্যেই ফলাফল ঘোষনা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বিগত বছরের ন্যায় এই বছরেও কিছু নীতিমালা যুক্ত করা হয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম হলো প্রতিটি পরীক্ষার খাতা ও প্রশ্নপত্র ১ বছরের মত জমা রাখতে হবে বিদ্যালয়ের নিজ নিজ দায়িত্বে। আর প্রত্যেকটা পরীক্ষার জন্য সময় নির্ধারিত করা হয়েছে যা মোট ১৪ দিনের মধ্যেই শেষ করতে হবে। প্রত্যেকটা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এই নির্দেশনাগুলো যথাযথভাবে পালন করবে বলেও নির্দেশনা আছে সরকারীভাবে। প্রতিটি প্রতিষ্ঠান উল্লেখিত সময় অনুসারে তাদের নিজ নিজ বিদ্যালয়ে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত করবে এবং উপরোক্ত নিয়ম অনুসারে খাতা ও ফলাফল মূল্যায়নের মাধ্যমে পরবর্তী ক্লাসে প্রমোশান দেবে যা মনিটরিং করা হবে সরকারী নীতিমালার মাধ্যমে।
এই বছরও বিগত বছরের ন্যায় ১ জানুয়ারী থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত শিক্ষাবর্ষ ধরে ছুটির তালিকাটি প্রকাশ করা হয়েছে। এবং ১ জানুয়ারী পাঠ্যপুস্তুক দিবস হিসেবে উদযাপনের মাধ্যমে জানুয়ারীর ১ তারিখ থেকে ১২ তারিখের মধ্যেই সকল শ্রেণির বই বিতরণ করা হবে।
জাতীয় দিবসগুলো যেমন, ২১শে ফেব্রুয়ারী, ১৭ই মার্চ, ২৬শে মার্চ, ১৫ই আগষ্ট ও ১৬ই ডিসেম্বর ক্লাস বন্ধ থাকলেও সংশ্লিষ্ট বা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষক/শিক্ষিকা মন্ডলী ও স্থানীয় ব্যাক্তিবর্গের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পালন বা আয়োজন করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে সরকারী নির্দেশনায়।