আপনাকে যদি কেউ প্রশ্ন করে যে, পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে সুন্দর বাতাস ও দূষণমুক্ত বাতাস পাওয়া যায় কোথায় ? আপনি চোখ বন্ধ করেই বলে দিতে পারেন আমাদের এই রাজশাহী শহরে। হ্যা সত্যিই বলছি আমি। কিছুদিন আগে আত্মরজার্তিক এক গবেষণায় উঠে এছেছে এই জরিপটি।
আরো পড়ুন >> পৃথিবীর সেরা শিক্ষা ব্যবস্থা ফিনল্যান্ডে।
আরো পড়ুন >> সরকারী চাকরী পেতে যেসব দক্ষতা অর্জন করতে হবে।
আসুন এক নজরে রাজশাহী বিভাগ সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
(১) আয়তনঃ ১৮,১৫৪ বর্গকিলোমিটার
(২) জনসংখ্যাঃ পুরুষ- ৯২,৫৭,০০০ জন, মহিলা- ৯২,২৮,০০ জন, মোট = ১, ৮৪, ৮৫, ০০০ জন।
(৩) জেলার সংখ্যাঃ ৮টি (যথাঃ রাজশাহী, নাটোর, নওগাঁ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, বগুড়া ও জয়পুরহাট)
(৪) সিটি কর্পোরেশনের সংখ্যাঃ ১টি
(৫) সংসদীয় আসন সংখ্যাঃ ৩৯টি
(৬) উপজেলার সংখ্যাঃ ৬৭ টি
(৭) পৌরসভার সংখ্যাঃ ৫৯ টি
(৮) ইউনিয়নের সংখ্যাঃ ৫৬৪ টি
(৯) তাপমাত্রাঃ সর্বোচ্চ ৪৪ ডিগ্রি (গ্রীষ্মকাল), সর্বনিম্নঃ ৪ ডিগ্রী (শীতকাল)
(১০) সীমান্তবর্তী জেলাঃ রাজশাহী, নওগাঁ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, জয়পুরহাট
(১১) প্রধান প্রধান নদীঃ পদ্মা, যমুনা, আত্রাই, মহানন্দা, করতোয়া
উপরের তথ্যগুলো রাজশাহী বিভাগের সরকারী ওয়েবসাইট থেকে সংগ্রহ করা। আপনি নিজেও যাচাই করে দেখার Click here এখানে ক্লিক করতে পারেন।
রাজশাহী বিভাগের দর্শনীয় ও সুন্দরতম স্থানগুলো জানার জন্য নিচে সরকারী কিছু ওয়েবসাইটের লিংক দিচ্ছি সেখান থেকে জেনে নিতে পারেন। রাজশাহী বিভাগের মোট জেলা আছে ৮টি আর আলাদা করে দর্শনীয় স্থানগুলোর বর্ননা নিচে দেওয়া আছে।
(ক) রাজশাহী জেলার জানতে Click here এখানে ক্লিক করুন।
(খ) নাটোর জেলার জানতে Click here এখানে ক্লিক করুন।
(গ) নওগাঁ জেলার জানতে Click here এখানে ক্লিক করুন।
(ঘ) চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার জানতে Click here এখানে ক্লিক করুন।
(ঙ) জয়পুরহাট জেলার জানতে Click here এখানে ক্লিক করুন।
(চ) পাবনা জেলার জানতে Click here এখানে ক্লিক করুন।
(ছ) বগুড়া জেলার জানতে Click here এখানে ক্লিক করুন।
(জ) সিরাজগঞ্জ জেলার জানতে Click here এখানে ক্লিক করুন।
রাজশাহী বিভাগের প্রত্যেকটি জেলায় আলাদা আলাদা সুন্দররা আছে বিধায় আমি আপনাদের বিস্তারিত জানার জন্য এভাবে দেওয়া চেষ্টা করেছি যেন আপনারা কোন স্থান ভুলে না জান। বাংলাদেশের মধ্যে অনেক সু্ন্দর বিভাগের মধ্যে এইটা অন্যতম।
রাজশাহী বিভাগের রাজশাহীর সেরা ১০টি সুন্দর স্থান আমি এখানে বলবো তবে বর্ননা করবো না কারণ আকর্ষণ থাকলে হয়তো আপনারা ভ্রমন করার জন্য আগ্রহী হবেন। ভিডিও দেখার জন্য Click here এখানে ক্লিক করে দেখে নিতে পারেন।
উপরের সবগুলো জায়গা অনেক সুন্দর এর মধ্যে আমি কয়েকটি দেখেছি। তবে বর্তমানে রাজশাহী বিভাগীয় শহরটা অনেক সুন্দর করা হয়েছে আপনি পুরো রাজশাহী একদিনে ঘুরতে পারবেন না বিধায় আপনি হয়তো ইউটিউবে ভিডিও দেখে দেখে যেটা সবচেয়ে বেশি সুন্দর সেগুলো দেখে ধারণা নিয়ে ভ্রমন করতে যেতে পারেন। আমি বাঘা শাহি মসজিদ ও পদ্মা গার্ডেন দেখেছি অনেক সুন্দর। তবে রাজশাহী শহরের রাস্তাগুলো এখন অনেক সুন্দর এবং প্রত্যেকটা বাড়ির ছাদে ছাদে এত সুন্দর বাগানের মত গাছ যা রাস্তার পাশেও দেখা যায়। এসব দৃশ্য সৌন্দর্য আরও অনেক গুন বৃদ্ধি করেছে। এসব তথ্যের মধ্যেই আপনি জানতে পারবেন রাজশাহী বিভাগের পরিচিতি যা হয়তো আপনাকে আমাদের এই রাজশাহী শহর সম্পর্কে অনেক বেশি আগ্রহী করে তুলবে।
ভাষাগত দিক থেকে অনেক ভালো এখানকার মানুষ অনেক শুদ্ধ ভাষায় কথা বলে থাকে। তবে বাংলাদেশের মধ্যে সবচেয়ে শুদ্ধ ভাষা হিসেবে পরিচিত হলো যশোরের ভাষা। রাজশাহী ও ঢাকার মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থার অন্যতম হলো যমুনা নদী বা ব্রীজ। এই নদীই রাজশাহী ও ঢাকার মধ্যে যোগাযোগের বা দূরত্বের অন্যতম হিসেবে বিবেচনা করা হয়। যমুনা সেতু যাকে যমুনা বহুমুখী সেতু হিসেবে দেখা হয়। এর মোট দৈর্ঘ্য ৪.৮ কিলোমিটার। দীর্ঘতম স্প্যান ১০০ মিটার। এটি চালু করা হয় ১৯৯৮ সালে এবং প্রস্থ ১৮.৫ মিটার। বঙ্গবন্ধু যমুনা বহুমুখী সেতু বাংলাদেশ ও দক্ষিণ এশিয়ার ৫ম এবং বিশ্বের ৯২তম দীর্ঘ সেতু। ১৯৯৮ সালের জুন মাসে এই সেতুটি উদ্বোধন করা হয়। যমুনা বাংলাদেশের ৩য় বৃহত্তম নদী হিসেবে পরিচিত।
আরো পড়ুন নিচের আর্টিকেলগুলো >>
রাজশাহীর মানুষের জীবন-যাত্রা অনেক সাদাসিদে এখানকার বেশিভাগ মানুষ কৃষি কাজের সাথে জড়িত। তবে শিক্ষা নগরী হওয়ার কারণে রাজশাহী বিভাগের শিক্ষার হার অনেক বেশি। প্রতি বছর পাশে হার ও শিক্ষার দিক থেকে রাজশাহী বিভাগ এগিযে থাকে সব সময়। চাকরী, ব্যবসা, কৃষিকাজ এসব করেই জীবিকা নির্বাহ করে থাকে রাজশাহীর বেশিভাগ মানুষ।
রাজশাহীতে আপনি অন্যন্যা বিভাগের মতই স্থানীয় কিছু গাড়ি ও একটা বিমান বন্দর আছে যার মাধ্যমে আপনি অনেক কম সময়ে ঢাকা আসতে পারবেন। আবার ট্রেন যোগাযোগও আছে রাজশাহীতে। সিল্কসিটি, পদ্মা ও ধুমকেতু নামক আত্মনগর যা ঢাকা থেকে রাজশাহী প্রতিদিন চলাচল করে থাকে। আবার বাসেও আপনি অনেক কম সমযে যাতায়াত করতে পারবেন।
রাজশাহীকে সবচেয়ে বেশি মানুষ চেনে যার জন্য তা হলো রাজশাহীতে অনেক আম পাওয়া যায়। এখানকার আম পুরো বাংলাদেশে ছড়িয়ে পড়ে। চাপাইনবাবগঞ্জ জেলাতেই মূলত অনেক বেশি আম হয়ে থাকে যা পুরো বাংলাদেশে যায়। আমের সময়টাকে আম পরিবহনের জন্য আলাদা ট্রেন ব্যবস্থা আছে যার মাধ্যমে রাজশাহী থেকে ঢাকায় আম নিয়ে যাওয়া হয়।
আজকে এ পর্যন্তই আমাদের আর্টিকেলটি ভালো লাগলে কমেন্ট করে জানাবেন। আপনার মুল্যবান মতামত আমাদের জন্য সামনে অনেক ভালো ভালো তথ্য সরবরাহ করতে সহযোগীতা ও অনুপ্রেরণা যোগাবে।