মনে রাখার ৯টি উপায় জেনে রাখুন
আপনি হঠাৎ বাসা থেকে বের হয়েই মনে হলো বাসার দরজাটা ঠিক মতো লাগিয়েছেন তো। এরকম নানা বিষয় নিয়ে আমরা প্রতিদিনই সমস্যা পড়ি। চেয়ার থেকে উঠেই অনেক সময় মনে করতে পারেন না কেন আপনি চেয়ার থেকে উঠেছেন।
অনেক সময় দেখা যায় অনেক দিন পর কারো সাথে দেখা অথচ আপনি মনে করতে পারছেন না কে বা কি তার নাম। কোন জিনিস আপনি দেখার সাথে সাথেই আপনার নাম মনে থাকতো আর হঠাৎই দেখছেন আপনার নাম মনে নেই এমনটা যদি বারবার হয় তাহলে বুঝবেন আপনার ভুলে যাবার প্রবণতা আছে।
এই সমস্যাটা যে শুধু আপনারই আছে বিষয়টা কিন্তু তা নয় এরকম সমস্যায় পড়া লোকের সংখ্যাটাও আমাদের দেশে কম নয়। এটার কি কোন সমাধান আছে ? আর থাকলেই বা কিভাবে কাজে লাগাবো এসব নিয়েই মূলত আজকের আর্টিকেলটি।
মার্কিন হেলথলাইফ সংস্থা বলেছেন, আমাদের এই সমস্যাটা আসলে কিছুটা বংশগত কারণেই হয়ে থাকে। তবে আপনি প্রতিদিন কি খাচ্ছেন বা আপনার জীবন-যাপন কেমন তার উপর নির্ভর করেও এই প্রবণতাটা দেখা যায়।
সাধারণত বিষন্যতা, মানসিক চাপ, উদ্বোগজনিত রোগ থাকলে এই সমস্যা হতে পারে। আবার দীর্ঘ সময় ধরে ঘুমের সমস্যা হলেও এই সমস্যাটা হতে পারে। আবার ভিটামিন B12, পানিশূন্যতা, থাইরয়েডের সমস্যা, ধুমপান ও মদপানের অভ্যাস কিংবা ঔষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থেকেও এই সমস্যা হতে পারে।
এটা ভুলে যাওয়ার রোগ বলা হয়। আর এই রোগ সঠিক কারণ জানার চাইতে নিয়ম জেনে তা সঠিকভাবে মেনে চললে অনেকটাই এরিয়ে যাওয়া যায় এই ভুলে যাওয়ার নামক রোগটা থেকে।
হৃদরোগ, হাই ব্লাড প্রেশার, ডায়াবেটিস, হরমোনাল ভারসাম্যহীনতা ও ঔষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকলেও স্মৃতিশক্তি লোপ পেতে পারে বা ভুলে যাওয়া রোগ তৈরি হতে পারে।
এছাড়াও বয়স বাড়ার সাথে সাথেও এই সমস্যা হতে পারে। সময় মতো সঠিক সিদ্ধান্ত না নিতে পারলে এই সমস্যাটা আরও বেশি হতে পারে বা এ থেকে আরও বড় ধরনের রোগের সৃষ্টি হতে পারে বলে মনে করা হয় এবং এটা গবেষনায়ও উঠে এসেছে।
আরো পড়ুন >> শারীরিক সুস্থতার জন্য ৫টি খেলাধূলার বর্ণনা ও প্রয়োনীয়তা
মানসিক রোগ নির্ণয় বিশেষজ্ঞরা এই বিষয়টা গুরুত্বসহকারে দেখার কথা বলেছেন। এবং আপনার যখনই মনে হবে আপনি ভুলে যাওয়া রোগের মধ্যে আক্রান্ত তখনই কিছু নিয়ম বা পদ্ধতি অনুসরণ করলে আপনি অনেকটাই বিপদ থেকে মুক্ত থাকবেন বলেও তারা ধারণা করেন।
সবচেয়ে আশার বাণী হলো আপনি ইচ্ছে করলেই যে কোন বয়সেই স্মৃতিশক্তিকে বাড়াতে পারেন। এই জন্য আপনাকে মনে রাখতে হবে নিচের ৯টি উপায়।
১. খাদ্য অভ্যাস
আমাদের মস্খিষ্ক যেন ঠিক থাকে এজন্য সবার প্রথমেই আপনাকে নজর দিতে হবে আপনি কি খাচ্ছেন সেই বিষয়টার প্রতি। খাবারের সঠিক ব্যবহার আপনার ভুলে যাওয়া রোগটাকে কমাতে অনেকটাই উপকার করে থাকে।
আমাদের খাবারের শতকরা ২০% শর্করা শক্তি আমাদের মস্তিষ্ক এ যায়। আমাদরে মস্তিষ্কের খাবার হলো অক্সিজেন ও গ্লুকোজ। তাই বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ হলো আপনি এমন খাবার বেছে নিন যেই সমস্ত খাবারে আছে প্রচুর পরিমাণে ইন্টিঅক্সিজেন।
তার মধ্যে ফল ও শাক-সবজি অন্যতম। যদি সম্ভব হয় তবে আপনি প্রতিদিন এক কাপ গ্রীন ট্রি খেতে পারেন। ফ্যাটি এসিডযুক্ত খাবারও আপনি খেতে পারেন। যা আপনি সামুদ্রিক মাছ ও বাদামে পেতে পারেন।
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো অতিরিক্ত চিনি, কার্বোহাইড্রেটযুক্ত খাবার, কলেস্টেরল এসব এরিয়ে যাওয়া। সেই সাথে নিজের ওজনটা নিয়ন্ত্রণে রাখাটাও অনেক জরুরী বিষয়। এসব বিষয় আপনাকে ভুলে যাওয়া রোগ থেকে বাচাবে।
২. পর্যপ্ত ঘুমানো
আমাদের মস্কিষ্কের মাঝামাঝি জায়গাতে U আকৃতির একটা অংশ আছে। মানুষ যখন ঘুমায় তখন এখানে নতুন নিউরন কোষ জন্মায় এসব আপনার স্মৃতি ভালো থাকে। এই অংশটাকে অনেক সময় আমাদের মেমোরি বা হার্ডডিক্সও বলতে পারি।
আর আমরা ঘুমানোর সময় এর কার্যকারিতা শুরু হয়ে থাকে। আমরা অনেক সময় অনেক ছোট একটা পেনড্রাইভে অনেক তথ্য রাখতে পারি তেমনি আমরা যখন ঘুমায় তখন এই অংশটা আগের স্মৃতি সুন্দর করে সাজিযে রেখে আবার নতুন স্মৃতির জন্য তৈরি করে থাকে। আর এই কাজটা ঠিকমতো করার জন্য অন্তত্য ৭ ঘন্টা থেকে ৯ ঘন্টা নিরবিছিন্ন ঘুমের প্রয়োজন বলে গবেষকরা মনে করে থাকেন।
প্রতিদিন একটা নির্দিষ্ট সময় ঘুমাতে যান আর নির্দিষ্ট সময় ঘুম থেকে উঠুন সেটা ছুটির দিন হলোও এটা আপনাকে সুস্থ রাখার জন্য সহযোগীতা করবে। এজন্য আপনি সন্ধ্যার পরে চা বা কফি খাবেন না। আর ঘুমের অন্তত্য ১ ঘন্টা আগে মোবাইল বা ল্যাপটপ বা ডিভাইজ থেকে দুরে থাকতে হবে।
৩. ব্যায়াম
আপনি যদি আজকে থেকেই ব্যায়াম শুরু করেন বিশেষ করে হার্ট ভালো রাখার ব্যায়াম বা শারীরিক শক্তি বৃদ্ধির ব্যায়াম। তাহলে আপনার স্মৃতিশক্তি হারানো রোগের ৫০% কমানো সম্ভব।
কারণ এই ব্যায়ামগুলো আমাদের স্মৃতি শক্তি বাড়ানোর জন্য অনেক বেশি ভূমিকা পালন করে থাকে। মার্কিন এক গবেষনায় দেখা গেছে যে আমরা যখন ব্যায়াম করি তখন আমাদের মস্তিষ্কে অধিক পরিমাণে অক্সিজেন ও গ্লকোজ সরবরাহ হয়ে থাকে।
আর অক্সিজেন আমাদের সস্তিষ্কের জন্য অনেক উপকারী। এছাড়াও ব্যায়ামের কারণে আমাদের মগজে নিয়মিতই নতুন নতুন কোষ তৈরি হয় যা স্মৃতিশক্তি বাড়ার কাজ করে থাকে।
ডাচ বিজ্ঞানীরা ৭২ জন শিক্ষার্থীর উপর গবেষণা পরিচালনা করে দেখেছেন যে, কোন কিছু শেখার ৪ ঘন্টা পর ব্যায়াম করলে সেটি বেশি মনে থাকে। কারণ ব্যায়াম করলে শরীর থেকে প্রটিন নির্গত হয়।
আর ব্যায়াম করার ফলে মস্তিষ্কের যে অংশটা স্মৃতিশক্তির রক্ষার কাজ করে থাকে সেই অংশটা আরো ভালো রাখে। আসলে কোন কাজ শেষের কত সময় পর প্রটিন নির্গত হয় সেটি জানাটা জরুরী। তাই কোন কাজ শেষ করেই ব্যায়াম নয় মিনিমাম কিছু বিরতি দিতে হবে।
অন্তত্য ৪ ঘন্টা পার্থক্য থাকলে ভালো হয়। আবার দেখা গেছে কোন কিছু যদি আপনি হেটে হেটে মুখস্ত করেন তবে সেটি আরও বেশি মনে থাকে।
৪. ধুমপান ও মদপান ছাড়ুন
গবেষকরা বলছেন আমাদের মস্তিষ্ক তখনই অনেক ভালো কাজ করবে যখন এতে অক্সিজেন প্রবেশ করবে বা বেশি অক্সিজেন থাকবে। ধুমপানের কারণে যেসব ধমনীর মধ্যে দিয়ে অক্সিজেন মস্তিষ্কে যায় যেসব ধমনী বাধাগ্রস্থ হতে পারে।
তাই ধুমপান ছাড়ার পরামর্শ দিচ্ছেন মার্কিন বিশেষজ্ঞরা। এছাড়াও অতিরিক্ত মদ পান করলে মস্তিষ্কের কিপোম্যাম্পাস অংশ নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তাই অতিরিক্ত মদ পানের ব্যপারেও সাবধান হতে হবে। মানসিক বিশেষজ্ঞরা ধুমপান ও মদপান ছাড়ার বিষয়ে পরামর্শ দিচ্ছেন।
৫. সামাজিক হন
গবেষণায় দেখা গেছে যারা তার পরিবার, বন্ধু-বান্ধব, প্রতিবেশীদের নিয়মিত যোগাযোগে থাকেন না বা নিজে রাখেন না তাদের স্মৃতিশক্তি কমতে থাকে। একারলেই বিজ্ঞানী ও মানসিক গবেষকরা বলছন মানুষের সাথে যোগাযোগ বাড়ার এবং সেটা মুখোমুখী যোগাযোগ।
যোগাযোগটা অবশ্যই মুখোমুখী হতে হবে মোবাইল বা ম্যাসেজের মাধ্যমে নয়। নিজের পরিবার ও বন্ধুদের সাথে সামনা-সামনি কথা বলুন।
আড্ডা দিন বা দুরে কোথাও ঘুরতে যান এভাবে আপনি আপনার স্মৃতিশক্তিকে বাড়াতে পারেন। সবার সাথে হাসা-হাসি করে আনন্দে মেতে থাকার চেষ্টা করুন এতে আমার ভুলে যাওয়ার রোগটা কমে যাবে বা ঠিক হয়ে যাবে।
সবচেয়ে ভালো হয় যদি আপনি শিশুদের সাথে সময় কাটাতে পারেন। আর একটা বিষয় খেয়াল রাখবেন যারা আপনাকে রাগিয়ে দেন বা আপনাকে বিরক্ত করেন তাদের থেকে দূরত্ব বজায় রাখুন বা তাদেরকে আপনার কাছে আসতে দেবেন না।
৬. মানসিক চাপ কমান
এই বিষয়টা আসলেই হয়তো আপনার মনে প্রশ্ন আসবে যে আমি কি চাইলেই মানসিক চাপ কমাতে পারবো বা মানসিক চাপ থেকে বেচে থাকতে পারবো। বিজ্ঞানী বা গবেষকরা বলছেন আপনি চাইলেই এ থেকে দুরে থাকতে পারবেন বা আপনি ইচ্ছে করলেই মানসিক চাপটা কমাতে পারবেন।
আপনি হয়তো অনেক দ্রুত এটা কমাতে পারবেন না তবে চেষ্টা করলেই আপনি এটা নিজের নিয়ন্ত্রণের রাখতে পারবেন। তবে আপনি এমন কিছু কাজ করতে পারেন যার কারণে আপনার স্টেস হরমোন কম নিরসন হতে পারে।
আর স্টেস হরমোন কম নিসরণ হলে এই মানসিক চাপটাও কমে যাবে বলে বিজ্ঞানী বা গবেষকরা মনে করেন। প্রথমত আপনি ব্যাক্তিগত বা পেশাগত কোন কাজে বাড়তি কোন চাপ বা কাজ নেবেন না। যত বড় বা যত জরুরী কাজ হোক না কেন আপনি নিজে থেকে বাড়তি কোন চাপ নেবেন না।
জরুরী বা নিজের দায়িত্বশীল কাজগুলো অবশ্যই করার চেষ্টা করবেন বা করবেন। যদি আপনার নিজের আয়ত্বের বাইরে কোন কাজ আসে তবে সেটাকে না বলতে শিখুন। কারণ নিজের যোগ্যতার বাইরের কাজগুলোর মাধ্যমে আপনার মানসিক চাপ বেশি হতে পারে।
আপনি এক সাথে অনেক গুলো কাজ না করে বিরতি দিয়ে দিয়ে কাজ করুন তাতে আপনি মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবেন। কাজ যেমন জরুরী তেমনি জরুরী অবসর গ্রহণ করাটাও।
কাজ ও অবসর এই দুটোর মধ্যেই আপনাকে ভারসাম্য আনতে হবে। মানসিক বিশেষজ্ঞরা অনুভতি প্রকাশ করতে বলেছেন। বই পড়া, দাবা খেলা, পাজেল গেম ইত্যাদি আমাদের মস্তিষ্ককে ভালো রাখে।
চেষ্টা করুন নতুন কিছু শিখতে সেটা হোক নতুন কোন ভাষা, গান, রান্না করা, গাড়ি চালান, ছবি আকা, সাতার কাটা, কিংবা বাগান করা ইত্যাদি। এমন কিছু শিখুন বা করুন যেটা আপনাকে ভাবতে শেখাবে বা যেটা আপনার মেধাকে কাজে লাগাতে শেখাবে।
যে সকল কাজকে আপনি উপভোগ করতে পারবেন সেই সকল কাজ করুন এতে আপনার মানুসিক চাপ কমবে এবং আপনার স্মৃতিশক্তিও বৃদ্ধি পাবে।
৭. ধ্যান বা মেডিটেশান করা
নিয়মিত ধ্যান বা মেডিটেশান করলে আপনার চিন্তাশক্তিটা বাড়বে। এতে করে আপনার স্বাস্থ্যের উপর পজেটিভ প্রভাবও পড়বে। নিয়মিত মেডিটেশান মস্তিষ্কের নিউরন কোষ বাড়াতে সাহায্য করে থাকে।
তাইওয়্যানের একদল কলেজ শিক্ষার্থীদের উপর গবেষনা করে দেখা গেছে যে, যারা নিয়মিত ধ্যান করেন তাদের স্মৃতিশক্তি ভালোভাবে কাজ করে। নিয়মিত মেডিটেশান বা ধ্যান করলে আপনি আপনার মনোযোগটা একটা কাজের দিকে বাড়াতে পারবেন আর এতে করে করে সৃজনশীলতা বৃদ্ধি পায়।
অনেকেই প্রতিদিন কিছু সময় মেডিটেশান করাকে একটা অভ্যাসে পরিণত করার প্রতিও গুরুত্ব দেন এটাও অনেক ভালো। আপনি যখন কোন কাজে সঠিকভাবে মনোনিবেশ করতে চাইবেন বা করার চেষ্টা করবেন এতে করে আপনার স্মৃতিশক্তিটাও বাড়বে এবং সৃজনশীলতাটাও।
৮. ইন্দ্রিয় দিয়ে মনে রাখুন
কোন কিছু মনে রাখার জন্য এর ছবি, রং, গন্ধ এবং স্বাদের সাথে মিল রেখে তা মনে রাখার বা স্মৃতিতে ধরে রাখার চেষ্টা করুন। বিষয়টা অনেক কার্যকর হিসেবে বিবেচনা করেছেন বিভিন্ন গবেষকরা।
এই বিষয়টাকে বিজ্ঞানী বা গবেষকরা নেমোনেক্স বলা বলে থাকেন। যেমন ধরুন আপনি কারো সাথে কোন বাগানে বসে গল্প করেছিলেন আর সেই বাগানের বিষয়টার জন্য তাকে ও সেই বিষয়গুলোকে আপনি মনে রাখার চেষ্টা করুন।
প্রয়োজনে আপনি লিখুন কারণ লিখে রাখলেও অনেক সময় স্মৃতিশক্তি বাড়ে এবং কোন কিছু মনে রাখা অনেক সহজ হয়। আপনি যা মনে রাখতে চান তা লিখে রাখুন এবং তা উচ্চস্বরে পড়ুন। এছাড়াও পুরো বিষয়টাকে ছোট ছোট অংশে ভাগ করে মনে রাখার চেষ্টা করুন।
কোন কিছু আপনি মাত্রই শিখেছেন সেটা কিছু সময় বিরতি নিয়ে প্রাকটিস করুন বা কোন ছন্দ তৈরি করেও আপনি স্মুতি ধরে রাখতে পারবেন।
গান শোনার সময় আমাদের মস্তিষ্ক সক্রিয় হয়ে উঠে এটা গবেষণায় দেখা গেছে। আপনি হয়তো লক্ষ্য করে থাকবেন অনেক সময় কোন কনসার্ট এ গান গায়ক গাইলেও শ্রোতার মধ্যে অনেকেই নাচানাচি শুরু করে দেয় এবং তারা সেইটা মনে মনে অনেকেই আবার জোরে জোরেই বলা শুরু করে দেয়।
এটাই আসলে মস্তিষ্ক সক্রিয় হওয়ার লক্ষন। নিয়মিত ভালো ভালো গান শোনার অভ্যাসটাও আপনাকে ভুলে যাওয়া রোগ থেকে দুরে রাখবে। এ কারণে কাজে ফাকে বা অবসর সময়ে গান শোনার অভ্যাস তৈরি করুন। এ জন্য মাঝে মাঝে কোন গানের অনুষ্ঠানও দেখতে পারেন। ভালো থাকার ৯টি উপায়
উপরের বিষয়গুলো মেনে চলার পরেও যদি আপনার মনে হয় আপনি ভুলে যাচ্ছেন বা আপনি কোন কিছু লিখতে বা কোন কিছু বলতে ভুলে যাচ্ছেন তাহলে দেরি না করে অবশ্যই একজন ভালো মানসিক বিশেষজ্ঞ এর পরামর্শ নিন বা তার কাছে গিয়ে আপনার সমস্যাটা উপস্থাপন করুন।
আমাদের দেশের ছাত্র-ছাত্রী থেকে শুরু করে অনেকেরই এই সমস্যাটা দেখা যায়। অনেক সময় অনেক ডাক্তার কিছু খাবার বা কিছু পদ্ধতির কথা বলে দিলেও সেটা দেখা যায় কার্যকর হয় কম।
তবে আমি উপরে যে সকল নিয়ম বলে সেটি বিবিসি ও যুক্তরাষ্ট্রের মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা যা অনেক ভালো একজন ভুলে যাওয়ার রোগীর সমস্যার সমাধান করার জন্য। নিয়মগুলো পর্যায়ক্রমে মেনে চললে আমরা অনেকাংশই এই সমস্যা থেকে বেচে থাকতে পারবো। অনেক ধন্যবাদ মুল্যাবান সময় নিয়ে আর্টিকেলটি পড়ার জন্য।
১ম প্রকাশ করা হয় = ১৫ ই ডিসেম্বর ২০২০ সাল
২য় প্রকাশ হয় = ৮ ই জানুয়ারী ২০২২ সাল
টেগ
৯টি উপায়