আগামীর চায়না হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ বিস্তারিত
বর্তমানে বাংলাদেশের GDP হলো ৩১৮ বিলিয়ন USD আর আগামীতে বা প্রতিবছর যা বেড়েই চলেছে। চায়নার বর্তমানের সাথে বাংলাদেশের অর্থনীতি তুলনা করা যাবে না তবে চায়নার বিগত দিনের পরিবেশ ও ইতিহাস বিচার বিশ্লেষণ করলে জানা বা বোঝা যায় যে, আগামীতে বাংলাদেশেরও অনেক বেশি সম্ভবনা।
একটা সময় চায়নাও অনেক দূর্বল একটি দেশ ছিল আর সেই দূর্বলতাকে শক্তিতে পরিণত করেই আজকে পৃথিবীর অন্যতম একটা অর্থনীতির পরাশক্তি হলো চায়না।
চায়নার মতই শক্তিশালী হওয়া সম্ভব যার সম্ভবনা বিজ্ঞানী শতভাগ দেখছেন। আর চায়নার মতই বিগত দিনের ইতিহাস দেখলে সেরকম পথেই হাটছে বাংলাদেশ।
৬০ এর দশক থেকে চায়না তাদের কাজ শুরু করলেও আমাদের সেটা শুরু করতে অনেকটা দেরি হয়েছে। আর চায়নার মত দেশ যেখানে আগে অনেক কম খরচে শ্রমিক ব্যবহার করলেও বর্তমানে অনেক বেশি খরচ করতে হচ্ছে।
আর আমাদের দেশে আগামী এই বাড়তি জনসংখ্যাকে যদি জনসম্পদে পরিণত করা যায় তবে আগামীতে বাংলাদেশের সম্ভবনাটা থাকবে সবার উপরে।
একটা দেশের অর্থনীতিটা সেই দেশের মেগা প্রজেক্ট দেখে ভালো বা মন্দ বিচার করা হয়। আর আমাদের দেশে বর্তমানে যতগুলো মেগা প্রজেক্ট আছে তার সবগুলো হয়তো আগামী ২০২৫ সালের মধ্যেই হয়ে যাবে যেটা বাংলাদেশের জন্য অপার সম্ভবনা তৈরি করবে।
বাংলাদেশ ১৯৮০ সালের পর থেকে বিশ্ব বাজারে শ্রমশক্তি রপ্তানি করে থাকে। মধ্যপ্রচ্যে প্রায় ১৫% এর বেশি কাজ করানো হয় আমাদের দেশের শ্রমিক দিয়ে।
বেকার সমস্যা বেশি থাকার কারণে আমাদের দেশের শ্রমিকদের পৃথিবীদের অন্য দেশের থেকে কম বেতনেই কাজে লাগানো যায় যেটার কারণে বাইরের বিশ্বে অনেক চাহিদা আমাদের দেশের শ্রমিকদের।
চা্য়না যখন অর্থনীতিতে এগিয়ে যাচ্ছিল ঠিক তখন চায়নার অবস্থাটাও এরকম ছিল। যেখানে চায়না অনেক কম দামে শ্রমিক সরবরাহ করতো।
আর পৃথিবীর অনেক বড় বড় কম্পানিগুলো চায়নাতে গিয়ে তাদের কারখানা স্থাপন করে। আর আজকের উন্নত বিশ্বের খাতায় চায়না নাম লেখার কারণে সেখানে সেসব কম্পানির ব্যায় আগের চাইতে অনেক গুন বেড়েছে।
আমাদের দেশের শ্রমিকদের বেতন কম হওয়ার সুবিধা ও আমাদের বেশ যদি বিনিয়োগ বান্ধব পরিবেশ তৈরি করা যায় তবে আগামী সেই সব কম্পানিগুলো আমাদের দেশে কারখানা স্থাপন করবে যেটা আমাদের দেশের জন্য অনেক বড় একটা সম্ভবনা হিসেবে কাজ করবে।
আপনি হয়তো জানেন ইতোমধ্যে স্যামসাং নামক পৃথিবীর অনেক কম্পানিটি আমাদের দেশের কারখানা স্থাপন করেছে। আর জাপান বড় অংকের বিনিয়োগ করার জন্য সরকারের সাথে কথা বলেছে। যারা নরসিংদীতে তাদের কারখানা স্থাপন করার জন্য জায়গাও নির্বাচন করে ফেলেছে।
আর এই সব দেশ যদি তাদের কারখানা আমাদের দেশে নিয়ে আসে এবং আমাদের দেশের জনগন যদি কর্মমুখী শিক্ষায় শিক্ষিত হতে পারে তবে আগামীতে বাংলাদেশ অনেক দ্রুত এগিয়ে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। পৃথিবীর মধ্যে বাংলাদেশের অর্থনীতি অনেক দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে।
শ্রম বাজার ছাড়াও আমাদের আছে পোশাক শিল্প যেটা পুরো পৃথিবীর মধ্যে ২য়। বর্তমানে পোশাক শিল্পে অবদান অনেক বেশি আর পাটশিল্প, দেশীয় খাদ্য রপ্তানি, প্রযুক্তি এসব খাত যেই গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে আগামীতে যদি এই গতিটা যদি ঠিকঠাক মত চলতে থাকে তবে আগামীতে উন্নত বিশ্বের কাতারে থাকবে বাংলাদেশের নাম।
আজকে যেই বাংলাদেশকে বলা হচ্ছে জনসংখ্যার পরিপূর্ণ একটি দেশ সেখানে এই জনসংখ্যাই একটা সময় জনসম্পদ হিসেবে কাজ করবে।
প্রবাশীরা প্রতি মাসে রেমিটেন্স পাঠায় প্রায় 1.5 বিলিয়ন মার্কিন ডলার যা বছরে প্রায় 20 বিলিয়ন মার্কিন ডলারে মত। বাংলাদেশের প্রবাশীরা যদি অর্থনীতি অনেক বড় অবদান রাখে তবে তাদের চাইতে নিজের প্রতিষ্ঠান বা খাতগুলোর অবদান কোন অংশেই কম নয়।
পোশাক শিল্পে বছরে টার্ন অভার আসে প্রায় 34 বিলিয়ন মার্কিন ডলার। বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রায় ৮০% ই আসে এই খাত থেকে। আর এই শিল্পটা পৃথিবীর মধ্যে চায়নার পরেই স্থান করে নিয়েছে। সামনের দিকে আরও এর পরিসরটা বাড়তেছে এবং প্রযুক্তির অবদানের কারণে সামনে এর পরিধীটা অনেক বাড়বে বলেও ধারণা করা হচ্ছে।
বাংলায় একটা প্রবাদ আছে, ছোট ছোট বালুকনা বিন্দু বিন্দু জল, গড়ে তোলে মহাদেশ, সাগর ও তল। এমনিভাবে আরও ছোট ছোট খাতগুলোর অবদানও অনেক বেশি।
জোতা শিল্পে আসে বছরে 1.1 বিলিয়ন মার্কিন ডলার
মাছ রপ্তানি করে আয় করে বছরে 532.9 মিলিয়ন মার্কিন ডলার
ফেব্রিক্স থেকে বছরে আয় 603.3 মিলিয়ন মার্কিন ডলার
চামড়া রপ্তানি করে আয় করে বছরে 369 মিলিয়ন মার্কিন ডলার
প্লাস্টিক ও প্রাস্টিকের পণ্য থেকে বছরে আয় 113 মিলিয়ন মার্কিন ডলার
পাঠ ও পাঠজাত পণ্য থেকে বছরে আয় 602 মিলিয়ন মার্কিন ডলার
বাই সাইকেল থেকে বছরে আয় 126 মিলিয়ন মার্কিন ডলার
ঔষধ রপ্তানিতে প্রতি বছর আয় করে 130 মিলিয়ন মার্কিন ডলার
ফ্রিল্যান্সিং থেকেও আয় করে অনেক তবে এই হিসেবটা সঠিক কারো কাছেই নেই যদিও এই খাতটা সরকার এখনও সেভাবে দেখে নাই।
সামনের দিকে অনেক বাড়বে বলেও আশা করা হচ্ছে। পুরো পৃথিবীতে ফ্রিল্যান্সিং করে আয় করা দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ২য়। আগামতে সঠিক ভাবে পরিচালনা হলে এই খাতের আয় সবার উপরে উঠার সম্ভবনাও আছে।
আরও কিছু ছোট ছোট খাত এখন রপ্তানিমুখীর দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। তবে সামনের যোগাযোগ ব্যবস্থা আরও উন্নত হলে অপার সম্ভবনাময় দেশ হতে পারে আমাদের এই দেশ যা চায়নার মত হতে হয়তো আর বেশি সময় লাগবে না।
২০২৩ সাল পর্যন্ত প্রাথমিক ও মাধ্যমিকে যেসব পরিবর্তন আসছে।
আমাদের দেশে যতগুলো মেগা প্রজেক্ট চলমান এগুলো শেষ হলে আমাদের দেশের অর্থনীতিও অনেক এগিয়ে যাবে।
রুপপুর পারমানবিক প্রকল্প, মেট্রোরেল প্রকল্ট, পদ্মাসেতুন প্রকল্প, ফ্লাইওভার প্রকল্প, হযরত শাহাজালাল বিমান বন্দরের ২য় টার্মিনাল প্রকল্পসহ আরও অনেকগুলো মেগা প্রজেক্ট আমাদের দেশে চলমান যেগুলো একটা দেশের অর্থনীতির একটা অংশ প্রকাশ করে।
আমাদের দেশের সম্ভবনা খাতগুলো আগামীতে যদি সঠিকভাবে পরিচালিত হয় তবে একটা সময় আমাদের দেশও অনেক এগিযে যাবে বলে ধারণা করে আমাদের দেশের অর্থনীতি বিদরা।
প্রযুক্তির দিক থেকে চায়না অনেক এগিয়ে গেলেও আমাদের দেশের জনসংখ্যা একটা সম্ভবনার দুয়ার খুলে দিতে পারে। যেমন জাপানের বর্তমান পরিস্থিতির জন্য একটা বয়সের যুব সমাজের অবদান ছিল অনেক বেশি যা আজকে বাংলাদেশের মধ্যে বিরাজমান।
আমাদের দেশে ২০-৪৫ বছরের মধ্যে লোকজনের সংখ্যাটা অনেক বেশি যেটা একটা সময়ে জাপানে ছিল আর তারাই এই বর্তমান জাপান নামক দেশটিকে উপহার দিয়েছে। আমাদের দেশের বর্তমান সমস্যাগুলো হয়তো দূর হতে বেশ খানিকটা সময় লাগবে তবে অনেক দ্রুতই কাটিয়ে উঠবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
অনেক দ্রুতই বিশ্বের অন্যতম একটা শক্তি হবে আমাদের দেশটা। পৃথিবীর কোথাও এত সংখ্যা জনসংখ্যা বৃদ্ধির শতকরা নেই যেটা আমাদের দেশে বিরাজমান। আমাদের দেশের এই জনসংখ্যাগুলোকে যদি সঠিক কর্মমুখী শিক্ষার ধারা দেখানো যায় তবে এক সময় এই জনসংখ্যায় দেশের অমূল্য সম্পদে পরিণত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
সফলতার জন্য কোন গুণগুলো অর্জন করা উচিত জানতে হলে আর্টিকেলটি পড়ুন।
প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ সম্পর্কে জানতে হলে পড়ুন।
২১ শতক প্রযুক্তির বা বিজ্ঞানের জগত বলে ধরা হয় আর এই বিজ্ঞানকে চালনা করার জন্য অনেক বেশি জনসংখ্যার প্রয়োজন পড়বে যা বহিঃবিশ্বে কমছে আর আমাদের দেশের বাড়ছে। ইউরোপের জন্যসংখ্যা বর্তমানে যেই গতিতে চলছে আগামী ২০৫০ সালের মধ্যে তা অনেক কমে যাবে বলে ধারনা করা হচ্ছে।
আর পুরো পৃথিবীর বেশিভাগ সংখ্যা বাস করে আমাদের এই এশিয়া মহাদেশে। আর এই এশিয়ার মধ্যে অর্থনীতিতে সবচেয়ে বেশি উধ্বমূখী সূচকে রয়েছে বর্তমান বাংলাদেশ।
বিভিন্ন ইনডিকেটর থেকে বোঝা যায় যে, আগামীতে চায়নার মত দেশ হয়ে উঠা শুধু এখন মাত্র সময়ে ব্যাপার মাত্র। আপনার মূল্যবান মতামত জানাতে ভুলবেন না। আর অনেক ধন্যবাদ মূল্যবান সময় নিয়ে আর্টিকেলটি পড়ার জন্য।
প্রতিদিন ৫ ডলার থেকে ১০ ডলার আয় করার সহজ উপায় জানুন।
বাংলাদেশে সরকারী চাকরীর আগ্রহ এত বেশি কেন ?
>> প্রথম প্রকাশিত হয় ২৫ ডিসেম্বর ২০২০
>> লাস্ট আপডেট করা হয় ২১ এপ্রিল ২০২৩
>> আগামীর চায়না হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ বিস্তারিত
>> আগামীর চায়না
>> আগামীর চায়না হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ
>> আগামীর চায়না হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ বিস্তারিত
>> আগামীর চায়না
>> আগামীর চায়না হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ
>> আগামীর চায়না হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ বিস্তারিত
>> আগামীর চায়না
>> আগামীর চায়না হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ
>> আগামীর চায়না হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ বিস্তারিত
>> আগামীর চায়না
>> আগামীর চায়না হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ