প্রাইমারির সহকারী শিক্ষক নিয়োগ এ যারা আবেদন করেছেন তাদের মধ্যে কোন বিভাগ থেকে কতজন আবেদন করেছে সেটা জানিয়েছে ডিপিই অর্থ্যা DPE (Directorate of Primary Education) বাংলায় যাকে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর বলা হয়।
এক সূত্রে জানা গেছে রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান জেলা ছাড়া সকল জেলার প্রার্থীই আবেদন করেছেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহাকারী শিক্ষক পদে। এবার প্রায় ১৩ লক্ষেরও বেশি প্রার্থী আবেদন করেছেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহাকারী শিক্ষক পদে। নিয়োগ ছিল মোট ৩২ হাজার ৫৭৭ জনের মত। বিভাগের ভিত্তিতে সকল বিভাগেই অনেক বেশি আবেদন করেছেন। প্রাথমিক শিক্ষা অধিপপ্তরের (ডিপিই) সহকারী পরিচালক নিয়োগ হিসেবে কর্মরত সিনিয়র সহকারী সচিব আতিক এস বি সাত্তার বলেন,
(ক) ঢাকা বিভাগ = ২ লাখ ৪০ হাজার ৬১৯ জন
(খ) রাজশাহী বিভাগ = ২ লক্ষ ১০ হাজার ৪৩০ জন
(গ) খুলনা বিভাগ = ১ লক্ষ ৭৮ হাজার ৮০৩ জন
(ঘ) ময়মনসিংহ বিভাগ = ১ লক্ষ ১২ হাজার ২৫৬ জন
(ঙ) চট্টগ্রাম বিভাগ = ১ লক্ষ ৯৯ হাজার ২৩৬ জন
(চ) বরিশাল বিভাগ = ১ লক্ষ ৯ হাজার ৩৪৪ জন
(ছ) সিলেট বিভাগ = ৬২ হাজার ৬০৭ জন
(জ) রংপুর বিভাগ = ১ লক্ষ ৯৬ হাজার ১৬৬ জন
পড়াশোনার জ্ঞান বাড়ানোর জন্য পড়ুন আর্টিকেলটি।
চাকরীর জন্য যেসকল দক্ষতা প্রয়োজন জেনে নিন।
তিনি জানান সহকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ পেতে আবেদন করেছেন মোট ১৩ লক্ষ ৯ হাজার ৪৬১ জন। গত ২৫ ই অক্টোবর অনলাইনের মাধ্যমে শুরু হয় এই আবেদন প্রক্রিয়া এবং শেষ হয় ২৪ ই নভেম্বর। আবেদন শেষের ৭২ ঘন্টা পর্যন্ত পেমেন্ট দিতে পারেন প্রার্থীরা। পেমেন্ট শেষে এই হিসেব করা হয়েছে বলেও জানান তিনি। ২০০৯ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত মোট ১ লক্ষ ৯৭ হাজার ৮৬৪ জন শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে প্রাথমিকে।
মুজিব বর্ষে সব শূন্য পদে নিয়োগ দেওয়ার পরিকল্পনা থাকলেও করোনার কারণে তা সম্ভব হয় নাই। তবে গত সেপ্টেম্বরে নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ হলে এই উদ্যোগ নেয় এবং ৩২ হাজার ৫৭৭ জন নিয়োগ দেয়। গত অক্টোবর মাসে এই নিয়োগ দেওয়া হয়। সহাকারী শিক্ষক পদে যারা আবেদন করেছেন তাদের বেতন হবে জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫ এর গ্রেড ১৩ অনুযায়ী ১১,০০০ থেকে ২৬,৫৯০ টাকা।
সর্বশেষ ২০১৮ সালের ৩০ জুলাই সহকারী শিক্ষক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এতে মোট উত্তীর্ণ হন ৫৫ হাজার ২৯৫ জন এবং নিয়োগ দেওয়া হয় মোট ১৮ হাজার ১৪৭ জনকে। এর আগে একই বছর ২০১৪ সালের স্থগিত পরীক্ষাটিও নেওয়া হয়। সেখানে মোট উত্তীর্ণ হয় ২৯ হাজার ৫৫৫ জন প্রার্থী। এর মধ্যে নিয়োগ দেওয়া হয় ৯ হাজার ৭৬৭ জন প্রার্থীকে।
২০১৮ সালের এই দুই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েও নিয়োগ পান নাই মোট ৫৬ হাজার ৯৩৬ জন প্রার্থী। উত্তীর্ণ বা পাশ করা এসব প্রার্থী ২০১০-২০১১ সালের মত প্যানেল নিয়োগ চাইলেও বলা হয় আবার নিয়োগ দেওয়া হবে প্যানেল নিয়োগ হবে না। এবারের নিয়োগে সকল প্রার্থীর যোগ্যতাই অনার্স পাশ চাওয়া হয়েছে যেখানে বিগত নিয়োগে মেয়েদের ইন্টার পাশ ছিল। এবারের নিয়োগের অন্যতম বিষয় হলো কোটামুক্ত নিয়োগ। এখানে সবাই সমান যোগ্যতা সম্পূর্ণ আবেদন করে এবং সবাই নিজ নিজে যোগ্যতাই নিয়োগ পাবে। এবারের প্রাথমিকের নিয়োগে প্রাক-প্রাথমিকে সবচেযে বেশি শিক্ষক নিয়োগ করা হবে। আগামীতে অর্থ্যৎ ২০২৩ সাল থেকে সরকার প্রাথমিকের প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণিতে ২ বছর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেক্ষেত্রে প্রতিটি বিদ্যালয়ে একজন করে বাড়তি শিক্ষক প্রয়োজন পড়বে। ৬৫,৬২০ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আরও বড় একটা নিয়োগ আসবে সামনে। তবে এবারের নিয়োগটাও বিগত নিয়োগের মধ্যে সবচেয়ে বড় নিয়োগ।
কোন জেলায় কতজন নিয়োগ করা হবে সেটা দেখার জন্য ক্লিক করুন ……..
তরুণদের সরকারী চাকুরীতে আগ্রহের কারণ
পৃথিবীর সেরা শিক্ষাব্যবস্থা জানতে ক্লিক করুন এখানে।
এবার এই আবেদন নিয়ে কিছু প্রশ্ন ও উত্তর নিয়ে আলোচনা করা যাক।
প্রশ্ন-১ এবারের আবেদনে বলা হয়েছে মেয়েদেরকে অনার্স পাশ হতে হবে তারপরেও এত আবেদন করার কারণ কি ?
উত্তরঃ- আসলে বর্তমান সরকার চাইছেন নারী পুরুষের অধিকার সমান হোক। কর্মক্ষেত্রে সবাই তাদের নিজ যোগ্যতা নিয়েই টিকে থাকুক। আর সেই লক্ষ্যেই এই নিয়োগ দেওয়া এবং এখানে নারী ও পুরুষ উভয়ই অনার্স পাশ হতে হবে তবেই তারা আবেদন করতে পারবে। এই আবেদন থেকে বোঝা যায় আমাদের দেশের শিক্ষিত বা অনার্স পাশ করা লোকের সংখ্যা অনেক বেশি।