বাংলায় আর্টিকেল লেখার নিয়ম ২০২৩
Table of Contents
আপনি যদি ব্লগিং এর মাধ্যমে আর্টিকেল লিখে আয় করতে আগ্রহী হোন তবে আপনাকে সঠিভাবে আর্টিকেল লিখার নিয়মগুলো সম্পর্কে জানতে হবে।
একটি সুন্দর আর্টিকেল হোক সেটা বাংলা বা ইংরেজীতে জানতে হবে। কারণ একটি সুন্দর আর্টিকেল ছাড়া সুন্দর ব্লগিং ক্যারিয়ার করা সম্ভব নয়।
ফ্রিল্যান্সিং করে আয় করা বা অনলাইনে আয় করার করার জন্য ব্লগিং করে আয় করা বা অ্যাফিলেট করে আয় করা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আমরা সাধারণ অনলাইনে আয়টাকে দুই ভাবে ভাগ করে থাকি।
একটা বলা হয় একটিভ আয় আরেকটাকে বলা হয় প্যাসিভ আয়। ব্লগিং করে আয় বা অনলাইনে একটা ওয়েব সাইট থেকে আয় এসব হলো প্যাসিফ আয়ের মাধ্যম।
কেউ যদি দীর্ঘদিন কোন কিছু থেকে আয় করতে চায় তবে তাকে এই ধরনের প্যাসিফ আয়ের পথ তৈরি করতে হবে। আমি আরও কিছু প্যাসিভ আয়ের লিস্ট দিচ্ছি বোঝার জন্য। যেমন,
(ক) ইউটিউব থেকে আয়
(খ) অনলাইনে ব্লগিং করে আয়
(গ) একটি ওয়েব সাইট থেকে আয় করা
(ঘ) অ্যাফিলেট মার্কেটিং এর মাধ্যমে আয় করা
(ঙ) অ্যাফিলেট লিংক তৈরি করার মাধ্যমে আয় করা
(চ) মার্কেটিং এজেন্সির মাধ্যমে আয় করা
(ছ) ই-কমার্সের বিজনেস করার মাধ্যমে আয় করা
উপরের গুলো প্যাসিভ আয় করার মাধ্যম। এসব কাজের মাধ্যমে আয় দীর্ঘদিন আয় করতে পারবেন। আর একটি ব্লগিং বা ওয়ার্ডপ্রেস সাইট রেখে এ থেকে আপনি অনেক দিন পর্যন্ত আয় করতে পারবেন। ব্লগিং টাকে অনেকেই ক্যারিয়ার হিসেবে নিয়ে থাকে এখান থেকেও আপনি ভালো আয় করতে পারবেন।
আমাদের দেশে যদিও এর প্রচলন এখনও এতটা বেশি হয় নাই তারপরেও আগের থেকে অনেকেই এই পেশায় আসতেছে। আপনি যদি অনলাইনে How to earn money by online লিখে সার্চ দেন তবে দেখবেন অনেক লিংক বা অনেক পদ্ধতি আপনার সামনে আসবে আর এর মধ্য সবচেয়ে ভালো উপায় যেসব কাজগুলোর মাধ্যমে আপনি দীর্ঘদিন অর্থ্যাৎ প্যাসিভ আয় করতে পারবেন সেগুলো।
একটিভ আয়
আপনার যদি Fiver account বা freelancing account বা Up work account থেকে থাকে আর আপনি যদি সেই সকল একাউন্ট থেকে আয় করেন তবে সেটাকে বলা হয় একটিভ আয়।
কারণ এই সকল সাইটে আপনি যতসময় থাকবেন বা যত সময় কাজ করবেন ঠিক তত সময়ই আয় করতে পারবেন বা সেই পরিমাণই টাকা পাবেন যেই পরিমান কাজ করবেন। অর্থ্যৎ একটিভ আয়ের একটা লিমিট থাকে কিন্তু প্যাসিভ আয়ের কোন লিমিট থাকে না।
যেমন ধরুন আপনি একটা ব্লগিং থিম বা ওয়ার্ডপ্রেস থিম তৈরি করলেন আর এই থিমটি আপনি যতদিন রাখবেন বা কোন ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আপনি যতদিনি রেখে সেল করবেন ঠিক ততদিনই আপনি আয় করতে পারবেন।
>> একটি ভালো আর্টিকেল লিখার কিছু নিয়ম বা পদ্ধতি নিচে আলোচনা করা হলো।
১. ভালো Article Topic নির্বাচন করা
সব সময়ই একটি ভালো আর্টিকেল বা ব্লগ অনেক বেশি জনপ্রিয় হয়ে থাকে। তাই যখনই কোন আর্টিকেল লিখবেন তখন অবশ্যই একটা ভালো ট্রপিকস নির্বাচন করবেন।
কারণ একটা ভালো আর্টিকেল থেকে অনেক তথ্য জানা যায় যার উপর নির্ভর করে অনেক সময় সংবাদ মিডিয়ারা খবর দিয়ে থাকে।
আমাদের দেশের জনপ্রিয় ব্লগাররা তাদের ব্লগে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করে অনেক আলোচনার শীর্ষে এসেছেন এবং তাদের মধ্যে অনেক নিউজ মিডিয়ার আর্টিকেল বাইরের দেশের গুরুত্বপূর্ণ নিউজের অংশও হয়ে থাকে।
তাই আর্টিকেল লিখার আগে অবশ্যই একটি ভালো মানের ট্রপিকস নির্বাচন করা অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
২. শ্রোতার আগ্রহের দিক নির্বাচনে বেশি মূল্যায়ন করা
কোন সময় কোন ধরনের নিউজ মানুষ আগ্রহ নিয়ে পড়ে সেই বিষয়টা একজন আর্টিকেল রাইটার হিসেবে আপনাকে অবশ্যই জানতে হবে। এটা ডিসেম্বর মাস আর সামনে আসছে নতুন বছর তাই নতুন বছরকে নতুনভাবে সাজানোর জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করা অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
নতুন বছরে অনেক কিছুই নতুন তাই কি কি বিষয় আলোচনার মূলকেন্দ্রে আসতে পারে সেটা জেনে তা নিয়ে আর্টিকেল লিখতে পারেন। যেমন নির্বাচনের সময় নির্বাচনের বিষয়গুলো অনেক গুরুত্ব পায় তাই সেই সময়টাকে বিভিন্ন তথ্য নিয়ে আপনি লিখতে পারেন।
যারা খেলা পছন্দ করে তারা খেলাধূলা নিয়ে আর্টিকেল লিখতে পারেন। আবার যারা শিক্ষামূলক বা চিকিৎসামূলক কোন কিছু পছন্দ করেন তাদের জন্য আপনি চিকিৎসামূলক বা শিক্ষামূলক কিছু আর্টিকেল লিখতে পারেন। বর্তমান সময়ে যেমন অনলাইনে আয় নিয়ে অনেক বেশি আলোচনা হচ্ছে আপনি ইচ্ছে করলে এই বিষয়টা নিয়েও লিখতে পারেন।
ফেইসবুক মার্কেটিং, ইউটিউব মার্কেটিং, অ্যাফিলেট মার্কেটিং বা আরও অনলাইনে আয়ের জন্য কিছু বিষয় আছে সেসব নিয়েও আপনি লিখতে পারেন। এসব বিষয়গুলো আপনাকে নির্বাচন করে তা নিয়ে সুন্দর একটা আর্টিকেল লিখতে পারেন।
৩. কী-ওয়ার্ড রিসার্চ করা
কী-ওয়ার্ড বা Key Word Recharch অনেক জরুরী বিষয় একজন আর্টিকেল লেখকের জন্য। আমরা গুগলে কোন ধরনের বাক্য বা ওয়ার্ড দিয়ে সার্চ করি বেশি এবং কোন ধরনের শব্দগুলো গুগল সবচেয়ে বেশি দেখায় এসব বিষয়গুলো আমরা একটু রিচার্স করলেই পাবো।
গুগল টুলস আছে বা বিভিন্ন টুলস ব্যবহার করেও আমরা এই সকল কাজগুলো অনেক সহজেই করে ফেলতে পারি। যারা SEO কোর্স করেছেন তারা বিষয়টা জানেন আর যারা অ্যাফিলেট মার্কেটিং এর সাথে যুক্ত বা যুক্ত হবেন সামনে তারা এই সকল বিষয় অনেক সহজেই বুঝে যাবেন।
আর একজন আর্টিকেল রাইটার সেই সকল শব্দগুলোই বেশি ব্যবহার করে যেসকল শব্দ আমরা গুগলে বেশি সার্চ করি। তাই একজন প্রফেশনাল বা ভালো মানের আর্টিকেল রাইটারের জন্য কী-ওয়ার্ড রিসার্চ অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
৪. কিছু টিপস শেয়ার করে লিখা
উদাহারণটা আগেই দেওয়া যাক। কিভাবে কুকুরে মাছ ও সবজি চাষ করা যাবে এটা লিখে আমি যদি ইউটিউবে সার্চ করি তবে দেখবো যে, অনেকেই লাইভ দেখাচ্ছে এবং ভিডিওর পাশে কিছু পয়েন্ট উল্লেখ করে দিয়েছে। ভিডিও দেখার পাশে যেসকল বিষয় মাপ দেওয়ার প্রয়োজন পড়বে সেসকল বিষয় তারা লিখে দেখানোর চেষ্টা করে।
ধরুন কত কেজিতে কতটুকু পরিমানটা লিখে দেয় যাকে শ্রোতাদের বুঝতে বা তারা লিখে রেখে কাজে লাগাতে পারে এভাবে আপনিও যখন কোন আর্টিকেল লিখবেন তখন পরিমাণসূচক বিষয়গুলো ছোট করে টিপস এর মত করে উল্লেখ করবেন যেন তা পাঠকের বুঝতে সুবিধা হয়।
অবশ্যই পয়েন্ট করে দিবেন তাতে চোখে পড়ে ভালো। আমরা অনেক সময় পুরো লিখা না পড়লেও পয়েন্ট থাকলে তা দেখে দেখে পড়ার চেষ্টা করি।
৫. ভূমিকা বা মন্তব্য রাখা
কোন আর্টিকেল লেখা শুরু করার আগে আপনি অবশ্যই সারাংশের মত বা ছোট করে কিছু শব্দ দিয়ে হতে পারে তা ১০০-৩০০ এর মধ্যে একটা সুন্দর করে ভুমিকা উল্লেখ করার চেষ্টা করবেন। ভুমিকাটা এরকম করবেন যেন পাঠক তা পড়ার পর বাকিটা পড়ার প্রতি আগ্রহী হয়।
যদি সম্ভব হয় কিছু মুল্যবান বানি বা বিদেশী কোন পত্রিকা বা বিজ্ঞানীর কোন গবেষণার ফলাফল উল্লেখ করবেন এতে করে আর্টিকেল রাইটারের প্রতি পাঠকের একটা পজেটিভ ধারণা হবে। পাঠক বুঝবে লেখক অনেক পড়াশোনা করেন আর্টিকেল রাইটিং করার জন্য এবং তিনি তথ্যগুলো গুছিয়ে লিখেছেন।
ভুমিকার মত আপনি যখন আর্টিকেল লিখা শেষ করবেন ঠিক তখনও চেষ্টা করবেন পুরো লিখার একটা ছেট মন্তব্য বা উপসংহার টানার। এটা অনেক ভালো একটা বিষয়।
ধরুন আপনি আমাদের দেশের জনসংখ্যা নিয়ে লিখছেন সমস্যা, সমাধান সব উল্লেখ করার পর সরকারের কথা বলে আমাদের জনগনের কি করা উচিত এসব নিয়ে সুন্দর একটা মন্তব্য টানবেন। হতে পারে এটাও সেই আগের মতই ১০০-৩০০ শব্দের মধ্যে হবে।
৬. বানান ঠিক রেখে লিখা
আর্টিকেল রাইটিং বা ব্লগে লিখার সুন্দর ও মানসম্মত করার অন্যতম বিষয় হলো বানান ঠিক রাখা। আপনি বানানের প্রতি যত্নবান হবেন তাছাড়া অনেক শ্রোতা বা পাঠকই আছে যারা বাংলায় বা ইংরেজী আর্টিকেল পড়ার পর সেই লেখক সম্পর্কে ভালো বা মন্দ রিভিও দিয়ে থাকেন।
আর আপনার আর্টিকেলটির যদি বানান ঠিক থাকে তবে আপনি অবশ্যই ভালো রিভিও পাবেন যা আপনার পরবর্তীতে কোন আর্টিকেল প্রকাশে সুবিধা হবে। এখন ভালো লেখকের বই প্রকাশিত হওয়ার অপেক্ষা আমরা সবাই করে থাকি তেমনি একজন ব্লগার বা আর্টিকেল রাইটারের লিখা পড়ার জন্য ও আমরা অপেক্ষা করি।
আর শ্রোতা বা পাঠক সমাজ বানান ঠিক থাকলে পড়ার প্রতি আরও বেশি আগ্রহী হয়ে থাকে। তাই লিখার পর বারবার রিভিশান দিয়ে দেখবো যেন কোন বানান ভুল না হয়। কারণ বানান ঠিক রাখা আর্টিকেল ভালো লিখার অন্যতম একটা গুণ।
৭. ছোট ছোট আর্টিকেলে ভাগ করে লিখা
ধরুন আপনি লিখবেন কিভাবে অনলাইনে আয় করা যায় তাহলে সেটাকে ছোট ছোট প্যারাগ্রাফে ভাগ করে নেবেন তারপর সেটার আলোকে বা সেই প্যারাগ্রাফকে একটা পয়েন্ট দিয়ে ছোট ছোট করে লিখবেন। এতে করে শ্রোতা যখন পড়বে তখন মনে করবে বেশি লিখা নেই কম দেখে দেখে পড়তে আগ্রহী হবে।
আমরা অনেক সময় বড় প্যারাগ্রাফ পড়তে গেলে লাইন হারিয়ে ফেলি যার কারণে পুরোটা পড়াই হয় না অনেক সময় তাই আপনি যখন কোন বড় আকারের কিছু লিখবেন সেটার সাথে ছোট ছোট প্যারাগ্রাফ সংযুক্ত করাটা বিষয়টা মাথায় রাখবন। আমি আমার আর্টিকেল লিখার ক্ষেত্রেই বিষয়টা দেখেছি যে, ছোট ছোট আর্টিকেল অনেক সময় অনেক গুরুত্বপূর্ণ হয়ে থাকে।
৮. সুন্দর ছবি নির্বাচন করা
ইংরেজীতে একটা কথা আছে সেটা হলো, Face is index of mind. অর্থ্যৎ চেহারা মনের কথা বলে। তেমনি একটা আর্টিকেলের আসল বা মূল বিষয় হলো তার সাথে সংযুক্ত করা ছবি। অনেক সময় আমরা ছবি দেখেই অনেক কিছু ধারণা করে ফেলি আর সেটার জন্য আমরা বেশি চিন্তাও করি না।
তাই আর্টিকেল এর সাথে মিল রেখে একটা ছবি যুক্ত করে দেবেন তাতে করে আপনার আর্টিকেলটি আকর্ষণীয় হবে। অনেক সময় দেখা যায় ছবি সংযুক্ত করার ক্ষেত্রে লিংক দিয়ে দেওয়া হয়।
আর এই কাজটা করার আগে আপনি একটু ভাববেন যেমন আপনি হয়তো ডাটাবেজ কমানোর জন্য এটা করছেন কিন্তু যখন সেই ওয়েব সাইটের ছবিটা মুছে ফেলা বা তার লিংক পরিবর্তন করা হবে তখন তো আপনার লিংকটা কাজ করবে না আর তখন সেই ছবিটাও সেই পোস্ট বা আর্টিকেলের সাথে থাকবে না।
তাই এই বিষয়টা একটু ভালো করে নজর দেবেন। যখনই কোন ছবি যুক্ত করবেন তখন সেটা যেন ভালোমত হয় আর ছবির লিংকে একটা বর্ননা দেবেন তাহলে সেটা গুগলে SEO হিসেবেও কাজ করবে।
৯. গুরুত্বপূর্ণ শব্দ ও বাক্য মার্ক করে রাখা
অনেক দেখা যায় যে, অনেক লিখা পড়ার ভিড়ে গুরুত্বপূর্ণ শব্দ বা বাক্য আমরা বেশি গুরুত্ব দিতে পারি না। সেজন্যই আমাদেরকে অবশ্যই বাক্যগুলোকে মার্ক বা বোল্ড করে দিতে হবে।
তাহলে শ্রোতাদের বুঝতে সুবিধা হবে এবং তারা সেগুলোকে গুরুত্ব দিয়ে পড়বে এবং বুঝবে। বাংলায় আর্টিকেল লিখার ক্ষেত্রে শব্দগুলো যেন সহজবোধ্য ও সবাই বুঝতে পারে সেই রকম করার চেষ্টা করাটা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কারণ অনেকেই ইংরেজী ভালো বুঝতে পারে না বিধায় বাংলায় আর্টিকেল পড়তে আসে।
আপনি যদি কোন শব্দ বা বাক্য ইংরেজীতে লিখতেই চান তাহলে সেটা অবশ্যই বাংলায় অর্থটা ব্রাকেটের মধ্য দিয়ে দেবেন তাহলে যারা ইংরেজী বোঝে না তাদের জন্য সুবিধা হবে এবং পড়তে আগ্রহী হবে।
১০. অপ্রয়োজনীয় লিখা না লিখা
আর্টিকেল রাইটিং বা Article Writing এর ক্ষেত্রে বিষয়টা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আপনি আর্টিকেল রাইটিং লিখার সময় হোক সেটা বাংলা বা হোক ইংরেজী অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলোই উপস্থাপন করার চেষ্টা করবেন। কারণ অপ্রয়োজনীয় লিখাতে অনেক সময় শ্রোতা বা পাঠক আগ্রহ হারিয়ে ফেলতে পারে।
ধরুন আপনি কোন কোর্স লিখবেন বা আজকের কোন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় লিখবেন তাহলে সেটার কী পয়েন্টগুলো উল্লেখ করে তার বর্ননা করবেন। কী পয়েন্ট এর কিছু বর্ননা করা যেতে পারে তারপর সেটা দিয়ে একটা পিকচার এ্যাডও করতে পারেন। লিখার ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো শব্দ চয়ন যেন ভালো থাকে সেই দিকটার দিকে একটু ভলোভাবে নজর দিবেন।
উপরের যেসকল তথ্য জানানো হয়েছে তা আর্টিকেল কিভাবে লিখলে সুন্দর হবে সেই সকল বিষয়। এখন্ বলি আপনি এই সকল কী-ওয়ার্ড বা শব্দ কোথায় পাবেন।
এটার জন্য আপনি কি নিজে নিজে ভাববেন আর লিখবেন নাকি কিভাবে লিখবেন। আসলে আমাদের মধ্যে অনেকেই আছে যারা নিজে থেকেই আর্টিকেল লিখতে পারে আর যারা পারে না তারা যেটা করে সেটা হলো বিভিন্ন ইংরেজী ওয়েব সাইট থেকে তথ্যগুলো নিয়ে সেটা পড়ে পড়ে বাংলা অনুবাদ করে অনেক সময় দেখা যায় যে ভালো অনুবাদ করতে পারলে আর্টিকেলের ভাষাটাও অনেক ভালো হয়।
তবে বর্তমানে বেশিভাগই কপিপেস্ট করে থাকে যেটা আসলে অন্য কারো মেধাকে চুরি করার মত। অনেক সময় গুগল এ্যাডসেন্স এর ক্ষেত্রে বিষয়টা অনেক সমস্যার হয়ে যায় তবে বেশিভাগ ক্ষেত্রেই সমস্যা হয় না। কি কি উপকরণ থাকতে হবে জেনে রাখুন এখন।
(ক) একটি ল্যাপটপ বা ডেক্সটপ কম্পিউটার থাকতে হবে। কারণ আপনি একটি আর্টিকেল লিখবেন সেটা সাজাবেন আবার অনেকেই ছবি যুক্ত করে পোস্ট করে দিতে বলে সেটার জন্য যদিও আলাদা পেমেন্ট করে যেটা আপনি মোবাইল দিয়ে করতে পারবেন না।
(খ) ইন্টারনেট কানেকশান।
(গ) ইউনিকোর্ড দিয়ে লিখতে পারা জানতে হবে। অনেকেই মনে করেন বিজয় দিয়ে লিখে কনভার্ট করে নেবেন আসলে অনেক বানান কেটে যায় তাই ইউনিকোড জানতে হবে আপনাকে।
(গ) নির্দিষ্ট ক্যাটারোগীতে লিখা। এটা আপনাকে যিনি লিকে দেবেন তিনিই বলে দেবেন তার কোন ধরনের ক্যাটাগরির আর্টিকেল দরকার সব তথ্যই আপনাকে দিয়ে দিবেন।
(ঘ) আপনি একটি আর্টিকেলকে ভূমিকা, মূল বিষয় এবং উপসংহার এই তিনটা ভাগে ভাগ করে লিখতে পারবেন।
এখন কিছু প্রশ্ন নিয়ে কথা বলবো যেটা অনেক সময় যারা আর্টিকেল রাইটিং করতে শুরু করেন তারা করে থাকেন। তাদের যদিও একটা কনফিউশানের জায়গা তারপরেও উত্তরগুলো জেনে রাখা ভালো।
প্রশ্ন-১ দিনে আমি কয়টা আর্টিকেল লিখতে পারবো ?
উত্তরঃ- এটার কোন নির্দিষ্ট কোন সংখ্যা নেই। তবে আপনি প্রফেশনাল হলে অনেক সময় ১-৫টা পর্যন্ত লিখতে পারবেন চেষ্টা করলে তারজন অবশ্যই আপনাকে নিজে থেকে লেখার যোগ্যতা বা ইংরেজী পড়ে বাংলা করার মত যোগ্যতা থাকতে হবে।
প্রশ্ন-২ একটা আর্টিকেলে কতটা শব্দ থাকতে হবে ?
উত্তরঃ- আপনি এই বিষয়টা দেখবেন কোন বিষয়টার উপর লিখছেন সেটা দেখে। অনেক সময় বড় কী-ওয়ার্ড দিয়ে লিখলে বা টাইটেল বড় হলে সেটার শব্দগুলোও অনেক বেশি হয়ে থাকে। তবে ২ হাজার বা তার বেশি হলে গুগলে র্যাংক করে ভালো কারণ ছোট ছোট আগে ভালো হলেও বর্তমানে বড় আর্টিকেল গুগলের নজরে পড়ে দ্রুত। তবে লেখার মধ্যে শব্দগুলো ইউনিক হতে হবে।
প্রশ্ন-৩ আমি ক্যারিয়ার বা পার্ট টাইম হিসেবে কত দিন করতে পারবো এই কাজটা ?
উত্তরঃ- এটা আসলে আপনি নিজেই বুঝবেন কতদিন চলবে এই কাজটা। যেমন ধরুন একটা ওয়েব বা আমরা যত ওয়েব সাইট দেখি সেগুলো যতদিন থাকবে আর্টিকেল রাইটিং বিষয়টাও ততদিনই থাকবে। সংবাদ যেমন প্রতিদিনই নতুন নতুন তৈরি হচ্ছে আর এসব লিখার জন্য আর্টিকেল রাইটারের অনেক বেশি প্রয়োজন।
প্রশ্ন-৪ অনেকেই বলে এটা অনেক কঠিন ? এ বিষয়ে আপনার মন্তব্য কি ?
উত্তরঃ- আমি অল্প করে যদি বলি তবে বলবো পৃথিবীতে অর্থ উপার্জন করা অন্যতম কঠিন কাজগুলোর মধ্যে একটি কাজ। আর আর্টিকেল রাইটিং কাজটা আসলে কোন কাচামাল না লাগার কারণে অন্যন্যা কাজের চাইতে অনেক ভালো কারণ এখানে আপনি কম্পিউটার ও লিখতে পারলেই হবে।
প্রশ্ন-৫ ট্রপিকস বা টাইটেল কিভাবে পাবে ?
উত্তরঃ- এ জন্য আপনি ইচ্ছে করলে আমাদেরকে জানাতে পারবেন বা যার আর্টিকেল লিখে দেবেন তাকে জিজ্ঞেস করে নেবেন বা আপনি ফেইসবুকে, উইটিউবে যেসকল বিষয় নিয়ে বেশি আলোচনা হয় সেসব বিষয় দেখে দেখেও আর্টিকেল লিখতে পারবেন।
মনে রাখার ৯টি উপায় জেনে রাখুন
প্রেশার মাপার সঠিক নিয়মকানুন জেনে নিন এখান থেকে
>> বাংলায় আর্টিকেল লেখার নিয়ম ২০২৩
>> বাংলায় আর্টিকেল
>> বাংলায় আর্টিকেল লেখার নিয়ম ২০২৩
>> বাংলায় আর্টিকেল
>> বাংলায় আর্টিকেল লেখার নিয়ম ২০২৩
>> বাংলায় আর্টিকেল
>> বাংলায় আর্টিকেল লেখার নিয়ম ২০২৩
>> বাংলায় আর্টিকেল
>> বাংলায় আর্টিকেল লেখার নিয়ম ২০২৩
>> বাংলায় আর্টিকেল
>> বাংলায় আর্টিকেল লেখার নিয়ম ২০২৩
>> বাংলায় আর্টিকেল
>> বাংলায় আর্টিকেল লেখার নিয়ম ২০২৩
>> বাংলায় আর্টিকেল
>> বাংলায় আর্টিকেল লেখার নিয়ম ২০২৩
>> বাংলায় আর্টিকেল
3 Comments on “বাংলায় আর্টিকেল লেখার নিয়ম ২০২৩”