ফ্রিল্যান্সিংয়ে আসার আগে ৪ টি ভুল

ফ্রিল্যান্সিং

ফ্রিল্যান্সিংয়ে আসার আগে ৪ টি ভুল

 

ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস গুলোতে বর্তমান সময়ে অনেক মানুষ কাজ করতে আগ্রহী।

বিগত বছরগুলোর তুলনায় বর্তমান সময়ে অনেক মানুষ নিয়মিত অনলাইনে আয় করার জন্য ছুটছে।

অনেকেই অনেক কিছু জানে আবার অনেকে অনেক কিছু জানে না। প্রত্যেকটি কাজের জন্য আপনাকে অবশ্যই জেনে শুরু করতে হবে।

 

কোন বিষয় সম্পর্কে না জানলে সে বিষয়ে সম্পর্কে পরিপূর্ণ জ্ঞান নিয়ে শুরু করার চেষ্টা করতে হবে।

 

ফ্রিল্যান্সিংয়ে আসার আগে ৪ টি ভুল

 

 

কোন একটি কাজের জন্য নির্দিষ্ট দক্ষতার প্রয়োজন পরলে অবশ্যই সেটি আপনাকে শিখতে হবে।

ফ্রিল্যান্সিং জগতে প্রত্যেকটি কাজের জন্য আপনাকে নির্দিষ্ট করে শিখে নিতে হবে এবং নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম জেনে তারপর আগাতে হবে।

অনলাইনে আয় বিষয়টি বলতে আমরা বুঝে থাকি যে অনলাইনে আসলে মনে হয় আয় করা যায়।

 

আসলে বিষয়টা এরকম নয় অনলাইনে আয় করার জন্য আপনাকে অবশ্যই দক্ষতা অর্জন করতে হবে এবং

আপনি যেই সাইট এ কাজ করতে চান সেই সাইট সম্পর্কে পরিপূর্ণ জ্ঞান অর্জন করতে হবে।

 

মনে করুন আপনি কন্টেন্ট রাইটিং এর একটি সাইটে লিখবেন।

কনটেন্ট রাইটিং সম্পর্কে আপনি কতটুকু জানেন এবং কনটেন্ট রাইটিং এ নিয়মগুলো সম্পর্কে কতটুকু জানেন সে বিষয়ে আপনি

আপনাকে কতটুকু মনে করেন। আবার ইংরেজিতে আপনি কমিউনিকেশনের জন্য নিজেকে ক্যাপাবল মনে করেন কিনা।

 

আপনি যতটুকু জানেন সেই জানা টুকুর মধ্যে কোন প্রমাণ আছে কিনা। অর্থাৎ আপনি এর আগে কোথাও কাজ করেছেন কিনা এমন

অভিজ্ঞতা যদি থাকে অবশ্যই শেয়ার করবেন। প্রত্যেকটি কাজের একটা নিয়ম আছে এবং সিস্টেম আছে সেই নিয়ম এবং সিস্টেমগুলো সম্পর্কে আপনি কতটুকু জানেন সে বিষয়গুলো অনেক গুরুত্বপূর্ণ।

 

ফ্রিল্যান্সিং জগতে আসার জন্য কিছু ভুল রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম ৪টি ভুল, যা আপনাকে সফলতা পেতে অনেক দেরি করে দিবে।

নিচে ৪টি ভুল দেওয়া হল।

 

১. ১ থেকে ১০ এর মধ্যে নিজেকে কত দেবেন।

২. ইংরেজিতে আপনি কতটুকু দক্ষ।

৩. আপনার শেখা থেকে ফলাফল কতটুকু।

৪. সিস্টেম সম্পর্কে না জানা।

 

উপরের চারটি ভুল থেকে আমরা বুঝতে পারি যে। এই ভুলগুলো যদি আমরা ফ্রিল্যান্সিং জগতে আসার সময় করে

 

থাকি তাহলে আমরা কখনই ফ্রিল্যান্সিং জগতে সফলতা লাভ করতে পারব না। অবশ্যই আমাদেরকে প্রত্যেকটি পয়েন্ট এর

 

পরিপূর্ণ সম্পর্কে জানতে হবে এবং প্রত্যেকটি পয়েন্ট সম্পর্কে দক্ষতা অর্জন করতে হবে।

 

আমি নিচে সামান্য বর্ণনা দেওয়ার চেষ্টা করব এই চারটি বিষয় সম্পর্কে।

আশা করব বিষয়গুলো সম্পর্কে জেনে আপনি যদি

 

ফ্রিল্যান্সিং জগতে আসেন তাহলে অবশ্যই অনেক ভালো করতে পারবেন।

 

১. ১ থেকে ১০ এর মধ্যে নিজেকে কত দেবেন

 

কোন কাজে যদি আপনাকে প্রশ্ন করা হয় এই কাজের পরিপূর্ণ মার্ক হল ১০। তাহলে সেই দশের মধ্যে নিজেকে কত পজিশনে রাখবেন।

 

ধরুন আপনাকে বলা হলো আপনি গ্রাফিক্স ডিজাইন সম্পর্কে কতটুকু জানেন এবং এই বিষয় সর্ম্পকে যদি আপনাকে

 

১০ এর মধ্যে নাম্বার দেওয়া হয় তাহলে আপনি নিজেকে কত নাম্বার দেবেন। কেউ কি নিজেকে ১০ এ ১০ দেওয়ার মতো যোগ্যতা রাখেন ?

 

যদি দশের মধ্যে দশ দেয়ার যোগ্যতা রাখেন তাহলে অবশ্যই ফ্রিল্যান্সিং সেক্টর আপনার জন্য অনেক সুবিধা মনে হবে।

 

 

আর যদি মনে করেন আপনি ১০ এর মধ্যে যোগ্য নন তাহলে অবশ্যই আপনাকে এখানে অনেকটা পরিশ্রম করতে হবে।

 

আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন আপনাকে কি কি বিষয় জানতে হবে এবং কতটুকু অগ্রসর হতে হবে।

 

ফ্রিল্যান্সিং জগতে আসার পরে আপনাকে কিছু বিষয় এবং কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে এবং আপনি যেহেতু

 

আরেকজনের কাজ করবেন সেটা তো আরেকজন কিভাবে কাজ করে নেয় সেই বিষয় সম্পর্কে আপনাকে অবগত থাকতে হবে।

 

 

যেটাকে আমি অনেক সময় পাবলিক প্লেসে কাজ করার সাথে তুলনা করি। পাবলিক প্লেসে কাজ করলে অনেক কিছু শেখা যায়

 

এবং পাবলিকের খুশি মত কাজ করতে হয় বিধায় অনেক কিছু সম্পর্কে অবগত থাকা যায়। আপনি একটা বিষয় লক্ষ্য করুন তো।

 

 

আমি যদি এখানে ৫০০ জন স্টুডেন্টদের মধ্যে বলি ইংরেজিতে কতটুকু দক্ষ এই বিষয়ে তুমি নিজেকে কত নম্বর দেবে ? 

 

আমার ব্যক্তিগত ভাবে মনে হয় ৫০০ জন স্টুডেন্টদের মধ্যে খুব কম সংখ্যকই আছে দশের মধ্যে নিজেকে ১০ দেবে।

 

এই যদি অবস্থা হয় তাহলে ফ্রিল্যান্সিং জগতে এসে আপনি অনলাইনে কতটুকু আয় করতে পারবেন, সে বিষয়ে সম্পর্কে অবশ্যই আমার থেকে ভালো ধারণা রাখতে পারবেন। 

 

 

২. ইংরেজিতে আপনি কতটুকু দক্ষ

 

ফ্রিল্যান্সিং বলি আর অনলাইনে আয় বলি প্রত্যেকটি কাজের জন্যই আপনাকে ইংরেজিতে প্রচুর পরিমাণে দক্ষতা অর্জন করতে হবে।

 

আমরা জাতিগতভাবে বাঙালি হলেও ইংরেজি ছাড়া অনলাইনে কোন কাজ করা সম্ভব না।

 

 

অনলাইনের বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসগুলোর সম্পর্কে জানার জন্য অবশ্যই আমাদেরকে অনলাইন সম্পর্কে পরিপূর্ণ জ্ঞান অর্জন করতে হবে।

 

যেহেতু বাইরের দেশের কাজগুলো করে থাকে সেহেতু ইংরেজিতে আমাদের দক্ষতা না থাকলে আমরা বাইরের

 

কাজগুলো কখনোই করতে পারবোনা। বাইরের দেশের মানুষ বাংলা ভাষা বোঝে না তাদেরকে ইংরেজির মাধ্যমে

 

তাদের মত করে কাজ করে দিতে হবে। আপনি সেই সাইটে কিভাবে একাউন্ট করতে হয় কিভাবে মার্কেটপ্লেস থেকে কাজ নিতে হয় এবং

 

কিভাবে বায়ারদের সাথে যোগাযোগ রাখতে হয় সে বিষয়গুলো সম্পর্কে জানার জন্য হলেও ইংলিশদের দক্ষতা অর্জন করতে হবে।

 

 

এখন আপনি ইংরেজিতে কতটুকু ভাল জানেন সে বিষয়টি আপনি নিজেকেই প্রশ্ন করে দেখুন। আপনি যদি ইংরেজি সম্পর্কে

 

ভাল জানেন তাহলে অবশ্যই অনলাইনে আয় করার জন্য আপনি আসতে পারেন। 

 

 

৩. আপনার শেখা থেকে ফলাফল কতটুকু

 

আপনি কোন বিষয় সম্পর্কে জানেন এবং সে বিষয় সম্পর্কে কতটুকু জানেন সেটি নিজেকে কিভাবে যাচাই বাছাই করে থাকবে।

 

আপনি গ্রাফিক্স ডিজাইন অথবা ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে কোর্স করেছেন ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে আপনি ভাল জানেন।

 

 

ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে আপনি রিসেন্টলি বা বিগত কয়েক মাসে কতটুকু কাজ করেছেন বা

 

কতগুলো কাজ করেছেন সে বিষয়গুলো সম্পর্কে আপনার কোন ডকুমেন্টারি আছে কিনা তা অবশ্যই নিজের বায়োডাটা

 

অথবা নিজের কর্ম পরিকল্পনার মধ্যে রেখে দিবেন। ক্লায়েন্ট যখন আপনাকে কাজ দেবে অবশ্যই আপনার বিগত দিনের অভিজ্ঞতা

 

গুলো দেখে দেবে। আপওয়ার্ক বা ফিবার  মার্কেটপ্লেসগুলোতে কাজের জন্য আপনার রিভিউ দেখা হয়। ফিবারে যদি আপনি

 

ভালো রিভিউয়ের অধিকারী হন তাহলে নিয়মিত আপনি কাজ করতে পারবেন। আমি একজনকে চিনি তিনি রাতে

 

ঘুম থেকে উঠে বিভিন্ন ধরনের অর্ডারের নোটিফিকেশন পান তার নিজের একাউন্টে। 

 

 

৪. সিস্টেম সম্পর্কে না জানা

 

কোন মার্কেটপ্লেসগুলোতে কেমন কাজ হয় এবং কোন মার্কেটপ্লেসগুলোতে কাজের সাথে কিভাবে কথা বলতে হয়।

 

এবং কোন মার্কেট থেকে কিভাবে পেমেন্ট নিতে হয় বা দিতে হয় সে বিষয়গুলো সম্পর্কে আপনাকে অবশ্যই পরিপূর্ণ ধারণা রাখতে হবে।

 

অনলাইনে কাজ করবেন অথচ অনলাইন সম্পর্কে ভাল বুঝবেন না তাহলে অনলাইনে আপনি অনেকদিন টিকে থাকতে পারবেন না।

 

 

ফিভার থেকে কিভাবে টাকা আপনি বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমে আপনার একাউন্টে জমা করবেন সে বিষয়গুলো

 

সম্পর্কে আপনাকে অবগত থাকতে হবে। এর জন্য ডুয়েল কারেন্ট ব্যাংক অ্যাকাউন্ট রাখতে হবে এবং আপনার নিজের পাসপোর্ট।

 

আমি এখানে একটি বিষয় উল্লেখ করার চেষ্টা করি সেটি হল ডুয়েল কারেন্সি ব্যাংক একাউন্ট করার জন্য অবশ্যই আপনাকে পাসপোর্ট রাখতে হবে।

 

 

পাসপোর্ট ছাড়া আপনি কোন ব্যাংকের ডুয়েল কারেন্সি একাউন্ট করতে পারবেন না। আর ডুয়েল কারেন্সি একাউন্ট ছাড়া

 

আপনি বাইরের দেশ থেকে পেমেন্ট নিতে পারবেন না সে বিষয়গুলো সম্পর্কে আপনাকে অবশ্যই আগে থেকে ধারণা রাখতে হবে।

 

ওপরে আমি চারটি বিষয় সম্পর্কে পরিপূর্ণ ধারণা দেওয়ার জন্য চেষ্টা করেছি। আশা করবো প্রত্যেকে উপরের

 

চারটি বিষয় সম্পর্কে জেনে এবং এই চারটি ভুলগুলো না করে অনলাইনে আয় করার জন্য আসবেন।

 

 

অনলাইনে শুধু আসলে হবেনা আপনাকে অবশ্যই পরিপূর্ণ জ্ঞান নিয়ে আসতে হবে কোনো বিষয় সম্পর্কে

 

আপনি কম জেনে থাকলে অবশ্যই সে বিষয়ে সম্পর্কে পরিপূর্ণ জ্ঞান অর্জন করে তারপরে মার্কেটপ্লেসগুলোতে কাজ নিতে হবে।

 

 

অনেক ধন্যবাদ মূল্যবান সময় নিয়ে আর্টিকেলটি পড়ার জন্য। 

 

About ডিজিটাল আইটি সেবা

ডিজিটাল আইটি সেবা অনলাইন ভিত্তিক সেবা মূলক প্রতিষ্টান। এখানে অনলাইনে আয়, ডিজিটাল শিক্ষা, ফেইসবুক মার্কেটিং সহ আরও অনেক কাজের ধারণা প্রদান করা হয়। এটি দেশের আর্থিক সামাজিক অবস্থার উন্নতির জন্য কাজ করে থাকে।

View all posts by ডিজিটাল আইটি সেবা →

One Comment on “ফ্রিল্যান্সিংয়ে আসার আগে ৪ টি ভুল”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *