ফ্রিল্যান্সিং কে ক্যারিয়ার হিসেবে নেওয়ার ৫টি কারণ
Table of Contents
ফ্রিল্যান্সিং কে বর্তমানে অনেকেই ক্যারিয়ার হিসেবে নিচ্ছে। আর এদের দেখা দেখি আগামীতে এই সেক্টরটি অনেক বড় একটি বৈদেশিক মুদ্রা আয় করার মাধ্যম হিসেবে গড়ে উঠবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বাড়তি আয় করার জন্য অনেকেই ফ্রিল্যান্সিং কে অন্যতম হিসেবে ব্যবহার করছেন। অনলাইনে আয় করার মাধ্যমে আমরা আমাদরে প্রয়োজনীয় অর্থ উপার্জন করতে পারি।
অনলাইনে আয় করাকেই মূলত ফ্রিল্যান্সিং করা বলে। আমরা বর্তমানে অনেকেই ফ্রিল্যান্সিং কাজ করে অনলাইনের মাধ্যমে আয় করছি। আগামীতেও এই কাজ করে অনলাইনে আয় করার পরিমাণটা অনেকটাই বেড়ে যাবে।
আরো পড়ুন >> ফ্রিল্যান্সি এ আসার আগে যেই ৪টি ভুল আমরা করে থাকি জেনে নিন।
অনলাইনের কাজের জন্য চাই নিজের ইচ্ছা ও পরিশ্রম করার মানসিকতা। সুদূঢ় মানসিকতা না থাকলে ফ্রিল্যান্সিং করে অনলািইনে আয় করা অনেকটাই কষ্টসাধ্য বিষয়।
ফ্রিল্যান্সিং কাকে বলে ?
বর্তমানে আমরা অনলাইনের মাধ্যমে যে অর্থ উপার্জন করে থাকি তাকেই মূলত ফ্রিল্যান্সিং বলে। এখানে যেই কাজ করে আয় করা হয় তাকে ফিল্যান্সিং কাজ বলা হয়ে থাকে।
আর যিনি এই কাজ করে থাকেন তাকে ফ্রিল্যান্সার বলা হয়ে থাকে। আর কাজ করে যেই অর্থ আয় করা হয় তাকে ফ্রিল্যান্সিং টাকা বলে।
এখানে বায়ার ও সেলার শব্দ দুইটা অনেক বেশি জনপ্রিয় বা পরিচিত। আসলে আমরা অনেকেই আছি যারা অনলাইনে কাজ করি। তারা নিশ্চয় এই বিষয়টা বুঝতে পারবো।
ফ্রিল্যান্সার কাকে বলে ?
যারা ফ্রিল্যান্সিং করে অনলাইন থেকে আয় করে তাদেরকেই মূলত ফ্রিল্যান্সার বলে। একজন ফ্রিল্যান্সার অনলাইন থেকে আয় করার জন্য নানা রকম কাজ করে থাকে। আমি নিচের কিছু কাজের লিস্ট দেওয়ার চেষ্টা করছি। আশা করি সবাই বুঝতে পারবেন।
১. ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে আয় করা।
২. ফেইসবুক মার্কেটিং এর মাধ্যমে আয় করা।
৩. ওয়েব ডিজাইন এবং ডেভেলপমেন্ট করে আয় করা যায়।
৪. গ্রাফিক্স ডিজাইন।
৫. ব্লগিং এর মাধ্যমে আয়।
৬. ওয়েব সাইট এর মাধ্যমে।
৭. গুগল অ্যাডসেন্স থেকে।
৮. এনড্রয়েড এর মাধ্যমে আয় করা।
৯. ডিজিটাল কারেন্সি লেনদেন করে।
১০. অনলাইন পেমেন্ট এর মাধ্যমে আয়।
ফিল্যান্সিংকে ক্যারিয়ার হিসেবে নেওয়ার নিচের পাঁচটি কারণ
ফ্রিল্যান্সিংকে ক্যারিয়ার হিসেবে নেওয়ার ৫টি কারণ নিচে দেওয়া হলো। এখানে চেষ্টা করা হয়েছে কারণগুলোর সারাংশসহ ডিটেলস আলোচনা করার জন্য। আসলে লিখে যতটুকু বোঝানো যায় আমি ঠিক ততটুকুই বোঝানোর চেষ্টা করেছি এখানে। আশা করবো বিষয়গুলো বুঝতে পারবেন সবাই।
১. নিরাপদ অর্থ উপার্জনের রাস্তা
ফ্রিল্যান্সিংকে নিরাপদ অর্থ উপার্জনের রাস্তা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। অনেক সময় আমরা চাকরী করলে সেটার জন্য আমাদেরকে বাইরে যেতে হয়।
কিন্তু আপনি যদি ঘরে বসে আয় করেন ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে তাহলে আপনাকে বাইরে যেতে হবে না।
অনলাইনে আয় করার মাধ্যমে বর্তমানে অনেক মানুষই অর্থ উপার্জন করছে। আর বর্তমানে পেশা হিসেবেও অনেকেই নিচ্ছে এই বিষয়টাকে বা ফ্রিল্যান্সিংকে।
আমরা আজ থেকে ৫ বছর আগেও এই বিষয়টাকে এতটা গুরুত্ব সহকারে দেখতাম না। বর্তমানে অনেকেই পেশা হিসেবে নিয়েই কাজ করছে।
আগামীতেও ফ্রিল্যান্সিং অনেকটাই এগিয়ে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে অনেকেই নিরাপত্তার দিক থেকে এটাকে অনেক বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকে।
আরো পড়ুন >> কন্টেন্ট রাইটিং এর মাধ্যমে অনলাইনে আয় করার ৫ টি উপায়
২. রয়ালিটি আনিং করা যায়
অনলাইনে আয় এর কিছু কিছু ক্ষেত্র আছে এমন যে, আপনি ইচ্ছা করলে কিছুদিন পরিশ্রম করবেন এবং পরে সেটার অর্থ বসে বসে খাবেন।
এটাকেই বলা হচ্ছে রয়ালিটি আনিং। আর এরকম অর্থ উপার্জন করার অন্যতম মাধ্যম হলো এই অনলাইন অর্থ উপার্জন করার মাধ্যম।
যেমন ধরুন, গুগল অ্যাডসেন্স বা ইউটিউব ভিডিও তৈরি করা। আপনি যদি গুগল অ্যাডসেন্স নিয়ে কাজ করেন তাহলে বিষয়টা আরও ভালো বুঝতে পারবেন।
একজন লেখক একটা বই লিখে যাওয়ার পরে সে মারা গেলেও তার অর্থ তার পরিবার পেতে থাকে।
তেমনি গুগল অ্যাডসেন্স বা ব্লগিং এমন একটি ক্যারিয়ারের ধাপ বা ক্যারিয়ারের অংশ যেখানে আপনি ইচ্ছা করলেই অনেক দিন পর্যন্ত অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।
৩. পারিবার লাইফ ভালো হয়
চাকরির জন্য অনেক সময় অনেক দূরে থাকতে হয়। আবার অনেক সময় দেখা যায় যে, বিভিন্ন কাজের জন্য অফিসের বাইরেও যেতে হয়।
অথচ আপনি অনলাইনের মাধ্যমে আয় করতে পারলে ঘরে বসেই আয় করতে পারবেন। এখানে আপনাকে কোথাও যেতে হবে না।
আউসোসিং করার মাধ্যমে বর্তমানে অনেক তরুণ-তরুণী সাবলম্বী হচ্ছে। আগামীতে এই সেক্টরটার পরিমাণটা আরও বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বর্তমানে এই পেশায় নিয়োজিত লাখো তরুন-তরুণীর মধ্যে অনেকেই অনেক ভালো টাকা আয় করতে পারছে।
৪. যে কোন সময় কাজ করা যায়
চাকরি বা আপনি যে কোন কাজ করতে গেলেই আপনাকে একটা নিয়ম মেনে চলতে হবে।
অফিস সময় যখন তখনই আপনাকে অফিসে যেতে হবে আবার অফিসের কাজগুলোও ঠিকমত করতে হবে।
অথচ আপনি যদি অনলাইনে কাজ করেন তাহলে এই বিষয়টা আপনাকে কখনও চিন্তা করতে হবে না।
আর আপনি নিজেই অনেক ভালো আয় করতে পারবেন অনলাইনের মাধ্যমে। বর্তমানে অনলাইনে অনেক ভালো ভালো কাজ করা যায়।
আপনি এসব কাজের মধ্যে যে কোন একটি কাজ যদি নিয়মিত করতে পারেন তাহলে আপনাকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হবে না।
৫. মাসিক বেতন বা অফিসের টেনশান থাকে না
আপনি যদি চাকরি করতেন তাহলে আপনার মাসিক বেতনের জন্য চিন্তা করতে হতো। কিন্তু আপনি অনলাইনে কাজ করলে এসব নিয়ে আপনাকে ভাবতে হবে না।
আর মাসিক বেতন এর কথা বাদই দিলাম আপনাকে মাসিক কোন চাপও সহ্য করতে হবে না যদি ভালো মত অনলাইনে আয় করতে পারেন।
বতমান সময়ে আপনি অনলাইনের কিছু কিছু কাজ যদি ঠিকমত করতে পারেন তাহলে অনেক ভালো আয় করতে পারবেন।
তারমধ্যে গুগল অ্যাডসেন্স, এপিলিয়েট মার্কেটিং, এসইও এবং ব্লগিং নিয়ে যদি কাজ করতে পারেন। তাহলে অনেক ভালো আয় করতে পারবেন।
ফ্রিল্যান্সিং কে ক্যারিয়ার হিসেবে নিতে ভিডিওটি দেখুন
অনলাইনে আয় করা মানেই কিন্তু ফ্রিল্যান্সিং করা নয়। অনলাইনে আয় করার অনেকগুলো ধাপ রয়েছে। তাদের মধ্যে যারা কেবল পেশাগত বা বাইরে থেকে নিয়মিত আয় করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকে তাদেরকেই কেবলমাত্র ফ্রিল্যান্সার বলা হয়। এখানে আমাদের মধ্যে অনেকেই বিষয়টাতে একেবারেই অন্যরকমভাবে মনে করে থাকেন।
ভিডিওটি হলোঃ-
সব শেষ কথা
আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আমি ফিল্যান্সার হিসেবে নিজেকে কিভাবে গড়ে তুলবেন এবং কি ধরনের কাজ আপনি করবেন সেই বিষয়টাকেই উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছি। আসলে আমরা চাইলেই নিজেদের ক্যারিয়ারকে সুন্দরমত গড়ে তুলতে পারবো।
কিছু সময় দিয়ে কিছু কাজ আমাদেরকে ভালোমত শিখতে হবে। তাহলেই দেখা যাবে যে, আমরা আমাদের ক্যারিয়ারকে আগেরমত আর চাকরি নির্ভরভর করে না তুলে আত্মনির্ভরশীল করে তুলতে সক্ষম হবো ইনশাআল্লাহ।