অনলাইন আয় করার জন্য সবচেয়ে বেশি পেমেন্ট সিস্টেম যেটা কাজ করে সেটি হলো পেপাল একাউন্ট। ২০২১ সালে এসে আমরা কিভাবে পেপাল একউন্ট খুলবো সেটি জানতে হলে আর্টিকেলটি পড়ুন।
আজকের আর্টিকেলটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ কারণ। আমি আজকের আর্টিকেলের মাধ্যমে নিচের বিষয়গুলো তুলে ধরবো। যেমন,
(+) কিভাবে পেপাল একাউন্ট করবেন।
(+) কি কি কাজ করতে পারবেন পেপাল একাউন্ট দিয়ে।
(+) পেপাল একাউন্ট ব্যবহার করা নিয়ম।
(+) লিমিট না হতে হলে কিছু নিয়ম জেনে নিন।
উপরোক্ত বিষয় ছাড়াও আরও কিছু বিষয় জানতে পারবেন আজকের আর্টিকেলটিতে।
কিভাবে পেপাল একাউন্ট করবেন
আমাদের দেশে পেপাল একাউন্ট করার উপায় দুইটা একটা হলো নিজে নিজে তৈরি করা আর অন্যটা হলো আরেকজনের মাধ্যমে তৈরি করা। তবে আমি ব্যক্তিগত ভাবে বলবো যারা প্রফেশনাল তাদের থেকে কিনে নিয়ে ব্যবহার করেন তাতে করে আপনার রিক্সটা কম থাকবে।
বাংলাদেশ থেকে পেপাল একাউন্ট খুলতে হলে আপনাকে উপরের দুইটা পদ্ধতি মেনে চলতে হবে। আপনি নিজে এই একাউন্ট খুললে রিক্স হবে কারণ আমাদের দেশে সরকারিভাবে এটি ব্যবহার করার অনুমতি নেই। তাই আপনি চাইলে বিভিন্ন ব্যাংকের ডুয়েল কারেন্সি ব্যবহার করেও এই সমস্যা থেকে সমাধান হতে পারেন।
আরো পড়ুন >> ব্লগারে পোস্ট ইনডেক্স সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা।
আরো পড়ুন >> ব্লগিং এর জন্য ডোমেইন কেন কিনবেন।
কি কি কাজ করতে পারবেন পেপাল একাউন্ট দিয়ে
অনলাইনে আয় ও পেমেন্ট সংক্রান্ত সকল ধরনের কাজই করা যায় এই পেপাল একাউন্ট দিয়ে। বিশেষ করে আপনি যদি ব্যবহার পরিচালনা করতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই পেপাল একাউন্ট রাখতে হবে।
কারণ বানি্জ্যিক ভাবে পেপাল অনেক বেশি নিরাপদ অন্যন্যা পেমেন্ট অপশান থেকে। আপনি চাইলে বাণিজ্যিক ডকুমেন্টস দিয়ে পেপাল কতৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করে পেপাল যুক্ত করতে পারেন আপনার ব্যবসায়িক লেনদেনের মধ্যে তাতে অনলাইনে লেনদেন পুরো বিশ্বব্যপী হবে।
পেপাল একাউন্ট ব্যবহার করা নিয়ম
আসলে যেহেতু আমাদের দেশে পেপাল একাউন্ট ব্যবহার করা নিশেধ সেহেতু বলবো আপাতত ব্যবহার না করার। তবে নিতান্তই যদি কোন প্রয়োজন হয় তবে আপনি নিচের কিছু নিয়ম মেনে ব্যবহার করতে পারেন।
(+) মাসিক আইপি ব্যবহার করবেন।
(+) ডলার যেই দেশের পেপাল সেই দেশের একাউন্ট থেকেই কিনবেন।
(+) লেনদের সময় দরিদ্র থেকে উন্নত দেশে লেনদেন করবেন না। মানে আপনার পেপাল যদি সাইপাসের হয় তাহলে আমেরিকারতে লেনদেন করবেন না এতে করে লিমিট হতে পারে।
(+) ডলাার একাউন্টে ঢোকার কমপক্ষে ১২ ঘন্টা পরে সেটা ট্রান্সফার করার জন্য প্রস্তত পদ্ধতি সেটা আগামীতে পাবেন আশা করি।
আপনি ফিবার থেকে অনেক সময় পাইওনার থেকে টাকা পাঠালে অনেক খরচ কাটে দেখা যাচ্ছে যে তার চাইতে আপনি পেপালেই বেশি ব্যালান্স রাখা মত। তাহলে তো আমি নিজ দায়িত্বে টাকাটা পরিশোধ করতে পারতাম।
লিমিট না হতে হলে কিছু নিয়ম জেনে নিন
আসলে আপনি যদি উপরের নিয়ম মেনে পেপাল ব্যবহার করেন তবে আশা করা যায় লিমিট হবে না। তবে পারসোনাল পেপাল একউন্ট হলে ৫০০ ডলারের বেশি লেনদেন করবেন ন এতে করে সমস্যা করতে পারে।
আজকে আমি পেপাল সম্পর্কে কিছু তথ্য শেয়ার করেছি যা অনেকেরই উপকারে আসবে ইনশাআল্লাহ। আগামীতেও যেন সমস্যা না হয় সেজন্যই অবশ্যই আপনাকে ১ম প্লান রাখার পাশাপাশি ২য় প্লান রাখতে হবে।
আরো পড়ুন >> অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করবেন কিভাবে।
আরো পড়ুন >> ব্লগিং এ ভিজিটর ও আয় বাড়ানোর উপায় জেনে নিন।
আরো পড়ুন >> বাংলা কনটেন্ট এর CPC বা আয় বাড়ানোর উপায়।
বি. দ্র. সচেতন করার জন্য পোস্টটা করা কারণ অনলাইনে আমাদের দেশে প্রতারণা করলেই আমেরিকাসহ বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের সমস্যা হয় বিধায় এট এরা ভালো কাজ করে দিতো। মনে রাখা উচিত পেপাল একসময় বৈধ হবে কারণ ওয়ার্ড-ওয়াইড ট্রান্সজেকশান করা যায় এটি দিয়ে।