অনলাইন প্রতারণা বোঝার ও বাচাঁর উপায়
Table of Contents
অনলাইন প্রতারণা বলতে আমরা অনলাইনের মাধ্যমে কোন ক্ষতির সম্মুখীন হওয়াকে বুঝে থাকি। বর্তমান সময়ে অনলাইনের প্রতি মানুষের অনেক বেশি আগ্রহ এবং অনেক বেশি মানুষের এখানে আসছে নিয়মিতই।

প্রতারণার ফাদ অনেক ধরনের হলেও বর্তমানের প্রতারণার ফাদগুলো একটু অন্যরকমের। অনলাইন আয় করতে অনলাইন প্রতারণার ফাঁদ সম্পর্কে আমাদের কমবেশি সবারই জানা থাকা উচিত। কারণ জানার সুযোগ থাকার পরেও না জানাটা অন্যায়।
অনলাইন প্রতারণা বোঝার ও বাচাঁর উপায়
আমাদের গ্রুপের থেকে আমি অনলাইনে কিছু কাজ করে থাকি আর এই কাজগুলো করানোর জন্য আপনি,
আইডির নাম = ডিজিটাল আইটি সেবা
আইডির লিংক = ক্লিক করুন
গ্রুপের নাম ও লিংক = Beginner Bloggers Forum BD
ইমেইল = [email protected]
প্রতিদিন কমবেশি কিছু কাজ অনলাইনে আমি করে থাকি তার মধ্যে উল্লেখ্যযোগ্য হলো।
(+) অনলাইনে ডলার বাই-সেল।
(+) ডোমেইন ও হোস্টিং কিনে দেওয়া এবং ডিপোজিট করে দেওয়া।
(+) গুগল অ্যাডসেন্স বাই-সেল করা।
(+) পেইড ট্রাফিক সাইটে ডিপোজিট করে দেওয়াসহ আরও কিছু কাজ।
–
গতকালকে কি তারও আগে হবে ঠিক আমার মনে নেই কারণ নিয়মিত বেশি কিছু ম্যাসেজ আসাতে খুব দ্রুতই একজনের ম্যাসেজ অনেক নিচে চলে যায়। আমাকে নক করে বলা হলো ডিপোজিট করবেন কত করে ডলার ধরবো।
আমি খুব বেশি কথা না বলে ১০০ টাকা করে বললাম কারণ আমার কাছেও বেশি ডলার ছিল না তবে প্রয়োজনের সময় ডলার বেশি দামে কিনতে হয় বিধায়।
ওনি আমাকে গুগলের স্ক্রিনশর্ট দেখালেন যেখানে 84….. এর একটু বেশি রেট দেওয়া। তারপর আমি আর কিছু বলি নাই শুধু একটা পরামর্শ দিয়েছিলাম।
সেটা হলো আপনি যে কোন গ্রুপে একটা পোস্ট করেন 84 এর চাইতেও কম রেটে কাজটা করে দেওয়ার জন্য আপনাকেই নক করবে। তার অনেক সময় পরই গতকালকে ঠিক কখন মনে নেই নক করে বলা হলো তার একাউন্টে ডোমেইন ছিল সেগুলো নাকি আর পাচ্ছেন না ট্রান্সফার হয়ে গেছে।
অনলাইন প্রতারণা বোঝার ও বাচাঁর উপায়
সব সাইটের কথা আমি জানি না কি সিস্টেম নেমচিপ এ আপনি নেমচিপের একটা একাউন্ট থেকে আরেকটাতে লগইন থাকা কালিন পাওয়ার্ড দিয়েই করে নিতে পারবেন আর কনফার্শ বা ভেরিফাই করে নিলেই আর কোন সমস্যা হয় না।
আমি তাকে বিরক্ত হয়েই পরামর্শ দিলাম আমি তো আসলে ব্যস্ত আর তখন আমার নিজেরও ক্লাস ছিল এটার জন্যও আপনি গ্রুপে পোস্ট করেন দেখেন সহযোগীতা পান কিনা।
শিক্ষণীয় কিছু বিষয়
(+) অনেক সময় দেখা যাচ্ছে যে, ১০ ডলার ডিপোজিট করতে আসেন তারাই মূলত এই ধরনের সমস্যায় পড়েন। এখানে দেখেন আমাকে তো ৮০ বা ৮৫ ডলার তো কিনতে হবে, ফ্রি তো আর পাবো না।
তো ১০০ টাকা করে সেল করলে ধরেন আপনার হিসেবে পার ডলার ২০ টাকা করে লাভ হলে ১০ ডলারে ২০০ টাকা (ক্লায়েন্টের হিসেবে)।
এখন অনলাইনে পেমেন্ট করতে গেলে ডলার রেট বিভিন্ন ব্যাংক রাখলেও ভ্যাট আলাদা করে কাটে আবার ক্ষেত্রে বিশেষে ২+ ডলার চার্জও কাটে।
নেমচিপের কথাই বলি আপনি ১০ ডলার ডিপোজিট করতে গেলে যদি BTC দিয়ে করেন আর দেড় ডলারের মত চার্জ দিতে হবে তাহলে যদি আপনি BTC ৮০ করেও কেনেন বা ধরে আমি কিনি তাহলে ১১.৫ ডলারে আমার নিজের খরচ হবে ৯২০ টাকা।
আর ৮০ টাকা সেক্ষেত্রে আপনার হিসেবে প্রফিট। আমার হিসেবে এতটা হয় না কারণ আমি নিজে বিশ্বস্ততার জন্য বেশি দামে ডলার কিনে থাকি। যে কোন মানুষের কাছ থেকে ডলার কিনি না।
এখন এই ৮০ বা ২০০ টাকা সেভ করতে গিয়ে আপনি আপনার ডোমেইন ও একাউন্টটাকে অনিরাপদ করে ফেলছেন। এডমিন ডিল এর মানেই এই নয় যে, আপনাকে ডিল হলেও সাপোর্ট করবে। সেলার ও বায়ার ডিল শেষ করলেই তার কার্যকারিতা হয়ে যায়।
অনলাইনে পণ্য কিনে প্রতারিত হলে করণীয় কি ?
অনলাইনের মাধ্যমে কোন পণ্য কিনে যদি কেউ প্রতারিত হোন তাহলে নিচের ভিডিওটি দেখে রাখুন। নিজেই নিজের কাজ করে নিতে পারবেন আশা করি যদি ভিডিওটি ভালো মত দেখে থাকেন।
ভিডিওটি দেখার জন্য = ক্লিক করুন এখানে
বি. দ্র. নিজের নিরাপত্তা রেখে কাজ করবেন। আর সামান্য টাকা বাচানোর জন্য প্রতারণার ফাদে পা দেওয়ার আগে বিষয়টা একটু চিন্তা করে দেখবেন।
সবশেষে উপসংহার
আমি আজকের আর্টিকেলের মধ্যেমে বলার চেষ্টা করেছি অনলাইনের একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আমরা প্রতিদিনই কমবেশি অনলাইনে বিচরণ করে থাকি। অনলাইনে অনেক সময় অনেকেই প্রতারণার ফাদে পা দিতে পারে আর এই বিষয়গুলোই আমাদেরকে অবশ্যই ভালো মত জানতে ও বুঝতে হবে।