ভবিষ্যতে চাকরী করার জন্য যেসব দক্ষতা প্রয়োজন হবে
Table of Contents
বর্তমানে আমরা যেসব দক্ষতা অর্জন করি তা মূলত ভবিষ্যতে চাকরী পাবার জন্যই হয়ে থাকে। পড়াশোনা শেষ করে ভালো একটা চাকরি কে না চায়। আর এই আশায় অনেকেই আমরা
চেষ্টা করে থাকি। আন্তরর্জাতিক একটা সংস্থা গবেষণায় বের করেছে ২০২৫ সালের পরে আমাদের বেশিভাগ কাজই করবে রোবট। বর্তমানে করোনার পরবর্তীতে বিভিন্ন কর্মক্ষেত্রে শ্রমিকদের চাইতে বেশি ব্যবহার করা হবে রোবটকে।
ভবিষ্যতে চাকরী ক্ষেত্র গুলো কেমন হতে পারে ?
আর শ্রমিকরা হারাবে চাকরী। বর্তমানে পোশাক খাতসহ আরও অনেক খাতেই রোবটের ব্যবহার বেড়েছে অনেকাংশ। আমাদের দেশে এর ব্যবহার কম হলেও বাইরের দেশে এর ব্যবহার অনেক বেড়েছে।
আমাদের দেশে চট্টগ্রামে ফ্যাশন ডিজাইনের নতুন বিষয় নিয়ে যেসব প্রতিষ্ঠান কাজ করে থাকে তাদের বেশিভাগ কাজই করে থাকে লেজার মেশিনের মত AI যুক্ত মেশিনগুলো। বাইরের দেশের সাথে তাল মিলিয়ে আমাদের দেশেও চলছে এই প্রক্রিয়া।
ভবিষ্যতে চাকরী করার জন্য যা প্রয়োজন
আমাদের দেশের আইটি সেক্টর আগের থেকে অনেক উন্নত হয়েছে। কিছুদিন আগের যুক্তরাষ্ট্রের এক গবেষণা প্রতিষ্ঠান দাবি করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বেকারত্ব হার বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ হলো প্রযুক্তির ব্যবহার।
আমাদের দেশেও এমনটা যদি হয় তবে শ্রম বাজারে বেকারের সংখ্যা আরও বেড়ে যাবে বলেও আশংখ্যা করা হচ্ছে। তবে আমাদের দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মালিকগন মনে করেন যে আমাদের দেশে এখনও অনেক বেশি সম্ভবনা আছে যেখানে এখনও অনেক বেশি কাজ করা প্রয়োজন। আর প্রযুক্তি আসলেই যে চাকরী হারাবে বিষয়টা এমনটাও নয় তবে কর্মক্ষেত্র আরও বৃদ্ধি পাবে।
ন্যাশনাল ফোরামের এক গবেষক মনে করেন যে, আমাদের দেশে কোয়ালিটিফুল শিক্ষা বা কারিগরি শিক্ষার প্রসারটা আরও বাড়ানো প্রয়োজন। এতে করে আমাদের দেশে দক্ষ জনশক্তি তৈরিতে অনেক বেশি ভূমিকা পালন করবে।
বর্তমানে শ্রমবাজারে অভিজ্ঞতাকে অনেক বেশি মূল্যায়ন করা হয়। তবে এই অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগানোর মত স্থান এখনও আমাদের দেশে তৈরি হয় নাই মানে আমাদের দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় কর্মমুখী শিক্ষার প্রসারটা আরও অনেক বেশি বাড়াতে হবে। যেটা বাইরের দেশে আগে থেকেই চালু আছে।
আমাদের দেশের জনসংখ্যা বেশি থাকার কারণে প্রতি বছর যেখানে ২০ থেকে ৩০ লক্ষ লোক শ্রম বাজারে আসছে তার বেশিভাগই বেকার থাকছে কারণ তারা কর্মমুখী শিক্ষায় শিক্ষিত নয়। আর এই কর্মমুখী শিক্ষাটা আসলে আমাদের দেশে আগে থেকেই কম।
ন্যাশনাল ফোরামের এক নারী গবেষক মনে করেন যে, আমাদের দেশের নারীদেরকে আরও বেশি এগিয়ে আসতে হবে কর্মমূখী শিক্ষার দিকে। তাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল যে, কর্মমুখী শিক্ষায় নারীরা না আশার পেছনে আসল কারণ কি ?
তিনি উত্তরে বলেন, চাকরীর ক্ষেত্রে সুযোগ-সুবিধা অন্যতম কারণ হিসেবে বিবেচনা করা হয় এক্ষেত্রে কারণ যেখানে একজন পুরুষ যেসব সুযোগ বা যেসব পরিবেশ পায় চাকরীর ক্ষেত্রে সেখানে নারীদের জন্য আলাদা কোন ব্যবস্থা থাকে না যার কারণে জাতীয় পর্যায়ে নারীদের কর্মমূখী শিক্ষা গ্রহণ ও কর্মক্ষেত্রে অনেক কম দেখা যায়।
তবে আমাদের দেশে আগের থেকে এখন অনেক বেশি কর্মক্ষেত্রে নারীদের দেখা যায়। এর অন্যতম কারণ হিসেবে দেখা হয় আগের থেকে নারীবান্ধব পরিবেশ তৈরি করা।
তবে এখনও সকল প্রতিষ্ঠান এই ব্যবস্থা করতে পারে নাই আমার মনে হয় আগামীতে উন্নত বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলার জন্য হলেও নারীদের জন্য সুন্দর ব্যবস্থা করার পাশাপাশি তাদের দক্ষতা বাড়ানোর জন্য বিশেষ কোন ব্যবস্থা অবশ্যই বিভিন্ন উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠান নেবে।
সামনের দিকে অর্থ্যৎ ২০২৫ সাল আসতে আসতে আমাদেরকে কর্মক্ষেত্রে প্রবেশের জন্য নিচের দক্ষতাগুলো অবশ্যই থাকতে হবে। যেগুলোর মধ্যে অন্যতম হলোঃ
(ক) কম্পিউটার শিক্ষা বা আইটির ব্যবহার
করোনার এই মহামারীর সময়ে আপনারা একটু নজর করে লক্ষ্য করলে দেখে থাকবেন আইটি সেক্টর কতটা উন্নত হয়ে গেছে আমাদের দেশে।
বর্তমান সরকার আগের বছরগুলোতে যা করতে পারে নাই করোনার এই কয়মাসে তা অনেক গুনে বৃদ্ধি পেয়েছে। শিক্ষাব্যবস্থায় এসেছে অনেক পরিবর্তন। কমেছে সরকারী কর্মজটিলতা।
ক্লাউডিং সিস্টেম বৃদ্ধির কারণে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান অনলাইন বেজ কর্মক্ষেত্র তৈরি করেছে যার জন্য কর্মক্ষেত্র যাওয়ার মত জটিলতা এখন আর আগের মত নেই।
এখন চাকরী বা বিভিন্ন ভর্তির জন্য আপনাকে আর সেখানে যাওয়ার প্রয়োজন পড়ে না এখন আপনি বাসায় বসেই অনলাইনের মাধ্যমে সকল কাজ করে ফেলতে পারেন মূহূত্বের মধ্যেই। আমাদের দেশের মাননীয় প্রধান মন্ত্রী এখন একটা স্থানে বসেই সকল খবর নেওয়া থেকে শুরু করে বিভিন্ন সমস্যা ও সমাধান করে থাকেন অল্প সময়ের মধ্যেই।
অনলাইন অভিজ্ঞতা কম থাকার কারণে কিছু জটিলতা তৈরি হলেও তা আস্তে আস্তে কাটিয়ে উঠার চেষ্টা চলছে। আর বর্তমান পরিস্থিতি আরও কয়েক মাস চললে হয়তো এই ব্যবস্থাটার উপরই নির্ভরশীলতা তৈরি হয়ে যাবে।
বর্তমানে অনলাইনের মাধ্যমে যেই পাঠ্যকার্যক্রম চালু আছে সেটা প্রশংসার দাবিদার। আমাদের দেশের বর্তমানে যত মিটিং করা হয় তার বেশিভাগই এখন অনলাইনের করা হয়ে থাকে।
যার কারণে কোন জায়গা ভাড়া নেওয়অর প্রয়োজনও পড়ে না আর যাতায়াতেরও প্রয়োজন পড়ে না। যার কারণে আমাদের সময় যেমন সেভ হয়েছে তেমনি কর্মদক্ষতাও বেড়েছে অনেক গুন।
ভবিষ্যতে চাকরী করার জন্য এই দক্ষতাটাও অনেক গুরুত্বপূর্ণ আমাদের সবার জন্য।
(খ) কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত
এই শিক্ষাব্যবস্থাটা আমাদের দেশে চালু থাকলেও সর্বজন পরিচিত নয়। কারণ এই ব্যবস্থাটার প্রতি একটা অনীহা বা অবহেলা যেটাই বলি না আমাদের দেশের সাধারণ মানুষের মধ্যে বিরাজ মান।
যার কারণে দেখা যায় যে, জেনারেলে অনেক শিক্ষার্থী থাকলেও কারিগরি প্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষার হার বা শিক্ষার্থীর সংখ্যা অনেক কম। হয়তো সরকারি তদারকি একটা কারন হিসেবে কাজ করে তারপরেও আমাদের দেশে এই শিক্ষাব্যবস্থাটা আরও অনেক বাড়ানো প্রয়োজন আমার মনে হয়।
কারণ বাইরের যে কোন দেশের দিকে যদি আমরা লক্ষ্য করি তবে দেখে থাকবো যে, সেখানে তারা কর্মমুখী শিক্ষাটাকে অনেক বেশি মূল্যায়ন করে থাকে।
চীন বা জাপানের মত দেশ আজ উন্নত বিশ্বের খাতায় যাদের নাম তাদের এই উন্নতির পেছনের কর্মমূখী শিক্ষাব্যবস্থা অনেকাংশ দায়ী। আর একটা দেশের জনগন কর্মমুখী হলে সেই দেশের অর্থনীতি দ্রুত বৃদ্ধি পায় এবং দ্রুত উন্নতি লাভ করে দেশের অর্থনীতির চাকা সচল থাকে।
ব্র্যাক, বিআইজিডি এবং ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌথ গবেষণায় একটা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, আমাদের দেশের ২৪% তরুন এবং ১০% তরুনী কমপিউটার বিষয়ে দক্ষ এবং ২১% তরুন ও ১৪% তরুণী ইংরেজীতে কথা বলতে পারার ক্ষেত্রে দক্ষ।
এই জরিপটার দিকে লক্ষ করলে দেখা যাবে যে, আমাদের দেশের বেশিভাগ মানুষই নামমাত্র শিক্ষায় শিক্ষিত যেই শিক্ষাটা তাদের কর্মবাজারে কোন কাজে আসছে না। আমাদের দেশের চাকরীর বাজারে শুধু সার্টিফিকেটকেই আগে মুল্যায়ন করা হলেও বর্তমানে তার সাথে প্রয়োজন হচ্ছে অভিজ্ঞতাও।
কারণ ১৫ বছর আগে যেখানে চাকরীর বাজারে কর্ম করতে আসা জনগণের সংখ্যা অনেক কম ছিল সেখানে আজকের দিকে একটা পদের বিপরীতে আবেদন জমা পড়ে অনেক বেশি। গত প্রাইমারির আবেদনের চিত্র যদি দেখা যায় তবে বলতেই হয় যেখানে পদ ছিল ৩২ হাজার সেখানে আবেদন জমা পড়েছে ১৩ লক্ষ এর কিছু বেশি।
আবার এই আবেদনের সবাইকেই অনার্স পাশ হতে হবে যদিও বিগত নিয়োগগুলোতে চাকরীর জন্য মেয়েদের যোগ্যতা দেখা হতো HSC পাশ কিন্তু এবারে ছেলে মেয়ে উভয়ের যোগ্যতাই সমান দেখা হচ্ছে।
উপরের কারণগুলোর অন্যতম কারণ হলো আমাদের দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার সাথে কর্মমূখী বা শ্রমবাজারের সাথে কোন সম্পর্ক না থাকা।
ভবিষ্যতে চাকরী করার জন্য কারিগরি দক্ষতার কোন বিকল্প নেই।
(গ) শিক্ষার মান বাড়ানো
একটা দেশের শিক্ষার মান বাড়ে সে দেশের গবেষনা লব্ধ শিক্ষার পদ্ধতি দেখে। আমাদের দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা অনেকের কাছেই প্রশ্নবিদ্ধ আছে। এখানে গবেষণা লদ্ধ শিক্ষা দেওয়া হয় না যার কারণে শ্রমবাজারে গিয়ে কোন মূল্যায়ন পাওয়া যায় না।
আমরা শিক্ষার মান বাড়ানো বলতে রেজাল্টটাকেই বেশি মূল্যায়ন করে থাকি কিন্তু আসলে শিক্ষার মান বোঝানো হয় একটা দেশের শিক্ষিত জনগন কতটা দক্ষতা সেটার উপর ভিত্তি করে।
অন্যন্যা দেশের শিক্ষিত জনগণ যেখানে নতুন নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করছে সেখানে আমাদের দেশের শিক্ষিত সমাজ চাকরীর জন্য সার্টিফিকেট হাতে নিয়ে একটা অফিস থেকে আরেকটা অফিসে ছোটাছুটি করছে।
এই বিষয়টা সত্যিই আমাদের উপর মহলের জন্য চিন্তার হওয়ার কথা। বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, আমাদের দেশের শিক্ষার সূচী আস্তে আস্তে কমছে এবং এখানে গবেষণা শিক্ষার পরিমানটা আরও বেশি পরিমাণে কমছে। যার উত্তরটা আসলে কারোরই জানা নেই আর এই দক্ষতা নিয়ে শ্রমবাজারে গেলে কোন মূল্যায়নই পাওয়া সম্ভব নয়।
ভবিষ্যতে চাকরী করার জন্য শিক্ষার মান অবশ্যই আমাদেরকে বাড়াতে হবে।
(ঘ) অভিজ্ঞতা সম্পূর্ণ শিক্ষাব্যবস্থা
চীনের বা জাপানের শিক্ষাব্যবস্থার সামান্য অংশ যদি আমরা অনুসরণ করতে পারতাম বা পার্শ্ববর্তি দেশ ভারতের শিক্ষাব্যবস্থাটাকে তবে আমাদের দেশের শিক্ষার মানটা আরও বেশি পরিবর্তন করতে মনে হয় সক্ষম হতে পারতাম।
অভিজ্ঞতা সম্পূর্ণ শিক্ষাব্যবস্থা বলতে বোঝানো হয়েছে যেই শিক্ষাটা চাকরীর নতুন নতুন ক্ষেত্রে তৈরি করবে। আমরা যদি মাইক্রোসফট এর প্রতিষ্ঠাতা বিল গেইটস এবং ফেইসবুকের প্রতিষ্ঠাতা জাকার বাগের কথা চিন্তা করি।
তবে তারা কিন্তু ছাত্র জীবনেই একটা উদ্যোগ হাতে নিয়েছিলেন যার ফলাফলটাই হলো আজকের দিনের এই প্রযুক্তির ব্যবহার। নতুন নতুন উদ্ভাবনী চিন্তার বিকাশ ঘটানোর জন্য হলেও আমাদের শিক্ষাব্যবস্থাকে অনেক বেশি বাস্তবতা মুখী করা প্রয়োজন।
ভবিষ্যতে চাকরী করার জন্য আমাদের এই গুণটিও অবশ্যই ভালোমত অর্জন করে নিতে হবে।
(ঙ) আবেগময় বুদ্ধিমত্তা
এইটাকে আমরা পরিস্থিতি বুঝে কাজ করার সাথে তুলনা করতে পারি। অনেক সময় এই গুণটা যারা CEO বা ম্যানেজার তাদের হয়ে থাকে কারণ তারা যদি কর্মচারীদের মানসিকতা বুঝতে না পারে তবে অনেক কঠিন হয়ে যায় তাদের জন্য অফিস চালনা করাটা।
একজন কর্মীর সাথে কথা বলে তার মানসিকতা বুঝে তার সাথে সেই ভাবে কথা বলে তার থেকে কাজ আদায় করে নেওয়ার মত দক্ষতা শুধুমাত্র একজন ভালো দক্ষ বসেরই হয়ে থাকে।
আর এই অভিজ্ঞতা সম্পূর্ণ মানুষগুলো কখনও বসে থাকে না তাদের কর্ম একটা গেলে আরেকটা চলে আসে। এই গুন অর্জন করার জন্য আপনাকে অনেক মানুষের সাথে কথা বলতে হবে বা মানুষের সাথে মিশতে জানতে হবে।
আত্মরর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থা আমাদের দেশের জনসংখ্যাকে সম্পদ হিসেবে দেখলেও তাদের কাজের জন্য বিকল্প পথ তৈরি করতে বিভিন্ন পরিকল্পনা করে যাচ্ছে।
একটা মেশিনের কাজ করার দক্ষতা একটা মানুষের কাজ করার দক্ষতা থেকে অনেক বেশি হবে এটাই স্বাভাবিক। মানুষের ক্রান্তি থাকলেও মেশিনের কোন ক্লান্তি নেই আর এই সুবিধাটার জন্য অনেক বেশি উৎপাদন পাওয়া সম্ভব একটা মানুষের চাইতে একটা মেশিন থেকে।
আমাদের দেশের চট্টগ্রামে টেকনোলজি নিয়ে কাজ করা প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজারের সাথে কথা বলা হয়েছি যেটা মেনিন ফ্যাশন নামে পরিচিত তিনি বলেন যে, “৫ জন মানুষ যেই কাজ করতে পারে একটা মেশিন তা অনেক সহজেই করতে পারে।” এ থেকে বোঝা যায় যে, ভবিষ্যতে কর্মদক্ষতার কারণেও মানুষের কর্মহীনতা বা বেকারত্ব বেড়ে যাবে।
আমরা এখন থেকে যদি সচেতন না হই আর নিজেরা যদি কোন কারিগরি বা কর্মমুখী শিক্ষায় শিক্ষিত না হই তবে অনেক পেছনে পড়ে যাবো। পুরো বিশ্ব যেখানে প্রযুক্তিতে অনেক এগিয়ে যাচ্ছে সেখানে আমরা আমাদের জনসংখ্যাকে সমস্যা হিসেবে বিবেচনা করে একে অন্যকে দোষ দিতেই ব্যস্ত থাকছি।
ভবিষ্যতে চাকরী করার জন্য আবেগময় বুদ্ধির অনেক বেশি প্রয়োজন আমাদের দেশের জন্য।
কোন নির্দিষ্ট কাজ জানা এবং সেই কাজের দক্ষতা না থাকলে সামনের দিকে আমাদের বেকার থাকতে হবে। আর এই বিষয়টা শুরু হতে হয়তো আর বেশি দিন অপেক্ষা করতে হবে না। কারণ আগামী ২০২৫ সাল থেকে প্রযুক্তি পুরো পৃথিবীর অনেক স্থানই দখন করে ফেলবে।
আর এই প্রযুক্তির যুগে যদি আপনি আপনার অবস্থান ধরে রাখতে চান তবে আপনাকে অবশ্যই নিজের দক্ষতা অর্জন করে সেই দক্ষতা অনুসারে চলতে হবে। বা দক্ষতাটা বাড়ানোর জন্য চেষ্টা করতে হবে।
প্রত্যেকটা কাজের জন্যই আপনাকে শিখতে হবে আর প্রত্যেকটা কাজ আপনি একা কখনই শিখতে পারবেন না তাই নির্দিষ্ট করে কোন কাজ আপনি এখন থেকেই শেখা শুরু করুন যেন প্রযুক্তি আসার সাথে সাথে আপনি সেটাকে গ্রহন করে আপডেট থাকতে পারেন।
আমার এই আর্টিকেল লিখার অন্যতম কারণ ছিল আমাদের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করা। আর সামনের পৃথিবীতে আমাদের যে সকল বিষয় এখন থেকেই মাথায় রাখতে হবে এবং কিছু দক্ষতা এখন থেকেই অর্জণ করতে সেই সকল বিষয় জানানো।
আশা করি সবাই আর্টিকেলটার আসল বিষয়টা বুঝতে পেরেছেন। আর আমরা অবশ্যই নিজেদের শিক্ষাকে কর্মমুখী শিক্ষা বানানোর চেষ্টা বা কর্মমুখী বা দক্ষতা অর্জন করার মত শিক্ষা গ্রহনের চেষ্টা করবো। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মূল্যাবান সময় নিয়ে আর্টিকেলটি পড়ার জন্য।
শেষ কথা বা উপসংহার
উপরের বিষয়গুলো থেকে আমরা হয়তো মোটামুটি একটা ধারণা পেয়ে গেছি। আশা করি বিষয়গুলোর প্রতি গুরুত্ব দিয়ে আমরা আমাদের লক্ষ্য ও প্রস্তুতি সু-সম্পূর্ণ করবো আগামীতে।
বি. দ্র. প্রথম প্রকাশিত ছিল ২১ ডিসেম্বর ২০২০ সাল, আপডেট ০৫ ডিসেম্বর ২০২১ রাত ৯টা।
One Comment on “ভবিষ্যতে চাকরী করার জন্য যেসব দক্ষতা প্রয়োজন হবে”