জেএসসিতে চালু হচ্ছে ভোকেশাল, আবেদন ১৬ জানুয়ারী পর্যন্ত এরকম নিউজগুলো সত্যিই অনেক অবাক করে দেয় আমাদের। শিক্ষাক্ষেত্রে পরিবর্তনগুলো সত্যিই অনেক পরিবর্তন বয়ে আনে অনেক সময়।
আরো পড়ুন >> জে এস সি পরীক্ষা ইতিহাস সম্পর্কে জানতে আর্টিকেলটি পড়তে পারেন।
করিগরি শিক্ষার সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো এখানে আপনি আপনার সন্তানকে হাতে কলমের মাধ্যমে যা শেখাবেন তা শেখাতে পারবেন। যেমন একটা লাইট কিভাবে তৈরি করতে হবে বা একটা বাড়ির ডিজাইন কিভাবে করা হবে। আবার কারিগরি শিক্ষার্থীদেরকে একটা বাড়িতে কিভাবে বিদ্যুৎ সংযোগ দিলে কম খরচ হবে বা দূর্ঘটনা ঘটবে না এসব বিষয় এখানে হাতে কলমে শেখানো হয়।
বর্তমান সরকার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রসারের দিক বিবেচনা করে ভোকেশনাল শাখাকে অনেক বেশি মূল্যায়ন করার পরিকল্পনা করছে। এই লক্ষ্যে গত বছর একটা পরিকল্পনা করা হয়। যেখানে ২০২০ সালের ডিসেম্বরের ১৫ তারিখ থেকে ১৬ই জানুয়ারী ২০২১ সাল পর্যণ্ত মোট ৩০ দিনের মত আবেদন করতে পারবে। যদিও ২০২১ সালে এই কার্যক্রম অল্পপরিসরে হবে যেমন মোট ১০০ উপজেলায় এই কার্যক্রম বা ভর্তি করানো হবে এই বছর। যা হয়তো আগামীতে আরও বেশি পরিসরে করা হবে। আমাদের ভোকেশনাল কার্যক্রম এখনও সারা দেশে অনেক বেশি পরিমাণে না থাকার করণে এই কার্যক্রম চালু হতে বেশ সময় লাগবে। ভোকেশনাল থেকে এখন অনেক ভালো মেধাবী ছাত্র/ছাত্রী যারা দেশের কারিগরি খাতে অনেক ভালো অবদান রাখছে।
আরো পড়ুন >> সরকারী চাকরী ও অনলাইনে আয় সম্পকে জানুন।
২০২১ সালে এই ভোকেশনাল কার্যক্রম থেকে মোট ২৫টি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজে জেএসসি ভোকেশনাল শিক্ষাকার্যক্রম চালু হবে। আমাদের বর্তমান সরকার এই শিক্ষাব্যবস্থাকে বিষয়ভিত্তিক হিসেবে বিবেচনা করে “কর্মমুখী প্রকৌশল শিক্ষা” নামের একটি বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা হবে। ইতোমধ্যে খসড়া প্রবিধানও তৈরি করেছে কারিগরি শিক্ষাবোর্ড। সে অনুযায়ী আগামী বছর থেকে নতুন শিক্ষাক্রমে ষষ্ঠ শ্রেণিতে শিক্ষার্থী ভর্তির নীতিমালা প্রকাশ করেছে কারিগরি শিক্ষা বোর্ড। ৬ষ্ঠ থেকে ৮ম শ্রেনিও যুক্ত হচ্ছে সামনে কারিগরি বোর্ডে।
জানা গেছে, জেএসসি এর ভোকেশনাল ভর্তি হতে শিক্ষার্থীরা আগামী ১৬ জানুয়ারি পর্যণ্ত আবেদন করতে পারবেন। আবেদন গ্রহন শুরু হয়েছে ১৫ ডিসেম্বর থেকে। সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের অফিসে ফরম বিতরণ করা হচ্ছে। আগামী ১৭ জানুয়ারি লটারির মাধ্যমে জেনারেল শাখার মত পদ্ধতি ভর্তি কার্যক্রম চালু করা হবে। ১৭ই জানুয়ারি লটারির মাধ্যমে ৮ শ্রেণিতে ভর্তির জন্য শিক্ষার্থী নির্বাচন করা হবে। আর ১৮ থেকে ২৫ জানুয়ারি ভর্তি করা হবে শিক্ষার্থীদেরকে। এছাড়াও ১৮ জানুয়ারি থেকে নতুন শিক্ষাক্রমের ক্লাস শুরুরও পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানা গেছে। সবার জন্য মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করার জন্য আমাদেরকে অবশ্যই কারিগরি শিক্ষা ব্যবস্থার দিকে জোর দিতে হবে সামনের দিনগুলোতে।
আরো পড়ুন >> এইচ. এস. সি এর ফলাফল জানতে পড়ুন।
আরো পড়ুন >> ভোকেশনালে জে এস সি নিয়ে আসার কারণ কি ?
কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের এক বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে যে, আসনসংখ্যা প্রতি ব্যাচে ৬০ জন করে এবং দুই ব্যাচে আসনসংখ্যা ১২০ জন হবে। প্রত্যেকটা বিদ্যালয়ে এরকম সিস্টেম হয়তো নেই তবে সামনের এরকম করার পরিকল্পনা রয়েছে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের। কোভিড পরিস্থিতির কারণে ভর্তি লটারির মাধ্যমে হবে বলেও জানানো হয়েছে আগে। কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটে ভর্তিসংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য পাওয়া যাবে। কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের ছুটির তালিকাটাও জেনারেলে মতেই।
আসলে আমাদের দেশে কারিগরি শিক্ষাব্যবস্থার তেমন প্রচলন এখনও নেই তবে এই শিক্ষা ব্যবস্থাটা অনেক উপকারী। এখানে একজন ছাত্র বা ছাত্রীকে হাতে কলমে শিক্ষা দেওয়া হয় যেটা অনেক কার্যকরি। চায়নাতে যখন বেকার সমস্যা বেড়ে গিয়েছিল তখন তারাও এই ধরনের একটা শিক্ষাপদ্ধতি চালু করার ফলে আজকের বর্তমান চায়নাকে আমরা দেখতে পাচ্ছি। আর সামনে আমাদের দেশেও এমন পরিকল্পনা অনেক উপকারী হবে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার জন্য। আমাদের দেশেও এখনও অনেক মেধাবী তরুন বা তরুনী আছে যারা আমাদের দেশ থেকে বাইরের দেশে গিয়ে পড়াশোনা করে এবং অনেককেই গবেষণাও করে। সারা জীবন আয়ের ব্যবস্থা করার জন্য আমাদেরকে অবশ্যই এই শিক্ষা ব্যবস্থার দিকে জোর দিতে হবে সামনে। পৃথিবীর সেরা শিক্ষা ব্যবস্থা ও এরকমই প্রায়।
ফিনল্যান্ডেও কারিগরি শিক্ষার বা হাতে কলমের শিক্ষার প্রতি অনেক বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়। আমাদের দেশের অনেক শিক্ষার্থীই সেখানে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করতে যায়। তারা পরে আমাদের দেশে ফিরে আসলে বোঝা যায় বা দেখতে পাওয়া যায় তারাও সেই হাতে কলমের কাজের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাচ্ছে।
আরো পড়ুন >> কারিগরি শিক্ষাবোর্ড সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পড়ুন।
আটিকেলটি ভালো লাগলে কমেন্ট এর মাধ্যমে আপনার মূল্যবান জানান। আর এই রকম আর্টিকেল পেতে আমাদের সাইটির সাথে যুক্ত থাকুন। নিয়মিত আপডেট পেতে ফেইসবুকের মাধ্যমে ফলো করতে পারবেন।