বর্তমান সময়ে অনলাইনে আয় করার সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যমগুলো মধ্যে ব্লগিং করে আয় করা অন্যতম একটি। কিন্তু আমাদেরকে সঠিক নিয়ম জানতে হবে এ থেকে আয় করার জন্য। অনেক সময় আমরা না জেনেই ব্লগিং শুরু করে থাকি। যে কারণে কিছুদিন পর দেখা যায় যে, আমাদের আশা অনুরূপ আয় হয় না বিধায় বাদ দিয়ে দেই। আজকের আমি এই আর্টিকেলের মাধ্যমে জানানোর চেষ্টা করবো কিভাবে ব্লগিং করবেন আর কিভাবে ব্লগিং এর মাধ্যমে আয় করবেন। কোন কোন বিষয়ে আপনি ব্লগিং করলে আপনার আয় বাড়বে এবং কোন বিষয়গুলো বর্তমান সময়ে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়।
আরো পড়ুন >> গুগল অ্যাডসেন্স এ Invalid Click সমস্যা ও সমাধান।
ব্লগিং এ ভিজিটর বাড়ানোর বেশ কিছু টিপস আছে যার মধ্যে অন্যতম টিপসগুলো নিচে দেওয়া হলো।
(১) ভালো কনটেন্ট নিয়ে ব্লগিং করুন।
(২) একটা কনটেন্ট এর আলোকে বেশ কিছু কনটেন্ট তৈরি করুন। যেমন, আপনি যদি স্বাস্থ্য নিয়ে ব্লগিং করেন তবে একটা ট্রপিকস এর আলোকে কি কি প্রশ্ন আসতে পারে সেগুলোর জন্যই ব্লগ তৈরি করুন এবং ইনটারনাল লিংক করে দিন। যেমন একজন ভিজিটর আসলে বাকিগুলোর প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে সেগুলোও পড়তে থাকে।
(৩) একটা ফেইসবুকসহ সামাজিক যত যোগাযোগ মাধ্যম আছে সেগুলোতে একাউন্ট তৈরি করে রাখুন। অনেক সময় এগুলোর মাধ্যমেও ভিজিটর আসতে থাকে।
(৪) সমসাময়িক বিষয়গুলো নিয়ে ব্লগিং করুন।
(৫) নিয়মিত পোস্ট করুন। অনেক সময় গুগলের রোবট নিয়মিত পোস্ট করলে সেটিকে অনেক বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকে।
(৬) টপ লেবেল কী-ওয়ার্ড দিয়ে ব্লগিং এর কনটেন্ট তৈরি করার চেষ্টা করুন।
এছাড়াও আরও কিছু টিপস জানার জন্য কিভাবে ব্লগিং এ ভিজিটর বাড়ানো যায় এই আর্টিকেলটি পড়তে পারেন।
আরো পড়ুন >> ব্লগিং এ ভিজিটর বাড়ানোর ১৫টি কার্যকরি টিপস।
আরো পড়ুন >> ভালো মানের ব্যাক লিংক কিভাবে তৈরি করবো।
আরো পড়ুন >> গুগল এডসেন্স অ্যাপ্রুভ হওয়ার শর্তগুলো কি কি ?
ব্লগিং শিখুনঃ ব্লগিং এ আয় বাড়ানোর জাদুকরি টিপস
উপরের পয়েন্টগুলোতে আপনি কিভাবে ভিজিটর বাড়ানো যায় সেটি জানতে পারবেন। এখন ভিজিটর বাড়ানোর পরে আসবে কিভাবে আয় বাড়াবেন। ভিজিটর বাড়লেই যে আপনার আয় বাড়বে বিষয়টা তেমন নয়। আর ভিজিটর বাড়ানোর পর কি কারণে আয় বাড়ছে না তা আমরা অনেকেই জানি নাই। আসলে আমরা তো ব্লগিং শুরু করার আগে ভালোভাবে শিখে আসি না বিধায় এই সমস্যার সৃষ্টি হয়।
আমি নিচে কয়েকটি টিপস শেয়ার করছি যেটার পড়লে বা মানলে আমরা আয় হয়তো বাড়বে আগের থেকে বেশি।
(১) ভালো মানের CPC নির্বাচন করে ব্লগ তৈরি করুন।
এখানে প্রশ্ন আসতে পারে কিভাবে জানবো কোনটার বা কোন বিষয়েল CPC বেশি আর কোন বিষয়ের CPC কম। আসলে এটা জানার জন্য আপনি আপনার গুগল সার্চ কনসোল ও এডসেন্স এর অংশটি রিসার্চ করে নিতে পারেন।
(২) কনটেন্ট এর কী-ওয়ার্ডগুলোর প্রতি লক্ষ্য করবেন ভালো করে।
কী-ওয়ার্ড অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ব্লগিং করার জন্য। কারণ ভালো মানের কী-ওয়ার্ড ছাড়া আপনি ভালো আয় করতে পারবেন না। অনেক সময় আপনারা লক্ষ্য করবেন যে, অনেকের ভিজিটর ৪ হাজার যার আয় হয়েছে মাত্র ৫ ডলার আবার অনেকের ভিজিটর ১ হাজার তারও আয় হয়েছে ৫ ডলার। এর পার্থক্যটা বুঝতে পারলেই আপনি কী-ওয়ার্ড বিষয়ে শিখে যাবেন আশা করি।
(৩) কনটেন্ট এর মধ্যে এই ধরনের ইন্টারনাল লিংক রাখার চেষ্টা করুন।
গুগল একটা ভিজিটর এসে আপনার সাইটে কতসময় থাকে তা বাউন্স এর মাধ্যমে দেখে থাকে। এখন আপনি কোন জায়গাই চটকদার বিজ্ঞাপনের মত করে ক্লিক করিয়ে ভিজিটর নিয়ে আসলেন অথচ সেই ভিজিটরটি আসার পর আপনার সাইটে বেশি সময় থাকলে না বা যখন দেখলে বিজ্ঞাপনের ট্রপিকস আর আপনার কনটেন্ট এর মধ্যে কোন মিল নেই সেক্ষেত্রে আপনি ভালো আয় করতে পারবেন না ভিজিটর বাড়ানোর পরেও।
কয়েকটি ফ্রি প্রিমিয়াম থিম ডাউনলোড করে। নিন ভালো মানের থিম থাকলে SEO করতে সুবিধা হয় অনেক সময়।
(৪) অ্যাডসেন্স এর বিকল্প ভাবে আয় করার সোর্স খোজ করুন
আসলে গুগল অ্যাডসেন্স থেকেই যে আয় করতে হবে বিষয়টা তেমন নয়। যেমন আপনার সাইটে যদি ভালো ভিজিটর আসে তবে আপনি আপনার সাইটটিতে অন্য কোন কম্পানির বা ব্যাংক লিংক সেল করেও ভালো আয় করতে পারবেন। একটা অনলাইন সাইটে যদি মাসিক একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ ভিজিটর আসে তবে আপনি বিজ্ঞাপন দিয়েও আয় করতে পারবেন। তাই আয় বাড়ানোর জন্য ভিজিটর বাড়ানোর বিকল্প নেই। আর কিভাবে ভিজিটর বাড়াবেন তা উপরে আলোচা করা হয়েছে।
(৫) অ্যাফিলিয়েটিং মার্কেটিং করে আয়
আপনি যদি বিউটি ও টেক বা স্বাস্থ্য নিয়ে ব্লগিং করেন তবে আপনি চাইলেই অ্যালিয়েটিং মার্কেটিং করেও আয় করতে পারবেন অনেক বেশি। বর্তমান সময়ে অনলাইনে আয় করার মধ্য সবচেয়ে টপ লেবেলে আছেন যারা তাদের মধ্যে অ্যাফিলিয়েটিং মার্কেটার অন্যতম। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কে জেনে করতে পারবেন এটি।
আরো পড়ুন >> অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর পরিপূর্ণ গাইড লাইন।
আরো পড়ুন >> Affiliate Marketing করে কিভাবে আয় করা যায়।
(৬) ইংরেজীতে আর্টিকেল লিখে ব্লগি করুন।
ইংরেজীতে আর্টিকেল লিখলে সেটা থেকে বেশি আয় করা যায় বাংলার চাইতে। অনেক সময় ইংরেজী আর্টিকেলের CPC অনেক বেশি থাকে। তাই চেষ্টা করুন এটি করার জন্য। কমপক্ষে বাংলা কনটেন্ট থাকলেও কিছু ইংরেজী কনটেন্ট রাখুন যেটাতে আপনি ভালো আয় করতে পারবেন।
এছাড়াও আরও কিছু পদ্ধতি আছে যেগুলোর মাধ্যমে আপনি ব্লগিং করে আয় করতে পারবেন। তবে অন্যগুলোর চাইতে উপরের বিষয়গুলো অনেকটাই সহজ ব্লগিং থেকে ভালো আয় করার জন্য।
আরো পড়ুন >> কনটেন্ট মার্কেটিং কি ও কিভাবে করতে হয়।
আরো পড়ুন >> কনটেন্ট মার্কেটিং করে আয় করার সহজ উপায়।
আরো পড়ুন >> কিভাবে কনটেন্ট মার্কেটিং করে আয় করবেন।
অনেক ধন্যবাদ মূল্যবান সময়ে নিয়ে আর্টিকেলটি পড়ার জন্য।